১ লক্ষতম গাড়ির সঙ্গে পিশারোদি।
মন্দার কালো মেঘ কাটিয়ে মাঝারি ও ভারী গাড়ির বিক্রি বাড়ছে দেশে। হাল্কা বাণিজ্যিক গাড়ির বিক্রি এখনও তেমন না-বাড়লেও, তা কমার প্রবণতা কমেছে বলেই ইঙ্গিত মিলেছে পরিসংখ্যানে। তাই ‘ভাল দিন’ দেখার আশায় ইতিমধ্যেই চালু থাকা এ ধরনের গাড়ির নয়া সংস্করণ বাজারে আনতে কোমর বেঁধেছে দেশের বৃহত্তম বাণিজ্যিক গাড়ি সংস্থা টাটা মোটরস। সে ক্ষেত্রে টাটা এস বা জিপ কিংবা ম্যাজিক ও আইরিস-এর মতো গাড়ির বৈদ্যুতিক, পেট্রোল ও সিএনজি-চালিত সংস্করণ বাজারে আনবে তারা।
এ দিকে, বাজারে আসার সাড়ে তিন বছরের মধ্যে তাদের ভাঁড়ারের সবচেয়ে ছোট ও হাল্কা বাণিজ্যিক গাড়ি ‘টাটা এস জিপ’-এর এক লক্ষ গাড়ি তৈরি করেছে টাটা মোটরস। বুধবার সেই এক লক্ষতম গাড়িটি কর্নাটকের ধারওয়ার কারখানা থেকে বার হল। সেই উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের ফাঁকে সংস্থার বাণিজ্যিক গাড়ি শাখার এগ্জিকিউটিভ ডিরেক্টর রবি পিশারোদি ও ছোট বাণিজ্যিক গাড়ির বিপণন সংক্রান্ত শীর্ষ কর্তা সন্দীপ কুমার জানান, ভবিষ্যতে ‘এস জিপ’-এর বৈদ্যুতিক এবং পেট্রোল ও সিএনজি-চালিত গাড়ি বাজারে আনার পরিকল্পনা আছে তাঁদের। জিপ বা ‘টাটা সুপার এস’-এর মতো পণ্যবাহী হাল্কা বাণিজ্যিক গাড়ির পাশাপাশি আইরিস, ম্যাজিক-এর মতো যাত্রীবাহী বাণিজ্যিক গাড়ির জন্যও পেট্রোল ইঞ্জিন তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান পিশারোদি। তবে রফতানি বাজারও লক্ষ্য সংস্থার। পশ্চিম এশিয়ায় তাদের বাণিজ্যিক গাড়ির বাজার রয়েছে, যেখানে আবার পেট্রোল গাড়ির চাহিদা বেশি। তাই সেখানে পেট্রোলচালিত গাড়ি বেচতে চায় সংস্থা।
পাশাপাশি আগামী দিনের জ্বালানি- সমস্যার কথা ভেবে এস, এস-জিপ, আইরিস ও ম্যাজিক-এর মতো গাড়ির বৈদ্যুতিক সংস্করণ নিয়েও কাজ করছে তারা। যেমন বৈদ্যুতিক ‘টাটা এস’-এর প্রোটোটাইপও তৈরি হয়ে গিয়েছে, জানান পিশারোদি। তাঁর আশা, নয়া সরকারের জমানায় পরিকাঠামোয় লগ্নি বৃদ্ধি বা অর্থনীতির চাকায় গতি ফিরলে সার্বিক ভাবেই বাণিজ্যিক গাড়ির বিক্রি বাড়বে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy