E-Paper

সম্পাদক সমীপেষু: অব্যবস্থার পরিণতি

নিঃসন্দেহে এই বিজয়-উৎসবের আয়োজনে প্রশাসনিক স্তরে খামতি বা আয়োজক সংস্থার তরফে চরম অব্যবস্থাপনার কারণেই ১১ জন তরতাজা ক্রীড়াপ্রেমিকের অকালমৃত্যু ঘটল। এই প্রশ্নও ওঠা স্বাভাবিক, যে স্টেডিয়ামে তেত্রিশ হাজার লোক ধরে, সেখানে দু’লক্ষ লোকের সমাবেশ ঘটে কী করে?

শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০২৫ ০৪:২২
Share
Save

ক্রীড়াজগতের ক্যালেন্ডারে ৪ জুন একটি ‘কালো দিন’ হিসাবে সংযোজিত হল। বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (আরসিবি) দলের প্রথম বার ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) জয়ের উৎসব পালনের সাক্ষী থাকতে এসে পদপিষ্ট হয়ে চলে গেল ১১টি তরতাজা প্রাণ। এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় সমগ্র ক্রীড়াজগৎ শোকস্তব্ধ। বলা বাহুল্য, এ দেশের ক্রীড়াপ্রেমিকরা এতটাই স্পর্শকাতর যে, প্রিয় দলের জয়ে আনন্দে তাঁরা যেমন আবেগে ভাসেন, তেমনই দল হেরে গেলে দুঃখে অঝোরে কাঁদেন। দলের প্রতি অতি ভালবাসা থেকেই এমন লাগামছাড়া আবেগের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। যে দল ১৭ বছর পর আইপিএল-এ প্রথম বার জয়ী হল, তার বিজয়-উৎসবে মানুষের উন্মাদনার কারণে এমন জনজোয়ার যে হতে পারে, তা আয়োজক সংস্থা, পুলিশ বা প্রশাসনের বোঝা উচিত ছিল। জানা গিয়েছে, স্টেডিয়ামের ভিতরে যখন বিজয়োৎসব চলছে, তখন বাইরে বিশৃঙ্খলার কারণে হতাহত হলেন অনেকে। আয়োজক সংস্থার কানে কি পৌঁছয়নি এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনা বা মৃত্যুর খবর? সে ক্ষেত্রে অনুষ্ঠান তো সঙ্গে সঙ্গেই বন্ধ করা উচিত ছিল।

নিঃসন্দেহে এই বিজয়-উৎসবের আয়োজনে প্রশাসনিক স্তরে খামতি বা আয়োজক সংস্থার তরফে চরম অব্যবস্থাপনার কারণেই ১১ জন তরতাজা ক্রীড়াপ্রেমিকের অকালমৃত্যু ঘটল। এই প্রশ্নও ওঠা স্বাভাবিক, যে স্টেডিয়ামে তেত্রিশ হাজার লোক ধরে, সেখানে দু’লক্ষ লোকের সমাবেশ ঘটে কী করে? সঙ্গে সঙ্গে ঘোষণাও হয়ে গেল সরকার এবং আয়োজকদের তরফে পরিবার পিছু আর্থিক ক্ষতিপূরণের অঙ্ক। মানুষের অমূল্য জীবনের পরিবর্তে অর্থপ্রদান করে ক্ষতি পূরণ করা যায় না। আসলে নিজেদের চরম গাফিলতি ঢাকতেই তড়িঘড়ি ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করা হয়েছে।

এমন বিপর্যয় যাঁদের কারণে, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তবে সে আইনি ব্যবস্থা যেন দৃষ্টান্তমূলক এব‌ং সমস্ত দোষীর বিরুদ্ধেই প্রযোজ্য হয়, দেখতে হবে। ভবিষ্যতে যাতে এমন মর্মান্তিক ঘটনা পুনরায় না ঘটে, তার জন্য সর্বস্তরে সজাগ থাকতে হবে। পাশাপাশি খেলোয়াড়দের সমস্ত আবেগঘন মুহূর্তের চিত্র সরাসরি বিভিন্ন মিডিয়াতে সম্প্রচারে নিয়ন্ত্রণ আনতে হবে। না হলে সমর্থকদের অতি আবেগের কারণে এমনটি বার বার ঘটতে দেখা যাবে।

স্বরাজ সাহা, কলকাতা-১৫০

রাস্তার ব্যবস্থা

বারাসত শহরে একটি উড়ালপুল পূর্ব দিকের চাঁপাডালি মোড়কে পশ্চিম দিকে কলোনি মোড়ের সঙ্গে যুক্ত করেছে। আর, এই বিস্তৃত উড়ালপুলের নীচে রাস্তার দু’পাশেই জামাকাপড়, জুতো থেকে শুরু করে প্রসাধনী, ইলেকট্রনিক্স-সহ যাবতীয় পণ্যসামগ্রীর নামী-দামি দোকান এবং হকারদের পসরা সাজানো রয়েছে। সারা বছর এই অংশটুকুতে লোকজনের ভিড় লেগেই থাকে। তার মাঝখান দিয়েই ভিড় ঠেলে যাতায়াত করতে হয়। প্রবীণদের পক্ষে তা অত্যন্ত কষ্টকর। প্রয়োজনে ফায়ার ব্রিগেড, দুর্ঘটনায় অ্যাম্বুল্যান্সই বা যাবে কী ভাবে?

তাই বারাসত পুরসভার কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি, দুই প্রান্ত থেকে মাঝখানের রেলগেট পর্যন্ত উড়ালপুলের দু’পাশ দিয়ে টোটো, ভ্যান ইত্যাদি নিয়মিত যাতায়াতের রাস্তা করে দেওয়া হোক। মধ্যমগ্রাম, বিরাটিতে আগে এমন পরিস্থিতি থাকলেও তার সমাধান ওরা করতে পেরেছে। এ বার বারাসত পুরসভাও তা করে দেখাক।

ধনঞ্জয় দে, বারাসত, উত্তর ২৪ পরগনা

পুরনো সিম

প্রায় দু’দশকেরও বেশি সময় আগে কলকাতার টেরিটি বাজারের টেলিফোন অফিস থেকে চার-পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে লাইন দিয়ে বিএসএনএল সিম সংগ্রহ করেছিলাম। তখনও টেলিফোন দফতর বিএসএনএল হয়নি। আমার যাবতীয় নিত্য-প্রয়োজনীয় তথ্য ওই সিমটির সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু বর্তমানে ওই সিম দিয়ে কোনও মেসেজ বা ফোন করা যায় না। এটি জীবনের প্রথম মোবাইল কানেকশন বলে ছাড়তেও পারছি না। বিএসএনএল কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ, সিমটি থেকে কী ভাবে যাবতীয় তথ্য উদ্ধার করা যায় এবং এর সঙ্গে ইন্টারনেট সংযোগ করা যায়, তার ব্যবস্থা করে দেওয়া হোক।

সুকুমার সরকার, শেওড়াফুলি, হুগলি

বাড়তি টাকা

আমরা রেলযাত্রীরা সকলেই জানি হাওড়া স্টেশনের বিপরীতে একটি জমিতে অ্যাপ ক্যাব সংস্থাগুলির পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ট্যাক্সি বুক করার পর ওই জায়গা থেকেই ক্যাব ধরতে হয়। কিন্তু যখন যাত্রীরা গাড়িতে ওঠেন তখন কিছু লোক গাড়ি দাঁড় করিয়ে গাড়ি পিছু ৭০ টাকা করে আদায় করেন। ড্রাইভাররা এটিকে পার্কিং ফি বলে দাবি করেন, যেটি যাত্রীকে বহন করতে হয়। এই টাকা না দিলে আদায়কারীরা যাত্রীদের গাড়ি বার করতে দেন না। এই লোকগুলি কে বা কারা? পুলিশ সব দেখেও নিরুত্তর। এই ভাবে টাকা আদায়ের কোনও বৈধতা আছে কি? কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

অরূপ চক্রবর্তী, কলকাতা-৫৯

পাতা বৃদ্ধি

ব্যাঙ্ক থেকে গ্রাহকদের যে পাসবুক দেওয়া হয় তার কোনওটাতে থাকে ৭টি পাতা, আবার কোনওটাতে ১০টি পাতা। বর্তমানে অনলাইন লেনদেন অনেক বেড়ে যাওয়ায় পাসবুকের এন্ট্রিও অনেক বেশি হয়। খুব তাড়াতাড়ি বই শেষ হয়ে যায় এবং নতুন বই আবার নিতে হয়। ব্যাঙ্কে পাসবই আনার জন্য বহু ক্ষণ লাইনে দাঁড়ানো বিরক্তিকর, বিশেষ করে প্রবীণ নাগরিকদের ক্ষেত্রে। পাসবুকের পাতার সংখ্যা বাড়িয়ে দেওয়া হোক।

সমীর বরণ সাহা, কলকাতা-৮১

অনৈতিক

সম্প্রতি একটি জনপ্রিয় অনলাইন ই-কমার্স সংস্থা থেকে স্মার্টফোনের চার্জার কেনার পরে এক অদ্ভুত অভিজ্ঞতা হল। সংশ্লিষ্ট চার্জার কোম্পানির দাবি, আমি যদি তাদের পণ্য বিষয়ক স্থানে পাঁচ তারা না দিই বা খুব ভাল রিভিউ না দিই, তা হলে তিন মাসের ওয়ার‌্যান্টি দাবি করতে পারব না। তবে যদি পাঁচ তারা বা ভাল রিভিউ দিয়ে স্ক্রিনশট নিয়ে ওই ই-কমার্স ওয়েবসাইটে আপলোড করি, তা হলে ৩ শতাংশ টাকা ফেরত দেওয়া হবে। এ ভাবে অনেক মানুষ যদি মিথ্যা রিভিউ আপলোড করেন ক্যাশব্যাকের আশায়, তা হলে ভবিষ্যতের ক্রেতাদের কাছে ভুল বার্তা যাবে। সেই সঙ্গে এমন সংস্থাগুলিকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা উচিত।

শাশ্বত মুখোপাধ্যায়, দমদমা, হুগলি

ইউপিআই চালু

সম্প্রতি এসবিএসটিসি ও ডব্লিউবিটিসি-র বাসে যাত্রা করার সময় বড় নোট খুচরো করাতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। ইউপিআই পরিষেবা থাকলে এই সমস্যা হত না। রেলে ইতিমধ্যেই ইউপিআই চালু হয়ে গিয়েছে। পরিবহণ দফতরের কাছে অনুরোধ, বাসে টিকিট কাটার জন্য নগদের পাশাপাশি ইউপিআই পরিষেবা চালু হোক।

অভিজিৎ ঘোষ, দাঁতন, পশ্চিম মেদিনীপুর

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Royal Challengers Bengaluru RCB Tata IPL 2025 Stampede

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে আপনার সাবস্ক্রিপশন আপনাআপনি রিনিউ হয়ে যাবে

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।