Advertisement
E-Paper

দিল্লি ডায়েরি:সাইপ্রাসের নেতার নামে রাস্তা কেন দিল্লিতে

১৯৫৫ সালে ইন্দোনেশিয়াতে অ্যাফ্রো এশিয়ান সম্মেলনে সাইপ্রাসের নেতা আর্চবিশপ তৃতীয় মাকারিয়স একমাত্র ইউরোপীয় নেতা হিসাবে যোগ দিয়েছিলেন। তাতে ভারতের প্রধান ভূমিকা ছিল।

প্রেমাংশু চৌধুরী, অগ্নি রায়, অনমিত্র সেনগুপ্ত

শেষ আপডেট: ২২ জুন ২০২৫ ০৭:৩৬
মৈত্রী: ১৯৬২ সালে ভারত সফরের সময় দমদম বিমানবন্দরে আর্চবিশপ মাকারিয়স।

মৈত্রী: ১৯৬২ সালে ভারত সফরের সময় দমদম বিমানবন্দরে আর্চবিশপ মাকারিয়স।

দিল্লির গলফ লিঙ্ক এলাকায় একটি রাস্তার নাম আর্চবিশপ মাকারিয়স মার্গ। কে এই আর্চবিশপ মাকারিয়স, অনেকেই জানেন না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাইপ্রাস সফরে এই ব্যস্ত রাস্তা ফের খবরে উঠে এল। ব্রিটিশদের থেকে সাইপ্রাস স্বাধীনতা পায় ১৯৬০ সালে। স্বাধীনতা দিবস ১৬ অগস্ট। পঞ্চাশের দশকে ভারত সাইপ্রাসের স্বাধীনতার জন্য আন্তর্জাতিক মঞ্চে জোর সওয়াল করেছিল। ১৯৫৫ সালে ইন্দোনেশিয়াতে অ্যাফ্রো এশিয়ান সম্মেলনে সাইপ্রাসের নেতা আর্চবিশপ তৃতীয় মাকারিয়স একমাত্র ইউরোপীয় নেতা হিসাবে যোগ দিয়েছিলেন। তাতে ভারতের প্রধান ভূমিকা ছিল। দু’বছর পরে রাষ্ট্রপুঞ্জে ভি কে কৃষ্ণ মেনন সাইপ্রাসের হয়ে ঝড় তুলেছিলেন। আর্চবিশপ তৃতীয় মারাকিয়স স্বাধীন সাইপ্রাসের প্রথম প্রেসিডেন্ট হয়ে ভারতে এসে দু’সপ্তাহ ছিলেন। জওহরলাল নেহরুর মৃত্যুর পরে সাইপ্রাসে জাতীয় ছুটি ঘোষণা হয়। আশির দশকে দিল্লির গলফ লিঙ্কের রাস্তার নামকরণ হয় আর্চবিশপ মাকারিয়সের নামে।

মৈত্রী: ১৯৬২ সালে ভারত সফরের সময় দমদম বিমানবন্দরে আর্চবিশপ মাকারিয়স।

মৈত্রী: ১৯৬২ সালে ভারত সফরের সময় দমদম বিমানবন্দরে আর্চবিশপ মাকারিয়স।

মুখ বদলায়

বয়স গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বদলে যায় মুখচ্ছবি। মাথায় দেখা যায় রুপোলি রেখা, মুখে আসে প্রৌঢ়ত্বের ছাপ। দীর্ঘ যাত্রাপথের ছবি পর পর দেখলে চমক তো লাগেই। এমনটাই হল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহের। মোদী সরকারের এগারো বছর পূর্তিতে অন্যান্য মন্ত্রকের মতো কর্মী জনঅভিযোগ ও পেনশন মন্ত্রকও সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করেছিল। সেখানে প্রশাসনিক সংস্কার বিষয়ক সচিব ভি শ্রীনিবাস একটি ছবির কোলাজ তুলে ধরলেন, যেখানে গত এগারো বছরে মন্ত্রীকে মন্ত্রকের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখা যাচ্ছে। জিতেন্দ্র সিংহ জানান, ভেবেছিলেন মন্ত্রকের মুখ কী ভাবে সময়ের সঙ্গে বদলায় সেটি দেখবেন। দেখলেন, নিজের পরিবর্তিত মুখও ধরা রয়েছে!

পারিবারিক

বিজেপির প্রধান শরিক নীতীশ কুমারের দল জেডি(ইউ)-এর জাতীয় কার্যনির্বাহী সভাপতি, রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় কুমার ঝা। তাঁর দুই কন্যাই পেশায় আইনজীবী— এক জন দু’বছর আগে, আর অন্য জন মাত্র এক বছর আগে আইনের স্নাতক হয়েছেন। সম্প্রতি দু’জনেই নিযুক্ত হলেন সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্রীয় সরকারের বিশেষ আইনজীবী হিসাবে— রাষ্ট্রপতির নামে জারি করা নির্দেশনামায় প্যানেলে নাম রয়েছে দু’জনেরই। প্রসঙ্গত, এনডিএ-র সংখ্যাগরিষ্ঠতা বজায় রাখতে বিজেপির কাছে জেডি(ইউ)-এর গুরুত্ব বিপুল। পরিবারবাদ নিয়ে নরেন্দ্র মোদী কংগ্রেসের দিকে আঙুল তোলেন। যুব কংগ্রেস সভাপতি উদয় ভানু চিবের প্রশ্ন, সুপ্রিম কোর্টেও কি পৌঁছে গেল পরিবারবাদ ও দুর্নীতি?

মিষ্টি বিপদ

ওজন বাড়ার ভয়ে আপাতত প্রিয় মিষ্টিকে দূরে সরিয়ে রেখেছেন বিজেপির পশ্চিমবঙ্গের জাতীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনসল। কেউ মিষ্টি পাঠালে সামান্য ভেঙে মুখে দেন তিনি। কিন্তু কানপুরের ‘ঠগ্গু কে লাড্ডু’ দোকানের লাড্ডু পেলে বাধানিষেধ মানার প্রশ্নই ওঠে না। “অ্যায়সা কোই সগা নেহি, জিসকো হামনে ঠগা নেহি।” (এমন কেউ কাছের লোক নেই, যাকে ঠকাতে বাদ রেখেছি।) এই স্লোগান দিয়েই গত একশো বছরের বেশি লোকেদের ঠকিয়ে (মিষ্টি বিক্রি করে) যাচ্ছেন ঠগি ভাইয়েরা। বিজেপির দিল্লির সদর দফতরে ঠগির দোকানের লাড্ডু আয়েশ করে মুখে দিয়ে ঠগিদের ইতিহাস জানাতে জানাতে বনসলের সহাস্য আক্ষেপ, “আবার ওজন বেড়ে চলেছে। আসলে দলের কাজের জন্য বার বার পশ্চিমবঙ্গে যেতে হচ্ছে। যেখানেই যাচ্ছি সেখানেই খালি রসগোল্লা আর আম খেতে দিচ্ছে। বাংলায় তো জেলায় জেলায় আমের স্বাদ আলাদা। চেখে দেখতেই হয়।”

রসিক: সুনীল বনসল।

রসিক: সুনীল বনসল।

নাম বিভ্রাট

শরদ পওয়ার কংগ্রেস ভেঙে বেরিয়ে এনসিপি তৈরি করেছিলেন। সেই এনসিপিও ভেঙে দু’টুকরো। এক দিকে শরদ ও তাঁর কন্যা সুপ্রিয়া সুলের এনসিপি (এসপি)। অন্য দিকে, শরদের ভাইপো অজিত পওয়ারের এনসিপি। এরই মধ্যে শরদ এনসিপির পুনর্মিলনের সম্ভাবনা নিয়ে বলেছেন, সুপ্রিয়াই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। অপারেশন সিঁদুর নিয়ে সর্বদলীয় প্রতিনিধি দলের নেত্রী রূপে সুপ্রিয়া বিদেশ সফরে গিয়েছিলেন। তাঁর নামের পাশে দলের নাম লেখা, এনসিপি। তবে কি দুই এনসিপি মিলে গেল? তাঁর দফতর জানিয়েছে, তালিকা ঘোষণার পরই সরকারকে দলের নাম সংশোধনের কথা বলা হয়েছে।

Cyprus Sunil Bansal
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy