Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

সম্পাদক সমীপেষু: চোরাশিকার চলছেই

চোরাশিকারিদের হাতে অত্যাধুনিক অস্ত্র ও শিকারের পদ্ধতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উঠতে পারছে না তারা। সরকারি তথ্য অনুসারে বন পরিচালনায় এখনও ৩৬% কর্মী অপ্রতুল। তথ্য অনুযায়ী যতগুলি বন্যপ্রাণীর হত্যার ঘটনা ঘটেছে তার বেশির ভাগটাই হয়েছে জলদাপাড়ার মূল ভূখণ্ড ময়রাডাঙা, মালঙ্গী, ‌শিশামারা, মেন্দাবাড়ি অঞ্চলে।

শেষ আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০১৯ ০০:০০
Share: Save:

চোরাশিকারদের হানায় একের পর এক বন্যপ্রাণীর মৃত্যু হচ্ছে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জঙ্গলে (‘গন্ডার মেরে খড়্গ লোপাট গরুমারায়’, ২৬-১২)। দেশের গর্ব ওয়াইল্ড লাইফ ডিভিশন থ্রি-র অন্তর্গত গরুমারা, জলদাপাড়া অভয়ারণ্য এবং বনাঞ্চলে বন্যপ্রাণীরা এখন আর নিরাপদ নয়। শুধুমাত্র বনের ভিতরেই নয়, সংলগ্ন গ্রামগুলিতে বনপ্রাণীদের প্রবেশ ও গণপিটুনিতে মৃত্যুর ঘটনা এখন নিত্যনৈমিত্তিক বিষয়ে পরিণত হয়েছে। বন পরিচালনার ক্ষেত্রে চরম প্রশাসনিক ঔদাসীন্য এর অন্যতম কারণ। বিশেষ করে দক্ষ কর্মীর অভাব ও বন সুরক্ষায় মান্ধাতার আমলের অস্ত্রশস্ত্রের ব্যবহার এ ক্ষেত্রে সমস্যা আরও বাড়িয়ে তুলছে। চোরাশিকারিদের হাতে অত্যাধুনিক অস্ত্র ও শিকারের পদ্ধতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উঠতে পারছে না তারা। সরকারি তথ্য অনুসারে বন পরিচালনায় এখনও ৩৬% কর্মী অপ্রতুল। তথ্য অনুযায়ী যতগুলি বন্যপ্রাণীর হত্যার ঘটনা ঘটেছে তার বেশির ভাগটাই হয়েছে জলদাপাড়ার মূল ভূখণ্ড ময়রাডাঙা, মালঙ্গী, ‌শিশামারা, মেন্দাবাড়ি অঞ্চলে। বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জলদাপাড়া মূল ভূখণ্ড ছেড়ে চোরাশিকারিরা এখন আস্তানা গেড়েছে জলদাপাড়ার উপ-বনাঞ্চল চিলাপাতা, কোদালবস্তি অঞ্চলে। কারণ, জলদাপাড়া মূল ভূ-খণ্ডের বন্যপ্রাণীরা প্রজনন ঋতুতে এলাকা দখলের লড়াইতে পরাজিত হলেই, শীলতোর্সা নদী পেরিয়ে চিলাপাতার জঙ্গলে পালিয়ে যায়। আর চিলাপাতার জঙ্গলে সেগুন গাছের সংখ্যা বেশি থাকায় তার নীচে বন্যপ্রাণীদের আস্তানা ‘চাড্ডা’ ঘাস জন্মায় না। ফলে শিকারিরা খুব সহজেই নাগালে পেয়ে হত্যা করে। এলাকাটি ভুটান সংলগ্ন হওয়ায় সেখানে গিয়ে গা ঢাকা দেওয়াও সহজ হয়।

ঝন্টু বড়াইক

রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়

বেআইনি পার্কিং

শ্যামবাজারের রাস্তার ধারে এখন বেআইনি কার পার্কিং হচ্ছে, রীতিমতো পয়সার বিনিময়ে। এটা নতুন ব্যবস্থা। বিধান সরণির মতন ব্যস্ত রাস্তায়, যেখানে উভয় মুখেই বাস ও গাড়ি যাতায়াত করে, সর্বোপরি ট্রামও চলেছে, সেখানে এ ভাবে গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখা অত্যন্ত অনুচিত ও বিপজ্জনক।

সুপর্ণা দে

কলকাতা-৩৭

ফুটপাত দখল

আমি কসবা আনন্দপুর অঞ্চলের বাসিন্দা, বয়স্কা নাগরিক। এখানে ফুটপাত ধরে চলা দুষ্কর, কারণ যত্রতত্র নানা ধরনের দোকান, বিশেষ করে বেশ কিছু হোটেল ফুটপাত দখল করে তাদের ব্যবসা চালাচ্ছে রমরমিয়ে। যার ফলস্বরূপ বিক্রিবাটা, বাসন মাজা— সব চলে ফুটপাত জুড়ে, ফুটপাতের ভাঙাচোরা টালিগুলোও পথচলতি মানুষের বিপদ ডেকে আনতে পারে।

সুমিত্রা বন্দ্যোপাধ্যায়

কলকাতা-১০৭

রুটের অযত্ন

বিধাননগর পুরনিগমের অন্তর্গত দু’টি রাস্তা হল ২১১ নম্বর রুট— যা চিনার পার্কের সঙ্গে রাজারহাট চৌমাথাকে সংযুক্ত করে, আর একটি ৯১ নম্বর রুট— যা কৈখালি এবং রাজারহাট চৌমাথার সংযোগকারী। এর মধ্যে ২১১ নম্বর রুট আজ বেশ মসৃণ এবং যোগাযোগের একটি উত্তম রাস্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। অথচ ৯১ নম্বর রুটের (বহু পুরনো হওয়া সত্ত্বেও) অবস্থা অনেকটা দুয়োরানির মতো। রাস্তার অধিকাংশ নানা খানাখন্দে ভরা, যা বর্ষাকালে ভয়ানক রূপ ধারণ করে। দু’টি রাস্তাই পূর্তবিভাগের অধীনে, অথচ একটির অবস্থা শোচনীয় কেন?

নির্মাণ গঙ্গোপাধ্যায়

কলকাতা-১৩৬

অসম্পূর্ণ ড্রেন

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাঁতন ১নং ব্লকের আঙ্গুয়া ৫নং গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ওড়িশার একেবারে সীমান্তবর্তী গ্রাম বাইপাটনা। গ্রামটির মাঝখান দিয়ে বিস্তৃত ও টি রোড-এর মেরামতির কাজ ২০১৬ সালে শেষ হওয়ার পর, গ্রামের হাই স্কুল ও হাটের মধ্যবর্তী রাস্তার দু’পাশের ড্রেন ২০১৬ থেকে অসম্পূর্ণ অবস্থায় রেখে, পিডব্লিউডি অজানা কারণে কাজ বন্ধ করে দেয়। বর্তমানে অসম্পূর্ণ ড্রেনে জমা জলে মশামাছির রাজত্ব এবং গ্রামবাসীদের নোংরা ফেলার জায়গা হয়ে উঠেছে।

অজিত গিরি

দাঁতন, পশ্চিম মেদিনীপুর

ভাড়া কমুক

ডিজ়েলের দাম বিগত কয়েক মাসের উচ্চ মূল্য থেকে অনেকটা কমে গিয়েছে। তেলের দাম বাড়ার জন্যে কয়েক মাস আগে সড়ক ও জল পরিবহণ ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল। হলদিয়া থেকে কলকাতা সরকারি বাসের ভাড়া ৮৫ টাকা থেকে বেড়ে ১০০ টাকা হয়েছে। কুঁকড়াহাটি রায়চক ভাড়া ১০ শতাংশ বেড়ে ১১ টাকা হয়েছে। তাই মাননীয় পরিবহণ মন্ত্রীর কাছে আবেদন, বর্ধিত ভাড়া পুনর্মূল্যায়ন করুন। যন্ত্রাংশের দাম বাড়ার কথা যদিও প্রাসঙ্গিক, কিন্তু ভাড়া তখনই বেড়েছিল যখন মূলত তেলের দামটাই বেড়েছিল। হলদিয়া থেকে ছাড়া বিভিন্ন বেসরকারি বাসে কোনও ভাড়ার তালিকা ঝোলানো থাকে না। ফলে ভাড়া দিতে গেলে বাদানুবাদ হয়। কারণ এক রুটেরই আলাদা বাসে আলাদা ভাড়া নেয়।

শোভন কুমার সাঁতরা

হলদিয়া

সাবওয়ে

বিধাননগর স্টেশনে ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ট্রেন থেকে নামার পর প্ল্যাটফর্ম ধরে সামনের দিকে সাবওয়ে ধরে বার হতে হয়, অথবা সাবওয়ের পাশ থেকে ওভারব্রিজের রাস্তা ধরে বেরোতে হয়। সাবওয়ের মুখটি ছোট এবং পাশ থেকে ওভারব্রিজে ওঠার রাস্তাটিও সঙ্কীর্ণ হওয়ার ফলে, সাবওয়ের মুখে যাত্রীদের ভিড়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়। তার মধ্যে পরের ট্রেন চলে আসার দরুন যাত্রীদের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। কিছু যাত্রী ভিড় এড়িয়ে লাইনে নেমে হাঁটতে থাকেন, ফলে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকে। ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মের শেষের দিকে যদি আর একটি সাবওয়ে বা ওভারব্রিজ করা হয়, খুব ভাল হবে।

দেবাশীষ সরকার

কলকাতা-১১৫

ছিল পুকুর

কলকাতা পুরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডে জে কে মিত্র রোডে একটি পুকুর ছিল কয়েক বছর আগেও। এখন কচুরিপানা ও আবর্জনাতে মশাদের আঁতুড়ঘর!

রজতাভ দেব

কলকাতা-৩৭

শনির শতাব্দী

পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ ২০১৬ সালের শেষ দিক থেকে কোনও আগাম বিজ্ঞপ্তি না দিয়ে শনিবার ১২০১৯ আপ এবং ১২০২০ ডাউন হাওড়া-রাঁচী শতাব্দী এক্সপ্রেসের চলাচল উভয় অভিমুখে আচমকা বন্ধ করে দিলেন। শতাব্দী এক্সপ্রেসের জন্মলগ্ন থেকেই এই ট্রেন রবিবারে বন্ধ থাকে, কিন্তু শনিবারে এই ট্রেন বন্ধের যুক্তি কোথায়? অথচ সপ্তাহান্তে শনিবার দিনই উভয় দিকে যাত্রী চলাচল এবং টিকিট বিক্রির হারও বেশি থাকত। শনিবার শতাব্দী বন্ধ থাকায় বহু মানুষকে দুটো দিন নষ্ট করে সোমবারের অপেক্ষায় বসে থাকতে হচ্ছে। এ ছাড়াও দক্ষিণ ভারতের চেন্নাই বা ভেলর থেকে আসা বহু যাত্রী ভোর চারটেয় ১২৮৪০ ডাউন চেন্নাই-হাওড়া মেলে নেমে শতাব্দী ধরে অনায়াসে দুর্গাপুর, আসানসোল-সহ অনান্য গন্তব্যে যেতে পারতেন। সকাল ৬:০৫-এ হাওড়া থেকে ছেড়ে যাওয়া শতাব্দী এক্সপ্রেসই ছিল তাঁদের প্রথম পছন্দের ট্রেন।

শিশিরকুমার ভৌমিক

দুর্গাপুর, পশ্চিম বর্ধমান

চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা

সম্পাদক সমীপেষু,

৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা-৭০০০০১।

ইমেল: letters@abp.in

যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়। চিঠির শেষে পুরো ডাক-ঠিকানা উল্লেখ করুন, ইমেল-এ পাঠানো হলেও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Wildlife Restriction Poaching
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE