প্রতীকী ছবি।
কলেজে ভর্তি নিয়ে দুর্নীতি রুখতে কড়া পদক্ষেপ করার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। নিজেও আচমকা হাজির হয়েছেন কলেজে। একই নির্দেশ দিয়েছেন সরকারের আরও কিছু মন্ত্রীকে। সতর্ক থাকার নির্দেশ গিয়েছে পুলিশ-প্রশাসনের শীর্ষ মহল থেকেও।
ছাত্রদের পাশে থাকতে প্রচার শুরু করছে পুলিশ। গত কয়েক দিন ধরে ক্যানিং থানার পুলিশ ছাত্র ভর্তি নিয়ে দুর্নীতি রুখতে নানা ভাবে প্রচার চালাচ্ছে। পুলিশের পক্ষ থেকে সরকারি অফিস, স্কুল-কলেজ, স্টেশন, বাজার-সহ বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার মেরে, হ্যান্ডবিল বিলি করছে। মাইকে প্রচার চলছে। ক্যানিংয়ের বঙ্কিম সর্দার কলেজ-সহ বিভিন্ন কলেজে যাতে ছাত্র ভর্তি নিয়ে কেউ টাকা চাইলে সেই অভিযোগ সরাসরি পুলিশকে জানাতে বলা হচ্ছে। ভর্তি নিয়ে কোনও সমস্যা থাকলে বা ভর্তি নিয়ে কোনও রকম হুমকি দেওয়া হলে সঙ্গে সঙ্গে সে কথা পুলিশকে জানাতে বলা হচ্ছে। অভিযোগকারীর পরিচয় গোপন রাখা হবে বলে আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে। হ্যান্ডবিল বা পোস্টারে ক্যানিং থানার ই-মেল আইডি, হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর, ফোন নম্বর দেওয়া থাকছে।
মহকুমা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘বিভিন্ন জায়গায় ছাত্র ভর্তি নিয়ে নানা অভিযোগ উঠছে। অনেক ছাত্র হয় তো ভয়ে কিছু বলতে পারছে না। আমরা তাই ছাত্রদের পাশে থাকতে, তাদের সব রকম ভাবে সাহায্য করতে এই উদ্যোগী হয়েছি।’’
বঙ্কিম সর্দার কলেজের প্রথম বর্ষের এক ছাত্র বলেন, ‘‘আমি কলকাতার একটি কলেজে ভর্তি হতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সেখানে ভর্তি হতে গেলে ইউনিয়নের ছেলেরা তাদের টাকা দিতে বলেছিল। তাই আমি ওই কলেজে ভর্তি না হয়ে বাড়ির কাছে কলেজে ভর্তি হই। এখানে ইউনিয়নের কোনও ঝামেলা ছিল না।’’
বঙ্কিম সর্দার কলেজের অধ্যক্ষ তিলক চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমার কলেজে ছাত্র ইউনিয়নের কোনও ঝামেলা নেই। কলেজে কোনও ভাবেই বহিরাগতদের প্রবেশ করতে দিই না। তাই আমার কলেজে ছাত্র ভর্তি নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ নেই।’’ তিনি জানান, কলেজে ভর্তি প্রায় শেষ। ক্লাস শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে তফসিলি জাতি-উপজাতি কোটায় কিছু আসন ফাঁকা রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy