বিশ্ব বাজারে তেলের দাম তলানিতে নেমে আসা যে অর্থনীতি চাঙ্গা করায় কেন্দ্রকে বাড়তি সুবিধা দিচ্ছে, তা ফের প্রমাণ হল বাণিজ্য ঘাটতির পরিসংখ্যানে। শুক্রবার যা প্রকাশ হওয়ার পর জানা গেল, মূলত তেল আমদানি বাবদ খরচ কমে যাওয়াতেই জানুয়ারিতে ওই ঘাটতি নেমেছে ৮৩২ কোটি ডলারে। গত ১১ মাসের মধ্যে সবচেয়ে নীচে। এমনকী রফতানি সরাসরি ১১.১৯% কমে যাওয়া সত্ত্বেও। কারণ তেলের দর কমায় আমদানিও কমেছে ১১ শতাংশের বেশি।
জানুয়ারিতে রফতানি এতটা কমে ২,৩৮৮ কোটি ডলার হওয়ার কারণ অবশ্য ইউরোপ ও জাপানে চাহিদা কমা। পরিসংখ্যান বলছে, গত আড়াই বছরের মধ্যে এতটা নামেনি এই হার। কেন্দ্র যে ৩০টি শিল্পের রফতানি পরিসংখ্যান প্রকাশ করে, তার ২১টিরই সঙ্কোচন হয়েছে। যে কারণে চলতি অর্থবর্ষে রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ছোঁওয়া সম্ভব হবে না বলে মনে করছে রফতানিকারীদের সংগঠন ফিও।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকারের আমদানি-খরচের এক তৃতীয়াংশই যায় অশোধিত তেলে। তাই বিশ্ব বাজারে এর দাম নামায় জানুয়ারিতে ওই খরচ ৩৭.৪৬% কমে হয়েছে ৮২৪ কোটি ডলার। এই খাতে খরচ কমায় আবার দেশে পেট্রোল-ডিজেলের দর কমছে। ফলে কেন্দ্রকে ভর্তুকি দিতে হচ্ছে কম। পেট্রোল-ডিজেলে উৎপাদন শুল্ক বাড়িয়ে রাজকোষ ঘাটতি কমানোরও ব্যবস্থা করছে মোদী সরকার। ফলে তেলের দাম কমা সহায়ক হচ্ছে অর্থনীতিকে ঘুরিয়ে দাঁড় করাতে। একই কারণে চলতি খাতে বিদেশি মুদ্রা লেনদেন ঘাটতিও সন্তোষজনক জায়গায় দাঁড়িয়ে বলে মনে করছে কেন্দ্র ও রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। এই তালিকায় এ বার সংযোজন রফতানি কমা সত্ত্বেও বাণিজ্য ঘাটতি এতখানি নেমে আসা।
তবে এ দিনের পরিসংখ্যানে স্পষ্ট জানুয়ারিতে সোনা আমদানি ৮.১৩% বেড়ে ১৫৫ কোটি ডলার হয়েছে। এতে বিদেশি মুদ্রা লেনদেন ঘাটতি বাড়া নিয়ে নতুন করে উদ্বেগের মেঘ দেখছেন বিশেষজ্ঞেরা। অবশ্য এ ক্ষেত্রেও তাঁদের স্বস্তি দিতে পারে সেই তেল। কারণ বিশ্ব বাজারে ব্যারেলে তা ১০ ডলার কমলে, চলতি খাতে ঘাটতি কমে ০.৫০%। আর রাজকোষ ঘাটতি কমে ০.১%।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy