এই অটো করেই পাচার করা হচ্ছিল সোনা (বাঁ দিকে) উদ্ধার হওয়ৈ সোনা (ডান দিকে)। নিজস্ব চিত্র।
অটোয় করে সোনা পাচার হচ্ছে, গোয়েন্দাদের কাছে এমন খবর আসছিল বেশ কিছু দিন ধরেই। অবশেষে পাচার চক্রের চার সদস্যকে হাতেনাতে গ্রেফতার করল ডিরেক্টরেট অব ইন্টেলিজেন্স রেভেনিউ (ডিআরআই)। ধৃতদের মধ্যে তিন জনই মহিলা। বাকি এক জন অটোর চালক। ডিআরআই সূত্রে খবর, ধৃতের কাছ থেকে ১৪টি সোনার বাট উদ্ধার হয়েছে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় আড়াই কোটি টাকা।
গত বৃহস্পতিবার সল্টলেক থেকে উল্টোডাঙা রুটের একটি অটোর ‘টুল বক্স’-এর ভিতর থেকে উদ্ধার হয় সোনার বাটগুলি। ওই অটোতে যাত্রী সেজে উঠেছিলেন তিন জন মহিলা। দেখে বোঝার উপায় নেই তারা সোনা পাচারের সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু ডিআরআই-এর অফিসারদের কাছে আগে থেকেই এ বিষয়ে খবর ছিল যে, ওই অটো করে সোনা পাচার হচ্ছে। ফলে অটোচালকের গতিবিধির উপর কয়েক দিন ধরেই নজর রাখা হচ্ছিল। এ দিন আগাম খবর অনুযায়ী তিন মহিলা অটোতে চেপে গন্তব্যের দিকে যাওয়ার সময় অটোটিকে আটকান অফিসারেরা। তার পর হাতেনাতে অটোচালক-সহ ওই তিন মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়।
ডিআর আই সূত্রে খবর, ধৃত তিন মহিলা উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর বাসিন্দা। তাঁদের নাম রাখি বিশ্বাস, নমিতা বিশ্বাস এবং রিনা মণ্ডল। অটোচালক রাজকুমার সর্দার ওরফে রাজু। এই চক্রে আর কারা হয়েছে, ধৃতদের জেরা করে তা জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা।
গোয়েন্দারা জনাচ্ছেন, গাড়িতে করে সোনা পাচারে ঝুঁকি থেকে যায়। পুলিশি তল্লাশি বা গোয়েন্দাদের নজর এড়িয়ে তা নিয়ে যাওয়ার সময় গ্রেফতার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সে কারণে অটো, বাস বা ট্রেনে করে সোনা পাচারের একটি চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ‘অমর্যাদা’ নিয়ে থাকবেন না, গভীর রাত পর্যন্ত বৈঠক কৈলাসের সঙ্গে, ‘নিষ্কৃতি’ চাইলেন শোভন
আরও পড়ুন: অসমে চূড়ান্ত নাগরিক তালিকা প্রকাশ, বাদ পড়লেন ১৯ লক্ষ
জানা গিয়েছে, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া এলাকা থেকে প্রথমে ট্রেন বা বাসে করে কলকাতায় আনা হচ্ছে চোরাই সোনা। এই কাজে মোটা টাকার লোভ দেখিয়ে কম বয়সি যুবক এমনকি মহিলাদেরও কাজে লাগানো হচ্ছে। কলকাতায় আনার পর তা শহরের বিভিন্ন জায়াগায় পাচারের চেষ্টা চলছে। অটো করে পাচারের ঘটনায় নতুন কোনও চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy