Advertisement
E-Paper

‘মাইর দিব’, বলেছিলেন তিনি, ‘মার’ দেওয়াই তাঁর কাল হল!

পনেরো বছর আগের সেই বাক্যটি নিছকই স্নেহপ্রবণ সুরে বলা ছিল বটে। কিন্তু সোমবার দুপুরে ঢাকার আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনালে হাসিনার ফাঁসির সাজা ঘোষণার সময় সেই শব্দটাই ঘুরেফিরে আসছিল— ‘মাইর দিব’।

অনিন্দ্য জানা

অনিন্দ্য জানা

শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২৫ ০৭:৫৪
2025 to 2008: Down memory lane about Sheikh Hasina the ousted Prime Minister of Bangladesh after the verdict of her Death Sentence

নিজের ফাঁসির সাজা নিজের কানে শোনা কি সহজ বিষয়? ছবি: গেটি ইমেজেস।

দাঁড়ান-দাঁড়ান! আনন্দবাজার পত্রিকা কী বলতে চায় আগে শুনি! তিনি বাক্যটা বলামাত্র গোটা হলঘরের মুন্ডু ঘুরে গেল আমার দিকে। কী মুশকিল!

ঢাকার শের-এ-বাংলা নগরে আলিসান ‘চিন-বাংলাদেশ সম্মেলন কেন্দ্র’। সেখানে সকাল-দুপুরের মাঝামাঝি একটা সময়ে সাংবাদিক সম্মেলন। বাংলাদেশ তো বটেই, বিদেশ থেকেও বাঘা-বাঘা সাংবাদিক এসেছেন। আর তাঁদের সঙ্গেই ‘জয় বাংলা’ বলে ঢুকে পড়েছেন অগুনতি আওয়ামী লীগ কর্মকর্তা। বড়-মেজো-সেজো-ছোট নানা সাইজের। সাংবাদিক সম্মেলন তো নয়, বিজয়োৎসবই হচ্ছে বুঝি! ২০০৮ সালের ডিসেম্বরের এক্কেবারে শেষ দিন। মানে, বছরের শেষ দিন। তার আগের দিনই বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনে বিপুল জয় পেয়েছেন শেখ হাসিনা। খালেদা জিয়ার বিএনপি-কে ধসিয়ে দিয়ে দ্যাখ-দ্যাখ করে জিতেছে আওয়ামী লীগ। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের ভাষায় ‘ভূমিধস বিজয়’। ইংরেজি লেখা সাংবাদিকদের কলমে ‘ল্যান্ডস্লাইড ভিক্ট্রি’।

বাংলাদেশে ভোট হয় শাশ্বত ব্যালটপেপারে। এখনও। তখনও। ফলে গোনা শুরু হয়ে শেষ হতে হতে সকাল পেরিয়ে রাত। কখনও রাতভোর। রাত পেরিয়ে ভোর। কিন্তু অতক্ষণ দেরি করলে কি চলে? ফলে গণনা শুরুর দিনেই গভীর রাতে ঢাকা থেকে পাঠানো ডেসপ্যাচে লিখে দিলাম ওই, ‘ভূমিধস বিজয়’! শুনলাম, প্রথম পাতায় বিশাল করে ‘লিড’ হচ্ছে পরদিনের কাগজে। মারহাব্বা বলে টিভি দেখতে বসে পড়লাম। তার পরে লিড ওয়ান-জনিত সুখের ঘুম।

অতটা সুখও কপালে ছিল না অবশ্য। সকাল হতে না-হতেই প্রধান সম্পাদকের ফোন, ‘‘এসব কী লিখেছ? ভূমিধস বিজয়-টিজয়? এখনও তো কাউন্টিং শেষই হয়নি! আর তুমি এখনই লিখে দিলে ল্যান্ডস্লাইড?’’

জীবনে অনেক পাপ করলে সাতসকালে ঝাড়ের ফোন পেতে হয়! অনেকখানি তো-তো-তো-তো এবং একটুখানি মিউমিউ করে তাঁকে বোঝালাম, বিজয়টা ভূমিধসই হতে চলেছে। আমি শুধু একটু আগে সেটা লিখে দিয়েছি। চিন্তার কিছু নেই। দিন গড়ালেই বোঝা যাবে। ভাগ্যিস বাস্তবে তার অন্যথা হয়নি। চাকরিও বেঁচেছিল।

সে দিনই সন্ধ্যায় হাসিনার সঙ্গে প্রথম দেখা আওয়ামী লীগের ধানমন্ডির দফতরে। মাঝারি মাপের বাড়ির কোনও একটা ঘরে রয়েছেন তিনি। বাড়ির সামনে গার্ডরেল। উটকো লোকের প্রবেশাধিকার নেই। সেটাই অবশ্য স্বাভাবিক। বিরোধী থেকে রাজনীতিকেরা যখন ঝপ করে ক্ষমতাসীন হয়ে যান, তখন তাঁদের নাগাল পাওয়া দুষ্কর হয়ে ওঠে। বিরোধী থাকাকালীন যাঁরা খুব আপনজনের মতো ব্যবহার করেন, ক্ষমতায় গেলে তাঁদের আবার দিন ২৪ থেকে ১২ ঘণ্টার হয়ে যায়! সময়ই পান না। বাংলাদেশের জনতা যে সেটা জানে না, তা নয়। কিন্তু ভূমিধস বিজয় তো আফটার অল! হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে, হাসিনাকে দেখতে গোটা দেশ থেকে হুদো হুদো লোক এসে জমেছে ধানমন্ডিতে। তার সঙ্গে দেশি-বিদেশি সংবাদমাধ্যমের ক্যাঁচরম্যাঁচর। যারা প্রায় তাঁবু খাটিয়ে ফেলেছে ধানমন্ডির বাড়ির কাছাকাছি এলাকার বিভিন্ন প্রান্তে। একে একে আসছেন ঢাকায় বসবাসকারী বিদেশি কূটনীতিকেরা। রাত পোহালে যিনি দেশের প্রধানমন্ত্রীর গদিতে বসবেন, তাঁর সঙ্গে হটলাইনটা খুলে রাখতে হবে তো।

সেই ঢেউয়ে ভেসে আসা খড়কুটোর মতো ঘুরপাক খাচ্ছি। দুপুর থেকে অপেক্ষা করতে করতে অবশেষে সন্ধ্যার পরে বাড়ির ভিতরে যাওয়ার অনুমতি পাওয়া গেল। মেটাল ডিটেক্টর, দেহতল্লাশি-টল্লাশি ইত্যাদি পেরিয়ে ঢুকে বিভিন্ন ঘরে উঁকি মারছি। এদিকে-ওদিকে পোস্টার, ব্যানার, লিফলেট ডাঁই করে রাখা। কিছু লোকজন ব্যস্তসমস্ত হয়ে ঘোরাফেরা করছেন। কিন্তু ‘আপা’ কই?

একটা ঘরে বসতে বলা হল। কিছুক্ষণের মধ্যেই পাশের একটা চোরা দরজা খুলে আবির্ভূত হলেন তখন একষট্টি বছরের হাসিনা। পরনে জমকালো ঢাকাই শাড়ি। মাথায় ঘোমটা। সেই ঘোমটার আড়াল থেকে দেখা যাচ্ছে মাথার কাঁচাপাকা চুল। দু’কানে দু’টি ঝকঝকে মুক্তো। রিমলেস চশমার ওপারে দু’টি খর চোখ। সেই চোখের কটা রঙের মণি ঠিকরোচ্ছে। সরাসরি তাকালে খানিক অস্বস্তিই লাগে। গলাটা সামান্য ফ্যাঁসফেঁসে। কলকাতা থেকে যাওয়া সাংবাদিকের সঙ্গে তিনি যে ভারতের ‘অভিভাবকত্ব’ (বাংলাদেশের তিন দিকই ভারত দিয়ে ঘেরা) নিয়ে আলোচনা করবেন এবং কৃতজ্ঞতা জানাবেন, সেটা তো স্বাভাবিক। কিন্তু পরদিন সকালে যে তিনি সকলকে থামিয়ে আনন্দবাজার পত্রিকা কী প্রশ্ন করছে জানতে এতটা উদগ্র হয়ে উঠবেন সেটা ভাবিনি।

তখন কখনও অনুপ চেটিয়া কখনও পরেশ বরুয়া নিয়ে ভারত-বাংলাদেশ প্রতিনিয়ত ক্যাঁওম্যাও চলছে। নিষিদ্ধ সংগঠন আলফার জঙ্গি নেতা অনুপ অসম থেকে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে লুকিয়ে আছেন এবং সেখান থেকে ভারতে নানা নাশকতামূলক কাজকর্মের ছক কষছেন বলে খবর ছড়াচ্ছিল। হবু প্রধানমন্ত্রীকে সেই বিষয়েই প্রশ্ন করল আনন্দবাজার পত্রিকা। হাসিনা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বললেন, ‘‘বাংলাদেশের মাটিকে কোনও ধরনের ভারতবিরোধী ক্রিয়াকলাপের জন্য ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না।’’

ব্যস, আর কী? আমার পরদিনের পেজ ওয়ানও হয়ে গেল!

এক ঘণ্টারও বেশি সাংবাদিক বৈঠকে খালেদা জিয়াকে নিয়েও প্রশ্ন করেছিলেন বাংলাদেশের সাংবাদিকেরা। যতদূর মনে পড়ছে, গম্ভীর নানা কূটনৈতিক এবং প্রশাসনিক বিষয়ের মধ্যে সবচেয়ে হালকা এবং রসিক সেই অংশটাই। হাসিনা-খালেদা আকচাআকচি বরাবরই গোটা বাংলাদেশে বহুশ্রুত, বহুলপ্রচারিত এবং দৈনিক আলোচনার খাদ্য। খানিক দুষ্টুমি করেই এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেছিলেন, খালেদাকে অভিনন্দন জানাবেন না? হাসিনা বলেছিলেন, ‘‘অনেস্টলি, আমি একটু বিভ্রান্ত। অনেক বার ফোনটা হাতে নিয়েও আর ডায়াল করিনি। যদি উনি ভাবেন, ওঁরা হেরে যাওয়ায় আমি টিজ় করছি! ফুল-টুলও পাঠাইনি। বুঝতে পারছি না, উনি কী ভাবে নেবেন।’’ তার পরেই প্রশ্নকর্তা সাংবাদিকের দিকে তাকিয়ে নিচুগলায়, ‘‘তোমারে মাইর (মার) দিব আমি।’’

পনেরো বছর আগের সেই বাক্যটি নিছকই স্নেহপ্রবণ সুরে বলা ছিল বটে। কিন্তু সোমবার দুপুরে ঢাকার আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনালে হাসিনার ফাঁসির সাজা ঘোষণার সময় সেই শব্দটাই ঘুরেফিরে আসছিল— ‘মাইর দিব’। কারণ, হাসিনার বিরুদ্ধে অন্যতম অভিযোগ, গত বছরের জুলাইয়ে গোটা বাংলাদেশ জুড়ে ‘মাইর’ দেওয়ারই। ‘মার’ আসলে অত্যন্ত লঘু শব্দ। হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ নিছক ‘মার’ দেওয়ার নয়, ‘খুন’ করার!

নিজের ফাঁসির সাজা নিজের কানে শোনা কি সহজ বিষয়? সোমবার হাসিনার সঙ্গেই মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি হয়েছে বাংলাদেশের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের। তাঁকে সরাসরি এই প্রশ্ন করেছিল সহকর্মী ঈশানদেব চট্টোপাধ্যায়। কামাল বলেছিলেন, ‘‘ঠিকই বলেছেন। নিজের ফাঁসির নির্দেশ শোনা সহজ তো নয়ই। সহজ মনেও হয়নি।’’

তাঁর ফাঁসির আদেশ কোনও দিন কার্যকর হবে কি না, ভারত তাঁকে বাংলাদেশে ফেরাবে কি না, সে সমস্তই এখন ভবিষ্যতের গর্ভে। হাসিনা নিজেও তা বিলক্ষণ জানেন। জানেন যে, প্রথমত ভারত তাঁকে এমন কোনও বিপদের মধ্যে ঠেলে দেবে না, যাতে তাঁর প্রাণসংশয় হয়। কারণ, মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন তদারকি সরকার এক বছর আগেই ভারতের কাছে হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর আর্জি জানিয়ে রেখেছে। ভারত যথারীতি তাতে কান দেয়নি। দ্বিতীয়ত, যে তদারকি সরকারের অধীনে হাসিনার বিচার হল, তার ‘সাংবিধানিক স্বীকৃতি’ নিয়েও সংশয় রয়েছে। ফলে তাদের সরকারের আমলের ট্রাইবুনালের বিচারের রায় ‘বৈধ’ কি না, তা নিয়েও আন্তর্জাতিক স্তরে প্রশ্ন উঠবে।

ফলে হাসিনার আশু কোনও বিপদ নেই। কিন্তু তা-ও আমার মনে হচ্ছিল, হাসিনা নিজে তখন কী ভাবছিলেন? তাঁর যে কঠিনতম শাস্তি হতে চলেছে, সে বিষয়ে আন্দাজ তো ছিলই তাঁর। এত দিনের পোড়খাওয়া রাজনীতিক। এত ঘাত-প্রতিঘাত দেখেছেন। তাঁর প্রধানমন্ত্রিত্বের আমলে বাংলাদেশের বিভিন্ন কারাগারে ঝুড়ি-ঝুড়ি লোকের ফাঁসি হয়েছে। কিন্তু প্রতিবেশী দেশে আপাত-নিশ্চিন্ত রাজনৈতিক আশ্রয়ে বসে টিভি-তে নিজের ফাঁসির আদেশ শুনতে ধক লাগে বইকি! বিশেষত, তিনি যদি সেই দেশেরই একাধিক বারের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হন। এবং যদি তাঁর আমলেই গঠিত ট্রাইবুনাল (জামাত এবং রাজাকারদের বিচার এবং শাস্তির জন্য) তাঁরই মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করে।

মঙ্গলবার রাতে ঘটনাচক্রে জানলাম হাসিনা তাঁর ফাঁসির আদেশ শুনে দলের নেতাদের কী বলেছেন। কলকাতায় আওয়ামী লীগের বড় নেতাদের অনেকেই গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে আশ্রিত। তাঁদেরই কয়েক জনের সঙ্গে দেখা হয়েছিল। নাম-পরিচয় এবং তাঁরা কোথায় ঘাপটি মেরে আছেন, তা বলা অবশ্য কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ। হাজার হোক, কলকাতা শহরের কেন্দ্রে এখনও জামাতের দফতর আছে। তাঁদের কাছে জানতে চেয়েছিলাম, ঢাকার আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনাল ফাঁসির রায় ঘোষণার পরে নেত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে কি না। যে জবাব এল, তাতে বুঝলাম, এখন আটাত্তর হলেও শেখ হাসিনা এখনও ওই রকমই আছেন। নইলে কেউ বলতে পারেন, ‘‘ইউনূস আমাকে কী ফাঁসি দিবে? আমি অরে ফাঁসি দিব! আল্লা আমারে গ্রেনেড হামলা থেকে কি এমনি এমনি প্রাণে বাঁচিয়েছিল?’’

অর্থাৎ, ফাঁসি-টাসি শুনে হতাশ হওয়া তো দূরস্থান, তিনি নতুন করে কোমর বাঁধছেন। জমায়েতে একটা অভিমত উঠল যে, নিজের মৃত্যুদণ্ডাদেশ নিজে শোনার মতো এই ধরনের পরিস্থিতিতে কী প্রতিক্রিয়া হবে, তা অনেকটা নির্ভর করে সেই লোকটার অবস্থানের উপর। সে যদি নিরাপদ একটা জমিতে থাকে, তা হলে এক রকম প্রতিক্রিয়া হবে। বিপদের মধ্যে থাকলে (যেমন জেলে) তার প্রতিক্রিয়া অন্য রকম। শুনে মনে হল, ঠিকই। হাসিনা প্রত্যাবর্তনের (না কি প্রত্যাঘাত) জন্য কোমর বাঁধছেন কারণ, তিনি জানেন, ভারতে তাঁর আশ্রয়টি পাকা। যেমন মুজিব-হত্যার পর ছিল। একই সঙ্গে মনে হল, হয়তো প্রাণটা যাবে না। কিন্তু জীবনটা তো এলোমেলো হয়ে গেল। ভিন্‌দেশের সেফ হাউসে দিন কাটাতে কাটাতে তাঁর কি কখনও মনে হয়, ক্ষমতার মদমত্ততা না-দেখালেও চলত? কে জানে!

বাংলাদেশে স্বৈরাচারী শাসন কায়েম করেছিলেন। তাঁর আমলে বাংলাদেশে এমন দুর্নীতি হয়েছে, যা পুকুরচুরির সমান। ক্ষমতাসীন হাসিনা প্রচুর অন্যায় করেছেন। অত্যাচার করেছেন। গুমখুন করিয়েছেন। মৌলবাদীদের তোল্লাই দিয়েছেন। বছরের পর বছর নিজের পক্ষে একতরফা ভোট করিয়েছেন। বিরোধীদের সকলকে ধরে ধরে নির্বিচারে জেলে পুরেছেন। একটা গোটা দেশের গণতন্ত্রকে প্রহসনে পরিণত করেছেন। ফলে তাঁর বিরুদ্ধে এমন ‘অভ্যুত্থান’ হওয়ারই ছিল। আশ্চর্য নয় যে, তিনি তার আঁচ পাননি। পাননি, কারণ মাটির সঙ্গে তাঁর, তাঁর দলের যোগসূত্রটাই ছিঁড়ে গিয়েছিল। ক্ষমতা মানুষকে গ্যাসবেলুনের মতো ফাঁপিয়ে আকাশে তুলে দেয়। এতটাই উপরে তোলে যে, জমির সঙ্গে সম্পর্কটাই নষ্ট হয়ে যায়। হাসিনারও তা-ই হয়েছিল। তাঁর দলেরও যে হয়েছিল, তা তো রাতের জমায়েতে যোগদানকারী নেতারা স্বীকারও করে নিলেন। সেই কারণেই অভ্যুত্থান মোকাবিলায় দমননীতি নিতে হয়েছিল তাঁদের। অর্থাৎ, ‘মাইর’। যে কারণে হাসিনার ফাঁসির রায় শুনে আদালতকক্ষে হাততালির ঝড় ওঠে। যে কারণে আওয়ামী লীগের শীর্ষনেতাদের এখনও কলকাতায় ‘আশ্রিত’ হয়ে থাকতে হয়।

মার দিলে কোনও না কোনওদিন পাল্টা মারও খেতে হয়। হাসিনা মার দিয়েছিলেন। সেটাই তাঁর কাল হল!

Sheikh Hasina death sentence Bangladesh Politics Bangladesh Protest
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy