সোমবার প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদী। তার আগে শেয়ার বাজারে শেষ লেনদেনে, শুক্রবার সাড়ে ২৪ হাজারের মাইলফলক পেরিয়ে গেল সেনসেক্স। ৩১৯ পয়েন্ট উঠে এই প্রথম দিনের শেষে তা দৌড় শেষ করল ২৪,৬৯৩.৩৫ অঙ্কে। যার হাত ধরে এ দিন একটি পালক যোগ হয়েছে বাজারের মুকুটে। দেখা গিয়েছে, লেনদেনের নিরিখে এশীয়-প্রশান্তমহাসাগরীয় অঞ্চলে শেয়ার বাজার হিসেবে এ বছর সব থেকে ভাল করেছে বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জই। এ দিন আর এক সূচক, ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের নিফ্টিও ৯০.৭০ পয়েন্ট উঠে থিতু হয়েছে ৭,৩৬৭.১০ অঙ্কে।
এক দিকে, স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার শেয়ারের গত তিন বছরের সর্বোচ্চ দরে পৌঁছে যাওয়া। আর অন্য দিকে, বিদ্যুৎ সংস্থাগুলির শেয়ার দরে চোখে পড়ার মতো উত্থান। মূলত এই দু’টি বিষয়ই এ দিন সেনসেক্সের এতটা উপরে ওঠার ক্ষেত্রে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞেরা।
এ দিন প্রকাশিত স্টেট ব্যাঙ্কের আর্থিক ফলাফলে দেখা গিয়েছে, গত অর্থবর্ষের চতুর্থ ত্রৈমাসিকে তাদের মুনাফা ৮% কমেছে ঠিকই। তবে ওই সময় অনাদায়ী ঋণের পরিমাণও কমাতে পেরেছে তারা। আর এটা আগামী দিনে সরকারি ব্যাঙ্কটির আর্থিক স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল ধরে নিয়েই বাজারে তার শেয়ার কিনতে ঝাঁপিয়েছেন লগ্নিকারীরা। ফলে দর ৯.৬৯% উঠে পৌঁছেছে ২,৭৫৫.২৫ টাকায়, যা তিন বছরে সর্বোচ্চ।
বিভিন্ন বিদ্যুৎ সংস্থার শেয়ারের চাহিদাও এ দিন ছিল তুঙ্গে। কারণ, এ দিনই একটি রিপোর্টে প্রকাশ, দেশের প্রতি প্রান্তে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে সৌর ও বায়ুবিদ্যুৎ উৎপাদনেও জোর দেবে মোদী-সরকার। এই খবর দেশের প্রায় সব বিদ্যুৎ সংস্থার শেয়ার দরকেই টেনে তুলেছে। মোদী মসনদে বসার পর সংস্কারে গতি আসার প্রত্যাশা, তার হাত ধরে বৃদ্ধির হার ত্বরান্বিত হওয়া নিয়ে গোল্ডম্যান স্যাক্সের রিপোর্ট, এশিয়া-সহ বিশ্বের বিভিন্ন বাজারের ঊর্ধ্বমুখী গতি ইত্যাদির প্রভাবও এ দিন বাজারে ছিল। তবে ডয়েশ ব্যাঙ্কের বক্তব্য, অর্থনীতির যা অবস্থা, ভারতের বাজার ছুটছে তার তুলনায় অনেক আগে। দীর্ঘ মেয়াদে বাজার যে যথেষ্ট সম্ভাবনাময়, তা অবশ্য মেনে নিয়েছে তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy