Advertisement
E-Paper

নিবিড় নিষ্ঠায় পরিবেশিত রবীন্দ্রসঙ্গীত

স্বরলিপি অক্ষুণ্ণ রেখেও সঙ্গীতে কী ভাবে নিজস্ব প্রাণ সঞ্চার করা যায়, শিল্পী তা অনায়াসেই প্রমাণ করেন।

শ্রীনন্দা মুখোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০১৮ ০০:০১
স্বপন গুপ্ত (বাঁ-দিকে)

স্বপন গুপ্ত (বাঁ-দিকে)

সম্প্রতি রবীন্দ্রনাথ টেগোর সেন্টার আই সি সি আর সত্যজিৎ রায় প্রেক্ষাগৃহ সাক্ষী রইল এক চমৎকার রবীন্দ্রসঙ্গীত সন্ধ্যার। যার সূচনায় কবি জয় গোস্বামী অনুষ্ঠানটিকে এক মনোময় বিনিসুতোয়
গেঁথে দেন।

প্রথমার্ধে গান শোনান শিল্পী অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায়। যিনি বয়সে তরুণ অথচ সঙ্গীত-অভিজ্ঞতায় যথেষ্ট ঋদ্ধ। নিবিড় নিষ্ঠায় পরিবেশিত তাঁর সঙ্গীতে বিস্তীর্ণ চর্চার পরিচয় রয়েছে। ‘আজি গোধূলি গগনে’ গানটি দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করার পর তিনি পরপর দশটি গান পরিবেশন করেন। যার মধ্যে বিশেষ ভাবে মনে দাগ কেটে যায় ‘আজি মম মন’, ‘তাই তোমার আনন্দ’ ও ‘যদি তোমার দেখা না পাই’ গানগুলি। ‘কে জানিত তুমি ডাকিবে আমারে’ গানটি পরিবেশনের গুণেই এক অন্য মাত্রা এনে দেয়। স্বরলিপি অক্ষুণ্ণ রেখেও সঙ্গীতে কী ভাবে নিজস্ব প্রাণ সঞ্চার করা যায়, শিল্পী তা অনায়াসেই প্রমাণ করেন।

দ্বিতীয়ার্ধে গান শোনান প্রবীণ শিল্পী স্বপন গুপ্ত। গাণের বাণীকে অন্তরের গভীরতা দিয়ে উপলব্ধির মাধ্যমে সঙ্গীত পরিবেশনের জন্য যে ক’জন বিরলগোত্রীয় শিল্পী চিহ্নিত, তাঁদের অন্যতম স্বপন যখন উচ্চারণ করেন, ‘বহু জনতার মাঝে অপূর্ব একা’, তখন একাকিত্বের অপূর্ব এক রূপ সমগ্র প্রেক্ষাগৃহকে ঘিরে ফেলে। গানের ভিতরে যে মরণ থেকে জাগার কথা রবীন্দ্রনাথ জানিয়েছেন, ‘তোমার কাছে এ বর মাগি’ নিবেদনের মধ্য দিয়ে শিল্পী তা মনে করিয়ে দেন। ‘যখন তুমি বাঁধছিলে’ গানটির রেশ বহুক্ষণের জন্য কানে লেগে থাকে।

যন্ত্রসঙ্গীতশিল্পীর নির্বাচনেও যথেষ্ট সচেতনতার পরিচয় পাওয়া যায়। বিপ্লব মণ্ডলের তবলা ও শিউলি বসুর এস্রাজ শুনলে মনে হয়, এই মানের সহযোগী শিল্পী থাকলেই সঙ্গীতের পূর্ণ রূপ ফুটিয়ে তোলা সম্ভব। ‘স্বপন পারের ডাক’ শিরোনামে এমন মনোজ্ঞ একটি সঙ্গীতসন্ধ্যা উপহার দেওয়ার জন্য ছন্দা চক্রবর্তী অবশ্যই ধন্যবাদের প্রাপক।

অনুষ্ঠান

সম্প্রতি উত্তম মঞ্চে আয়োজিত হল একটি মনোজ্ঞ সন্ধ্যা। অনুষ্ঠানটি নিবেদন করেছিল কান্ট্রি উইমেন অ্যাসোসিয়েশন ইন ইন্ডিয়া (কলকাতা সার্কেল)। দেবশঙ্কর হালদারের পরিচালনায় ‘বর্ণপরিচয়’ নামে একটি একাঙ্ক নাটক পরিবেশিত হয়। বক্তব্য রাখেন সংস্থার জাতীয় সেক্রেটারি অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায়।

রবীন্দ্র ওকাকুরা ভবনে আহ্বান আয়োজন করেছিল একটি নৃত্যসন্ধ্যার। গোটা অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন শ্রীপর্ণা বসু। শ্রীপর্ণা ছাড়াও নৃত্যানুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন সেঁজুতি বসু, সৃজা মুখোপাধ্যায়, আয়ুষী ঘোষ, সমন্বিতা বিশ্বাস, অভিষিক্তা ঘোষ, আদ্রিয়া দে প্রমুখ। এ দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পৌষালী মুখোপাধ্যায়, সুজিত বসু প্রমুখ।

সম্প্রতি বাংলা আকাদেমি সভাঘরে সায়েন্স অ্যান্ড কালচার অর্গানাইজ়েশন ফর ইউথ আয়োজন করেছিল ‘কাব্য-শ্রুতির যুগলবন্দি’। একক আবৃত্তি পরিবেশন করেন দেবাশিস ধাড়া, সুব্রতা সেনগুপ্ত, স্বাতী চট্টোপাধ্যায়, ঊষসী সেনগুপ্ত, সৌমেন কোনার, শ্রাবণী সেন, অলোক ঘোষাল, শিখা মুখোপাধ্যায়, ইভা কাঁড়ার, প্রসেনজিৎ ঘোষ, কাকলি দাস, হৃদয় সাঁই, মহুয়া দাস, সঞ্চিতা কবিরাজ, রবীন্দ্রনাথ পাল, কেয়া দাস বিশ্বাস, অরুণ দাস বিশ্বাস, পারমিতা ঘোষ, শ্রাবন্তী সাহা, বর্ণালী সরকার, অদ্রিজা চট্টোপাধ্যায়, ইতি সিংহ পাল, অরুণিমা দাস, চৈতালী ভট্টাচার্য, সুদীপ্তা চক্রবর্তী, আলমগীর হোসেন, কেয়া বিশ্বাস প্রমুখ। এ ছাড়াও অংশগ্রহণ করেন অমিতা ঘোষ রায়, সঞ্জয় দত্ত, নির্মলকুমার খাঁড়া, সোমা চৌধুরী প্রমুখ। গল্পপাঠ করেন তাপস ভট্টাচার্য। অনুষ্ঠানটির পরিচালনায় ছিলেন কাজল সুর এবং সম্পাদনায় অনুপম চট্টোপাধ্যায়।

Music Cultural Events
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy