সংহতি: আইসিসিআর-এ আয়োজিত প্রদর্শনীর একটি ছবি
আইসিসিআর-এ অনুষ্ঠিত হল ‘শান্তি ও সংহতি’ শীর্ষক সমবেত প্রদর্শনী। বিপ্লব গোস্বামী এই প্রদর্শনীর আয়োজক। মানুষের ক্ষণস্থায়ী জীবনে তার নিরন্তর এক বিন্দু শান্তি-অন্বেষণকে ঘিরেই বস্তুত ঘনবদ্ধ হয়েছে শিল্পী বিপ্লব গোস্বামীর শিল্পভাবনা। শিল্পীরাই সমাজের অগ্রদূত, তাঁরাই পথপ্রদর্শক। তাই এই দুই বাংলার শিল্পীদের উপর বর্তেছে শান্তি ও সংহতির বার্তা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব। প্রদর্শনীতে নবীন শিল্পীদের আধিক্য লক্ষণীয়। এ ছাড়া প্রদর্শনীর আর একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে, দুই বাংলার আপাত সীমিত পরিসরকে অতিক্রম করে গোটা আঙ্গিককে এক সর্বভারতীয় রূপচিত্র দেওয়া যেখানে মুম্বই, দিল্লি, চেন্নাই ইত্যাদি বিভিন্ন প্রদেশের শিল্পীরা সমান তালে তাঁদের নিজস্ব বিশিষ্টতার উদ্ভাবনীতে অংশগ্রহণ করতে পারেন। ওঁদের প্রায় সকলের কাজেই একটি স্বকীয় নিজস্বতার ছাপ আছে যা প্রশংসার দাবি রাখে। চিন্তা বিষয়ক গভীরতা এবং আঙ্গিকের বিশিষ্টতা শিল্পকে প্রদান করেছে এক ভিন্ন মাত্রা। প্রত্যেক শিল্পীর কথা আলাদা ভাবে উল্লেখ করা হয়তো এই সীমিত পরিসরে সম্ভব নয়। তাই ব্যক্তিগত ভাবে যাঁদের কাজ আমার ভাল লেগেছে, আকৃষ্ট করেছে, তাঁদের কথাই এখানে উল্লেখিত হল।
প্রথমেই এই সমবেত প্রদর্শনীর যিনি কর্ণধার, তাঁর ছবি ‘প্রত্যাশা’র কথা না বললেই নয়। গভীর চিন্তা এবং নিজস্ব শিল্প ভাবনার সৌকর্যে তাঁর কাজটি অসাধারণ। এর পর উল্লেখের দাবি রাখে শিল্পী পারভেজ হাসানের ছবি
‘বন্দি আত্মা-৩’। তাঁর কাজটি প্রথাগত শৈলীতে সম্পন্ন কিন্তু আবেগের প্রকাশ লক্ষণীয়। এ ছাড়া শিল্পী রুহুল করিম রুমির ‘জলের সন্তান’ কাজটি খুবই আকর্ষণীয়। চিত্রশিল্পী বিভূতি অধিকারীর একটি কাজে আকাশে শোভা পাওয়া নানা রঙের ঘুড়ির মধ্যে শান্তি মুদ্রা অঙ্কিত একটি সাদা ঘুড়ির প্রাধান্য অবশ্যই মন কাড়ে এবং এটি একটি অত্যন্ত মনোরম কাজ। তরুণ ভাস্কর মিলন কুইলার কাঠের ভাস্কর্য ‘প্যাঁচা’ একটি সুন্দর কাজ। ভাস্কর সুব্রত কর্মকারের ‘শান্তি’ অবশ্যই দর্শনীয় কাজ। প্রবীণ ভাস্কর শঙ্কর ঘোষের ‘মা ও শিশু’ কাজটি অতি রমণীয়। অন্য কয়েক জন বিশিষ্ট শিল্পীর কাজ উল্লেখযোগ্য। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন রবীন মণ্ডল, ওয়াসিম কপূর, সমীর আইচ প্রমুখ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy