ফাইল চিত্র
রাজ্য জুড়ে সাপ্তাহিক লকডাউনের প্রথম দিন থেকে পাঠ নিয়েই আজ, শনিবার ফের শহরবাসীকে ‘ঘরবন্দি’ করতে চায় লালবাজার। এ দিনও সকাল ৬টা থেকে রাস্তায় নামবে কলকাতা পুলিশের বাহিনী। ট্র্যাফিক গার্ড এবং থানা ছাড়াও প্রথম দিনের মতো অতিরিক্ত পুলিশ নামানো হবে। তাই সকাল থেকে দুপুর এবং দুপুর থেকে রাত, এই দু’টি শিফটে পুলিশকর্মীরা মোতায়েন থাকবেন।
বৃহস্পতিবার লকডাউন-বিধি না মানার জন্য মোট ১২৭৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তবুও ছোটখাটো কিছু ফাঁক নজরে এসেছিল লালবাজারের। যেমন, গলির মোড়ে বা বাইলেনে মানুষ ঘুরে বেড়িয়েছিলেন। তার পরে আজ, সেই ফাঁকটুকুও রাখতে চায় না পুলিশ। তাই প্রথম দিন দু’টি ড্রোন ওড়ানো হলেও এ দিন তিন জায়গা থেকে একসঙ্গে ড্রোন উড়িয়ে দেখা হবে, কোন এলাকার বাসিন্দারা বিধি ভেঙে ঘুরছেন। তৎক্ষণাৎ তাঁদের চিহ্নিত করা হবে।
লালবাজার সূত্রের খবর, আগের দিনের মতোই শহরের ২৮টি জায়গায় চলবে নাকা তল্লাশি। দু’টি শিফটের প্রতিটিতে পাঁচ জন করে পুলিশকর্মী এক জন করে অফিসারের নেতৃত্বে ওই তল্লাশি চালাবেন। গাড়িচালকদের থেকে অনুমতিপত্র পরীক্ষার সময়ে কর্মীরা যাতে সুরক্ষাবিধি মেনে চলেন, সেই নির্দেশ দিয়েছে লালবাজার। এক পুলিশকর্তা জানান, অন্য জেলা থেকে প্রয়োজনীয় অনুমতিপত্র ছাড়া কোনও গাড়ি যাতে শহরে ঢুকতে না পারে সে জন্য সিঁথির মোড়, উল্টোডাঙা, গড়িয়া-পাটুলি, জিঞ্জিরাবাজারের
মতো প্রবেশপথে কঠোর ভাবে লকডাউন বলবৎ করতে বলা হয়েছে। আগের দিনের মতোই বন্ধ বাজারের নজরদারিতে থাকছে বিশেষ ব্যবস্থা। শহরের ৫১টি বাজারে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। বন্ধ থাকলেও পোস্তা বা কোলে মার্কেটের মতো পাইকারি বাজারেও পুলিশ থাকবে।
পুলিশ সূত্রের খবর, এ বারের লকডাউনে ছাড় পায়নি দুধ। দুধ বিক্রির নামে কেউ দোকান খুললে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারণ, মূল লকডাউনের সময়ে দুধের দোকানের সামনের জটলা চোখে পড়েছে বার বার। দুধ আনার নাম করে অনেকেই অহেতুক বেরোন বলেই অভিজ্ঞতা পুলিশের। পাড়ার চায়ের ঠেকগুলিতে নজর রাখতে থানাগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে লালবাজার। অতিরিক্ত কন্ট্রোল রুম খোলা হচ্ছে আগের দিনের মতোই। থাকবেন কমব্যাট বাহিনীর দশ জওয়ান। যদিও আগের দিন কোথাও যেতে হয়নি ওই বাহিনীকে।
পুলিশবাহিনীতেও প্রতিদিন করোনায় আক্রান্তদের সংখ্যা বাড়ছে। ইতিমধ্যেই বাহিনীর ৯১৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। বাহিনীর মনোবল যাতে না ভাঙে, তা নিশ্চিত করতে প্রতিটি ইউনিটের ডিসিরা সদস্যদের খোঁজ নিচ্ছেন। ডিউটির সময়েও সকলে যাতে হাত ধোয়া, দূরত্ব-বিধি মেনে চলেন সে জন্য আধিকারিকদের ফের নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ কর্তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy