Advertisement
E-Paper

সম্পাদক সমীপেষু: শব্দচয়ন ও সত্যজিৎ

শব্দটির অর্থটি শুনে ভাগ্নি-জামাই (দীপঙ্কর দে) বলছেন— ‘‘ও হ্যাঁ হ্যাঁ, স্কুলে পড়ার সময় শিখেছিলাম।’’ মামার পাদপূরণ—‘‘অব নো ইউজ়’’ বোঝাতে ২৯টি অক্ষর।

শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০১৮ ০০:০০

‘দিল্লি ডায়েরি’র (২১-১০) ‘‘তুমি ‘শশী’ হে’’ প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জানাই যে শশী তারুরের অনেক আগে সত্যজিৎ রায় তাঁর শেষ ছবি ‘আগন্তুক’ (১৯৯১)-এ ‘ফ্লক্সিনসিনিহিলিপিলিফিকেশন’ কথাটির ব্যবহার করেছিলেন আগন্তুক মামার (উৎপল দত্ত— ছবিতে) মুখ দিয়ে। শব্দটির অর্থটি শুনে ভাগ্নি-জামাই (দীপঙ্কর দে) বলছেন— ‘‘ও হ্যাঁ হ্যাঁ, স্কুলে পড়ার সময় শিখেছিলাম।’’ মামার পাদপূরণ—‘‘অব নো ইউজ়’’ বোঝাতে ২৯টি অক্ষর। এই না হলে সভ্যতা! ইংল্যান্ডের ইটন কলেজ থেকে উদ্ভূত এই শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেছিলেন উইলিয়াম শেনস্টোন ১৭৪১ সালে।

রীনা লাহা চক্রবর্তী

শিলিগুড়ি

পরীক্ষার খাতা

কোনও কোনও ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে ষাণ্মাসিক পরীক্ষার খাতা ক্লাসে বসিয়ে ছাত্রছাত্রীদের, কখনও বা অভিভাবকদের, স্কুল চলাকালীনই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই দেখে নিতে বলা হয়। এত অল্প সময়ের মধ্যে, বিশেষ করে নিচু শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের পক্ষে সব বিষয়ের খাতা খুঁটিয়ে দেখা সম্ভব হয় না। অভিভাবকদেরও অসুবিধে হয়। অনেক সময় দেখা যায় যে প্রাপ্ত নম্বরের হেরফের হতে পারে। এ বিষয়ে যদি শিক্ষককে অবগতও করা হয় তখন তিনি ‘রেজ়াল্ট লেখা হয়ে গিয়েছে আর কিছু করা যাবে না’ ইত্যাদি মন্তব্য করে ছাত্রছাত্রীদের অনুরোধ গ্রাহ্য করেন না। আর তারাও ভয়ে আর কিছু বলতে না পেরে কাঁচুমাচু মুখে সেটাই মেনে নেয়। খাতার ফাঁকা জায়গায় লাল কালি দিয়ে কেটে সেটা অন্তত এক দিনের জন্য হলেও বাড়িতে দিতে অসুবিধা কোথায়, এই প্রশ্ন অবান্তর বলা যাবে না বোধ হয়। কারণ পরীক্ষার খাতা ভাল করে দেখলেই তো ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের ভুলগুলো বুঝতে পারবে।

কুশল রায়

কলকাতা-১০৮

বাসস্টপ চাই

বাঁকুড়া সদর শহর থেকে কয়েক কিমি দূরে অবস্থিত শিক্ষানগরী পুয়াবাগানের প্রাণকেন্দ্র ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ মোড়। এলাকাবাসীর দাবি এই স্টপে প্রতিটি বাস থামার, কিন্তু প্রশাসন নীরব। সাধারণ মানুষ তো বটেই, স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রীদের দূরের বাস স্টপ থেকে বিপজ্জনক ভাবে ব্যস্ত রাস্তা পার হয়ে এখানে আসতে হয়। প্রশাসনের কাছে আবেদন সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করে এই দাবি পূরণ করা হোক।

মিন্টু পতি

চাকা, খাতড়া, বাঁকুড়া

খারাপ রাস্তা

জলপাইগুড়ি রেল স্টেশনের ১০০ মিটারের মধ্যে ১ নম্বর লেভেল ক্রসিংয়ের রাস্তাটুকু এক বছরের ওপর ভগ্ন দশায়। তিনটি লাইন পার করা ওই রাস্তায় সমস্ত রকম যানবাহনের চালক ও আরোহীরা, বিশেষত বয়স্ক নাগরিকরা প্রাণান্তকর কষ্ট ভোগ করেন। রেল কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই।

ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত

আদরপাড়া, জলপাইগুড়ি

উড়ালপুল দখল

পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুর শহরের বুক চিরে চলে যাওয়া ২নং জাতীয় সড়কের ভিরিঙ্গি মোড়স্থিত নতুন ছয় লেন বিশিষ্ট উড়ালপুল গত ২০১৭ সালের পুজোর আগে অর্থাৎ সেপ্টেম্বর মাসে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ সাধারণের চলাচলের জন্য খুলে দেন। এর পরেই ঠিক দুর্গাপুজোর সময়ে উড়ালপুল দখল করে চলতে থাকে দর্শনার্থীদের গাড়ি পার্ক করতে দিয়ে পার্কিং ফি বাবদ চড়া ফি আদায় করা। ভিরিঙ্গি মোড়ের দক্ষিণ দিকের মাঠে একটি প্রখ্যাত পুজো কমিটির পুজো দেখতে পঞ্চমীর দিন থেকেই শুরু হয়ে যায় ব্যাপক লোক সমাগম। কিন্তু গত বছর দেখা গেল বেশ কিছু লাঠিধারী যুবক বহাল তবিয়তে পুলিশের সামনেই উড়ালপুলের তিন লেনের মধ্যে মোটামুটি দেড়খানা লেন দখল করে দর্শনার্থীদের গাড়ি পার্ক করতে নির্দেশ দিচ্ছেন। প্রশ্ন হল: সদ্য তৈরি উড়ালপুলের উপর গাড়ি পার্ক করতে দেওয়া হয় কোন যুক্তিতে? একযোগে প্রচুর গাড়ি পার্ক করার ফলে উড়ালপুলের উপর নিঃসন্দেহে একটি বিশেষ চাপ তৈরি হয়। এ ছাড়াও এই ২নং জাতীয় সড়ক ধরে বহু কর্মী দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা, দুর্গাপুর সিমেন্ট ওয়ার্কস, অন্ডাল ডিভিসি-র তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে তাঁদের রাতের পালিতে কাজে যোগ দিতে যান। এই সময়ে ওই সঙ্কীর্ণ রাস্তা দিয়েই মালবাহী ধাবমান ট্রাক, রাত্রিকালীন স্লিপার বাস ভয়ঙ্কর গতিতে ছুটে চলে। ফলে বিপদের আশঙ্কা থেকেই যায়। তাই দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক এবং আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ট্রাফিক বিভাগের কর্তাদের কাছে অনুরোধ দয়া করে পথ নিরাপত্তার স্বার্থে এই বছর থেকে ভিরিঙ্গি মোড়ের এই উড়ালপুলের উপর গাড়ি পার্ক করা বন্ধ করার পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।

শিশিরকুমার ভৌমিক

দুর্গাপুর, সিটি সেন্টার, পশ্চিম বর্ধমান

যাত্রী শেড নেই

কলকাতা থেকে আসানসোল-দুর্গাপুর-ধানবাদ-বোকারো অভিমুখী দূরপাল্লার বাস সার্ভিসে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের ডানকুনি চৌরাস্তায় বহু বাসযাত্রী ওঠানামা করেন। অথচ কোনও শেড না থাকার কারণে যাত্রীদের লটবহর সঙ্গী করে রোদবৃষ্টি মাথায় নিয়ে ফুটপাতেই বসে দীর্ঘ সময় বাসের অপেক্ষায় থাকতে হয়। সৌন্দর্যায়নের কল্যাণে শহরের বাসযাত্রীদের জন্য বাতানুকূল বাস স্টপের কথা যখন ভাবা হয়,তখন দূরপাল্লার বাসযাত্রীদের নিরাপত্তা ও স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য এক্সপ্রেসওয়ের ধারে অন্তত শেড দেওয়া বাস স্টপের কথাটাও ভেবে দেখা জরুরি।

দেবব্রত সেনগুপ্ত

কোন্নগর, হুগলি

দৃষ্টিকটু

কৃষ্ণনগর শহরের জনবহুল এলাকায় পাবলিক লাইব্রেরি হল এক ঐতিহ্যবাহী স্থান। বহু বিশিষ্ট নাগরিক ও সাহিত্যিকের উপস্থিতির কারণে এই স্থানের গুরুত্ব অপরিসীম। অথচ নাগরিক সচেতনতার অভাবে এই স্থান সংলগ্ন উন্মুক্ত মাঠের একাধার দীর্ঘ দিন যাবৎ দূষিত পরিবেশের আঁতুড়ঘরে পরিণত হয়েছে। আশেপাশের কিছু ব্যবসায়ী, সংলগ্ন জর্জ কোর্টের আইনজীবীগণ প্রত্যহ প্রকৃতির ডাকে এই স্থানটিকে ব্যবহার করেন। এ ছাড়াও স্থানীয় কিছু সাধারণ মানুষ একই কাজে এ স্থানটিকে রোজ ব্যবহার করেন। পাবলিক লাইব্রেরি কর্তৃপক্ষ এ দৃশ্য সম্পর্কে যথেষ্ট অবগত, অথচ এ ব্যাপারে তাঁদের কোনও ভূমিকা লক্ষ করা যায় না। এই স্থান ঘিরে যে সমস্ত পরিবার বসবাস করেন, মহিলা পুরুষ নির্বিশেষে সকল সদস্যদের কাছে এ দৃশ্য বড়ই অস্বস্তিকর ও দৃষ্টিকটু। বার বার প্রতিবাদ করে ব্যর্থ হয়ে তাঁরা প্রতিবাদের ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন। এ ব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে স্থানীয় প্রশাসনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ আশা করছি, যাতে অবিলম্বে এই এলাকার মানুষ এ ধরনের দৃশ্যদূষণ থেকে মুক্তি পান।

শশাঙ্ক শেখর মণ্ডল।

কৃষ্ণনগর, নদিয়া

জলাশয়ে জাল

ইদানীং পশ্চিমবঙ্গের সর্বত্র খাল বিল পুকুর-সহ বিভিন্ন জলাশয়ে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে নিবিড় মাছ চাষ করার জন্য জলাশয়গুলির উপরিভাগ এবং চার পাশ প্লাস্টিকের জাল (নেট) দিয়ে ঘিরে রাখা হয়। যাতে পাখিরা চঞ্চুতে করে মাছ শিকার করতে না পারে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে এর ফলে বাংলার জলজ পাখিরা বিশেষ করে মাছরাঙা, বালিহাঁস, জলপিপি, শামখোল, ডাহুক, বক প্রভৃতি জালে আটকে মারা যাচ্ছে। তাই অবিলম্বে জলাশয়গুলি জাল দিয়ে ঘেরা বন্ধ হোক।

তুষার ভট্টাচার্য

বহরমপুর, মুর্শিদাবাদ

চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা

সম্পাদক সমীপেষু,

৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা-৭০০০০১।

ইমেল: letters@abp.in

যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়। চিঠির শেষে পুরো ডাক-ঠিকানা উল্লেখ করুন, ইমেল-এ পাঠানো হলেও।

Satyajit Ray Utpal Dutt Movie Floccinaucinihilipilification
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy