Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus

আমাদের ফিরিয়ে নিয়ে যান, না হলে মরে যাব!

এই লকডাউন পরিস্থিতিতে পাঠকদের থেকে তাঁদের অবস্থার কথা, তাঁদের চারপাশের অবস্থার কথা জানতে চাইছি আমরা। সেই সূত্রেই নানান ধরনের সমস্যা পাঠকরা লিখে জানাচ্ছেন। পাঠাচ্ছেন অন্যান্য খবরাখবরও। সমস্যায় পড়া মানুষদের কথা সরকার, প্রশাসন, এবং অবশ্যই আমাদের সব পাঠকের সামনে তুলে ধরতে আমরা ম‌নোনীত লেখাগুলি প্রকাশ করছি।এই লকডাউন পরিস্থিতিতে পাঠকদের থেকে তাঁদের অবস্থার কথা, তাঁদের চারপাশের অবস্থার কথা জানতে চাইছি আমরা। সেই সূত্রেই নানান ধরনের সমস্যা পাঠকরা লিখে জানাচ্ছেন। পাঠাচ্ছেন অন্যান্য খবরাখবরও। সমস্যায় পড়া মানুষদের কথা সরকার, প্রশাসন, এবং অবশ্যই আমাদের সব পাঠকের সামনে তুলে ধরতে আমরা ম‌নোনীত লেখাগুলি প্রকাশ করছি।

‘টাকা শেষ, ঘরে না ফিরতে পারলে বাঁচব কী ভাবে?’ ছবি- রয়টার্সের সৌজন্যে।

‘টাকা শেষ, ঘরে না ফিরতে পারলে বাঁচব কী ভাবে?’ ছবি- রয়টার্সের সৌজন্যে।

শেষ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২০ ১৬:১৩
Share: Save:

চিঠি-১: বীরভূম থেকে কাজ করতে এসে আটকে পড়েছি, খাবারের টাকা নেই

আমার বাড়ি বীরভূম জেলার ময়ূরেশ্বরে। আমি বর্তমানে শিয়ালদার নিকটবর্তী এলাকা ট্যাঙরায় এমব্রয়ডারির কাজ করি। বর্তমানে দ্বিতীয় বার লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির কারণে খুবই সমস্যাই পড়ে গিয়েছি। না পারছি বাড়ি ফিরতে, না আছে আর খাবারের টাকা। আমাদের বাঁচান।

রাহুল দে, ইমেল- rahulbirbhum7@gmail.com, মোবাইল- ৬২৯৭৬৮৭২১৫

চিঠি-২: ২৬ জন আটকে আছি মুম্বইয়ে, আমাদের ফেরান

আমার বাড়ি বাঁকুড়া জেলায়। হঠাৎ করে এই লকডাউন হওয়ায় সমস‍্যায় পড়তে হয়েছে আমাদের মতো ভিন রাজ‍্যে কাজ করতে আসা দিন আনি দিন খাই মানুষদের। আমরা ২৬ জন নবী মুম্বইয়ে আছি।

বাঁকুড়ার এঁরাই আটকে রয়েছেন নবী মুম্বইয়ে। ছবি-লেখক।

কোনও মতে একবেলা করে খেয়ে বেঁচে আছি। সবচেয়ে বেশি খারাপ লাগছে, আমাদের মধ্যে বৃদ্ধও আছেন। দয়া করে, আপনারা এবং মুখ্যমন্ত্রী কিছু ব‍্যবস্থা করুন।

প্রদীপ দাশ, নবী মুম্বই, পিন-৪০০৬১৪, মোবাইল- ৯৭৭৫০৪৫৩৮১

চিঠি-৩: ওড়িশায় আটকে পড়েছি, আমাকে ফেরান

আমি এখন ওড়িশার খারিয়ারে আছি। এখানে আমি সুপারভাইজারের কাজ করি। আমি লকডাউনের জন্য বাড়ি ফিরতে পারছি না। আমাকে বাড়ি ফিরতে সাহায্য করুন। এটাই আমার অনুরোধ।

সুভাষ দাস, মোবাইল- ৮৬৭০২৯৮০৭১, ইমেল- dassubhas533@gmail.com

চিঠি-৪: আমার পিসিকে বাঁশবেড়িয়ার বাড়িতে ফেরান

আমার পিসি মানসী ভট্টাচার্য পরিচারিকার কাজ করেন। থাকেন ঢাকুরিয়া ওয়র্কিং গার্লস হস্টেলে। ওঁর কোনও স্মার্টফোন নেই। গত ২৩ মার্চ থেকে ওঁর কাজ চলে গিয়েছে। হস্টেলে আটকে পড়েছেন। টাকাপয়সা প্রায় শেষ।

আমার পিসির বাড়ি হুগলির বাঁশবেড়িয়ায়। বাড়িতে ফিরতে পারলে রেশন পেয়েও ওঁর চলে যাবে। কলকাতায় সেটাও অসম্ভব। ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি। কলকাতার পুলিশ ও প্রশাসনের কাছে একান্ত অনুরোধ, এই অসহায় মহিলাকে দয়া করে বাড়ি ফিরতে সাহায্য করুন।

মানসী ভট্টাচার্য, মোবাইল- ৯১৪৩৫৫৪৪৫১, ইমেল- sayanbhatt2012@gmail.com

চিঠি-৫: ভেলোরে লজের ম্যানেজার একবেলা খেতে দিচ্ছেন!

আমি ও আমার মা, বাবা বাংলাদেশ থেকে ভেলোরে চিকিৎসার জন্য এসে আটকে পড়েছি। আমাদের টাকাপয়সা প্রায় শেষের পথে। আমরা এখানে এসে ‘শোভম ডিলাক্স লজে’ উঠি। লজের ম্যানেজার সরকারি খাবার উঠিয়ে এনেও আমাদের দেন না। এক বেলা ভাত খেয়ে পুরো দিন কাটিয়ে দিতে হচ্ছে। আমাদের মতো লজের সকলের একই অবস্থা। লজের ম্যানেজারের থেকে খাবার চাইলে উনি বলেন, ‘পুলিশ দিচ্ছে না’। খাবারের জন্য তর্ক করেও লাভ হয় না। আমাদের কি খিদে নেই? নাকি পেট ছাড়া জন্মেছি? হয় খাবারের ব্যবস্থা করুন, না হলে দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করুন।

আমরা বাংলাদেশি বলে বিষয়টি পুলিশকে জানাতে ভয় পাচ্ছি।

যোগাযোগের ইমেল- mortoza.abid775@gmail.com

চিঠি-৬: শিমলা ঘুরতে গিয়ে আটকে পড়েছেন, মা, বাবাকে ফেরান

আমি হুগলির চন্দননগরের স্থায়ী বাসিন্দা। আমার মা, বাবা ও তাঁর এক বন্ধুর পরিবার-সহ মোট ১৮ জন গত ১৩ মার্চ হাওড়া থেকে কালকা মেলে চেপে শিমলা রওনা হন। কলকাতায় ফেরার জন্য তাঁদের গত ২৩ মার্চ হাওড়াগামী কালকা মেলে ওঠার কথা ছিল।

চন্দননগরের এঁরাই শিমলায় ঘুরতে গিয়ে আটকে পড়েছেন। ছবি- লেখক।

কিন্তু ট্রেনের টিকিট বাতিল হয়ে যাওয়ায় ওঁরা আটকে পড়েছেন। ওঁদের হাতে আর টাকাপয়সা নেই। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ, ওঁদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হোক। দয়া করে, ওঁদের বিপদ থেকে উদ্ধার করুন। তা হলে আমরা আপনার কাছে কৃতজ্ঞ থাকব।

সাগর দাস, চন্দননগর, হুগলি, মোবাইল- ৮৯৮১৯৮৫৮৩৪ এবং৮১০০৭১৬৫১৩

চিঠি-৭: বোনের চিকিৎসা করাতে মুম্বইয়ে আটকে পড়েছি, টাকা শেষ

মুম্বইয়ে আমার বোনের ক্যানসার চিকিৎসা করাতে এসে আমরা বাড়ি ফিরতে পারছি না। এ দিকে থাকা-খাওয়া বাবদ অনেক টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে। অনুগ্রহ করে আমাদের রাজ্যে ফেরানোর ব্যবস্থা না করলে হয়তো না খেতে পেয়েই মারা যাব।

অনন্ত ঘোষ, ইমেল- rajdippan@gmail.com

চিঠি-৮: স্বামী আসানসোলে একা, আমাকে বাড়ি ফেরান

আসানসোলে থাকি। একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছিলাম মালদহে। এক আত্মীয়ের বাড়িতে। আটকে পড়েছি। আসানসোলে আমার স্বামী একলা রয়েছেন। বাড়িতে খুব সমস্যা হচ্ছে। আমি বাড়ি ফিরতে চাই। প্রশাসন যদি আমাকে বাড়ি ফিরতে সাহায্য করেন, কৃতজ্ঞ থাকব।

মৌমিতা মাজি, ইমেল- moumitamandalmaji92@gmail.com

চিঠি-৯: মুম্বইয়ে আটকে আছি মেদিনীপুরের ১৮ জন, ফেরান আমাদের

আমরা ১৮ জন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ব্রামহন খলিশা, দাঁতন -২, হরিপুর ৭ নম্বর এলাকায় বসবাস করি। আমরা মুম্বইয়ে এ আটকে রয়েছি। ভরসায় ছিলাম, লকডাউন উঠে গেলে বাড়ি ফিরে যাব। কিন্ত তা হয়নি। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আর্জি জানাই আমাদের সাহায্য করার। দয়া করে আমাদের বাড়ি যাওয়ার কিছু ব্যবস্থা করূন।

যোগাযোগের মোবাইল নম্বর- ৯০৮২৬৩৭৫৯৭, ইমেল- ariyan07p@gmail.com

চিঠি-১০: কার্ড থাকলেও রেশন পাচ্ছি না!

আমাদের রেশন কার্ড আছে, কিন্তু আমরা রেশন পাচ্ছি না। রেশনের নতুন কুপনও দিচ্ছে না। আমি এক জন যন্ত্রশিল্পী। আমাদের রোজগার বন্ধ। আমরা ডিজিটাল কার্ডের জন্য আবেদনও করেছিলাম। কিন্তু আমাদের কাছে ডিজিটাল কার্ড আসেনি। দয়া করে এই খবরটি ছাপুন। আমার মতো হয়তো অনেকেই এই অসুবিধায় পড়েছেন। এই রকম পরিস্থিতিতে আপনাদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য।

অনির্বাণ ভট্টাচার্য, ইমেল- anirbanbhattacharyya37@gmail.com

চিঠি-১১: কার্ড থাকলেও রেশন পাচ্ছি না!

আমরা হায়দরাবাদে ২০ জন আটকে আছি। সমস্ত পরিবহন বন্ধ হয়ে যাওয়ার জন্য এ আমরা বাড়ি ফিরতে পারছি না। আমাদের আর্থিক অবস্থাও খুব খারাপ। তাই দয়া করে আমাদের বাড়ি ফেরাক ব্যবস্থা করুন।

রূপক মুখোপাধ্যায়, ইমেল- mukherjeerupak53@gmail.com

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE