Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

প্রত্যাশা মেটালেন না ‘নেত্রী’ নুসরত 

নুসরতের থেকে পেলেন কেজো দু’টি বাক্য— ‘‘আপনাদের উপস্থিতিতে আমার মন ভরে গেল। ডাকলেই হাজির হব।’’

আদর: বসিরহাটে নুসরত জাহান। নিজস্ব চিত্র

আদর: বসিরহাটে নুসরত জাহান। নিজস্ব চিত্র

নির্মল বসু
বসিরহাট শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০১৯ ০৫:১৭
Share: Save:

বাদুড়িয়াবাসীর নুসরত-দর্শন সুখের হল না।

হলেই-বা ভোট-প্রচারের মঞ্চ। বসিরহাট কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী নুসরত জাহানকে নিয়ে এলাকাবাসীর প্রত্যাশা ছিল তুঙ্গে। কেউ ভেবেছিল নুসরত পুরোদস্তুর রাজনৈতিক নেতার চেনা চিত্রনাট্য থেকে একটু সরে গিয়ে মঞ্চে হয়তো দু’এক কলি গান গাইবেন বা তাঁর অভিনীত জনপ্রিয় কোনও সিনেমার সংলাপ বলবেন।

বাস্তবে কিছুই ঘটল না। বদলে তাঁরা নুসরতের থেকে পেলেন কেজো দু’টি বাক্য— ‘‘আপনাদের উপস্থিতিতে আমার মন ভরে গেল। ডাকলেই হাজির হব।’’

গত কয়েক বছর ধরে বাদুড়িয়ায় আয়োজিত হচ্ছে ‘সম্প্রীতির মেলা’। সেখানে গত বছরের শিল্পী তালিকায় ছিলেন নুসরত। এলাকাবাসীর মতে, নাচে-গানে-সংলাপে মাতিয়ে দিয়েছিলেন অনুষ্ঠান-মঞ্চ। কিন্তু সে বার পয়সা খরচ করে টিকিট কেটে অনেকেই নুসরতকে দেখতে যেতে পারেননি।

সেই সব হতাশ গ্রামবাসীর ঘোর প্রত্যাশা ছিল, অনুষ্ঠান-মঞ্চের ‘অভিনেত্রী’ নুসরতকে দেখা না গেলেও ভোট-মঞ্চের ‘নেত্রী’ নুসরত তাঁদের মন ভরিয়ে দেবেন। রবিবার অসংখ্য মানুষ ভিড়ও জমিয়েছিলেন বাদুড়িয়ার এলএমএস হাইস্কুল মাঠে আয়োজিত তৃণমূলের কর্মিসভায়। সমবেত সমর্থকেরা নুসরতকে টানা অনুরোধও জানাচ্ছিলেন, ‘দিদি একটা গান করুন। যাওয়ার আগে অনন্ত একটা ডায়লগ শোনান।’’ আবেদনে সাড়া দেননি নুসরত।

আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

এ দিনের ভোটপ্রচার নুসরত অবশ্য শুরু করেন হিঙ্গলগঞ্জ থেকে। বাঁকড়া হাইস্কুল মাঠে আয়োজিত সেই কর্মিসভাতেও নুসরতকে দেখার জন্য ভিড় জমান অসংখ্য মানুষ। সেখানে নুসরত বলেন, ‘‘আমি মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তান, আপনাদের ঘরের মেয়ে। অনেক কষ্ট করে বড় হয়েছি। আমাকে সুন্দরবনের মানুষের জন্য কাজ করার সুযোগ দিন।’’ রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক দু’ টাকা দরে চাল, হাসনাবাদে বনবিবি সেতু-সহ রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কথা বলেন। লেবুখালি-হাসনাবাদ রুটে দু’লেনের রাস্তা এবং সরকারি বাসের পরিষেবা দেওয়ার কথাও বলেন।হিঙ্গলগঞ্জ থেকে নুসরত আসেন বাদুড়িয়ার পুরপ্রধান তুষার সিংহের বাড়িতে। দুপুরের মেনুতে ছিল ভাত, টক ডাল, শুক্তো, ইলিশ মাছ, দেশি মুরগি। সঙ্গে টকদই ও শশা। সেখানে নুসরত জানান, তিনি বাড়ির রান্না খেতেই সব চেয়ে ভালবাসেন। সকালে বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময়ে হালকা কিছু খেয়ে নেন। গাড়িতে রাখেন চকোলেট, আপেল।

বাদুড়িয়ার কর্মিসভায় তিন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, সুজিত বসু এবং তাপস রায় উপস্থিত ছিলেন। এখানে জ্যোতিপ্রিয় বলেন, ‘‘উন্নয়নের নিরিখে লক্ষাধিক ভোটে জয়ী করুন আপনাদের ঘরের মেয়ে নুসরতকে। আপনাদের স্বপ্নের বাদুড়িয়া গড়ে দেব।’’ এর পরে নুসরত বসিরহাট উত্তর এবং বসিরহাট দক্ষিণে আয়োজিত আরও দু’টি কর্মিসভায় যান।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE