Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

সম্পাদক সমীপেষু: পেনশন বাড়ে না

প্রতি পাঁচ বছর অন্তর ব্যাঙ্ক কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি হলেও, অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ককর্মীদের পেনশন বৃদ্ধি হয় না। অবসরের দিনে ধার্য হওয়া মূল পেনশন জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত একই পরিমাণ থাকে।

শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০১৮ ০০:০০
Share: Save:

প্রতি পাঁচ বছর অন্তর ব্যাঙ্ক কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি হলেও, অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ককর্মীদের পেনশন বৃদ্ধি হয় না। অবসরের দিনে ধার্য হওয়া মূল পেনশন জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত একই পরিমাণ থাকে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পেনশনের তফাত এতই বেশি হয়, ১৫-১৬ বছর আগে অবসরপ্রাপ্ত এক জন জেনারেল ম্যানেজার, বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত এক করণিকের থেকে কম পেনশন পান। এটা শুধু টাকা নয়, সম্মানের দিক থেকেও বেঠিক। ব্যাঙ্কের পেনশনারদের পেনশন হয় কর্মচারীদের দেওয়া পেনশন ফান্ড থেকে। তবু ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ ও সরকার এই ব্যাপারে নীরব।

বীরেন সরকার

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিক

ভৌতিক

পাওয়ার সাপ্লাই অফিসে যে ভূত আছে এটা আমি বিশ্বাস করি। প্রথমে ধরি গ্রামের কথা। কয়েক বছর আগে বর্ধমানে আমাদের গ্রামে বিদ্যুৎ এল। গ্রামের বাড়ির জন্য যথাসময়ে মিটারের টাকা জমা দিলাম। আমরা গ্রামে থাকি না এবং আমাদের নিকটতম প্রতিবেশীর একটু তৎপরতার অভাবে মিটার লাগাতে এসে ফিরে গেল। কিন্তু তার পর থেকে বিল আসার বিরাম ছিল না, প্রতিবেশীর বাড়িতে আমাদের নামে অনেকগুলি বিল জমা হল। ভাবলাম রুরাল ইলেকট্রিফিকেশন, তার ওপরে শৈশব অবস্থা, এমনটা ঘটতেই পারে। কিন্তু বর্তমানে অনেক বড় সাইজ়ের ভূতের পাল্লায় পড়ে আছি! সুদূর এই মফস্সল শহরে সিইএসসি অনেক দিন ধরে আমার মোবাইলে নানা ধরনের মেসেজ পাঠিয়ে যাচ্ছে! যেমন, আমার কাস্টমার আইডি নম্বর, কবে মিটার রিডিং নেওয়া হয়েছে এবং কী পরিমাণ টাকা কবে ডিউ হচ্ছে ইত্যাদি ইত্যাদি। এক জন ভাল ওঝার সন্ধান দয়া করে কেউ দেবেন!

স্বপন কুমার দত্ত

রানির বাগান, পূর্ব বর্ধমান

কবির নামে

কবি জীবনানন্দ দাশের নামাঙ্কিত পার্কটি (ওয়ার্ড নং ৯৮, কলকাতা-৯২) গত কয়েক মাস যাবৎ পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার অভাবে একেবারে জঙ্গলে পরিণত হয়েছে। পার্ক সংলগ্ন প্রতিবেশীদের মশার উপদ্রব সহ্য করতে হচ্ছে, সঙ্গে ডেঙ্গির ভয়ে আতঙ্কিতও হতে হচ্ছে।

সিদ্ধেশ্বর নাথ বর্মা

কলকাতা-৯২

বাসে শৌচাগার

আমার ডায়াবেটিস আছে, কিডনির রোগী। মাঝে মধ্যে হলদিয়া এবং দিঘা বেড়াতে যাওয়ার সাধ হয়। বাধ্য হয়ে এক্সপ্রেস বাসে সপরিবার বেড়াতে যাই, কিন্তু বাসে টয়লেট পেলে ভীষণ ভাবে কষ্ট অনুভব করি। ওই বাসগুলিতে টয়লেটের ব্যবস্থা করা যায় না?

অসিত কুমার চট্টোপাধ্যায়

উত্তরপাড়া, হুগলি

ট্রেন দাঁড়ায় না

পূর্ব বর্ধমান জেলার খানা জংশন ও গলসি রেল স্টেশনের মাঝে ‘ঈশান চণ্ডী হল্ট’ স্টেশন। ১২-১৪টা গ্রামের মানুষ ট্রেনে হাওড়া, বর্ধমান, আসানসোল ও বোলপুর, মালদহ যাতায়াত করেন এখান দিয়ে, তাই তাঁদের অসুবিধা দূর করতে তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্টেশনের নতুন রূপ দেন। টিকিট কাউন্টার, প্ল্যাটফর্ম, ওভারব্রিজের ব্যবস্থা করেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত কয়েকটি লোকাল ট্রেন ছাড়া, এখানে অধিকাংশ লোকাল ট্রেনের স্টপ নেই।

আজিজুর রহমান

গলসি, পূর্ব বর্ধমান

রাসমন্দির

পুরুলিয়া জেলার শেষ প্রান্তে বেগুনকোদর গ্রামের অন্যতম পুরাকীর্তি প্রায় ২৫০ বৎসরের প্রাচীন ১০৮ দুয়ার বিশিষ্ট আড়াই হাজার বর্গফুট জুড়ে অবস্থিত প্রাচীন ‘ভাস্কর্যশিল্পখচিত’ রাসমন্দিরটি আজ পরিচর্যা ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ভগ্নদশায় বিলুপ্তির পথে এগিয়ে চলেছে। জেলার প্রত্নতাত্ত্বিক দফতর থেকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পুরাকীর্তি বিভাগ, মন্দিরটি সংরক্ষণের একটি বোর্ড মন্দিরের গায়ে ঝুলিয়ে দিয়ে তাদের পবিত্র কর্তব্যটুকু সেরেছে। বর্তমানে গ্রামের কিছু উৎসাহী যুবক এবং কিছু ধর্মপ্রবণ ভক্ত সম্প্রদায়ের মানুষ উদ্যোগ করে রাস মন্দির চত্বরে বাজার বসিয়ে চাঁদা আদায় করে মন্দিরটি সংরক্ষণাবেক্ষণ ও নিত্যনৈমিত্তিক পূজা অর্চনা করে চলেছেন। এ ছাড়া গ্রামের বহু দরিদ্র হিন্দু-মুসলমান ধর্মমত নির্বিশেষে অর্থাভাবে নিজেদের কায়িক শ্রম দিয়ে রাস মন্দির সংস্কারের সাহায্য করে চলেছেন। এটিকে রাজ্য সরকার হেরিটেজ রূপে অধিগ্রহণ করে পর্যটকদের কাছে আকর্ষক করে তুলছে না কেন?

তপন কুমার বিদ

বেগুনকোদর, পুরুলিয়া

কোন কাউন্টার?

আমার মতো কয়েক হাজার বয়স্ক মানুষকে মাসিক আয় প্রকল্প বা অন্যান্য স্কিমে আমানত থাকার কারণে, মাঝে মাঝে বা মাসে মাসেই হাওড়া ডাকঘরে যেতে হয়। সেভিংস অ্যাকাউন্টে জমা পড়া সুদের টাকা তোলার জন্যে। অধিকাংশ জনই প্রৌঢ়ত্বের শেষ ভাগে বা বার্ধক্যে পা রেখেছেন। শারীরিক ভাবে অল্পবিস্তর দুর্বল। দু’তিনটি কাউন্টার টাকা তোলার জন্য নির্দিষ্ট। হয়তো দেড় হাজার পর্যন্ত একটা কাউন্টারে তোলা যায়। তার বেশি আড়াই বা তিন হাজার পর্যন্ত আর একটায়। তার বেশি হলে অন্য আর একটায়। কিন্তু কোনটায় কত থেকে কত পরিমাণ টাকা তোলা যাবে, তা কাউন্টারের সামনে কিছুই লেখা থাকে না। তা ছাড়া মাঝে মাঝেই কাউন্টারগুলিতে টাকার ঊর্ধ্বসীমা নিম্নসীমার ইচ্ছামতো অদলবদল ঘটানো হয়। ফলে প্রায়ই কোনও কাউন্টারে দীর্ঘ ক্ষণ লাইন দিয়ে থাকার পর গ্রাহক জানতে পারেন, সেখানে নয়, অমুক নম্বর কাউন্টারে যেতে হবে। আবার সেখানে নতুন করে লাইন দেওয়া। আপডেটের কাউন্টারেও প্রায় দিনই শুনতে হয় পাশ বই আপডেট করা যাবে না। গ্রাহকদের জিজ্ঞাস্য থাকলেও অনেকের সামান্য জবাবটুকু দিতেও অনীহা।

দেবাশিস হাজরা

বেলগাছিয়া, হাওড়া

হিসেবের গোল

আমি চলতে অক্ষম, বয়স ৮০। ১৯৫৭ সাল থেকে একটি গ্রামের ডাকঘরে (পিন ৭২১৬৩৪, সাব পোস্ট অফিস বর্তমানে) পাশবই খুলি এবং নানা স্বল্প সঞ্চয়ে অংশগ্রহণ করি। গত ৩-৪ বৎসর আগে পর্যন্ত কোনও অসুবিধা হত না। যেই কম্পিউটার চালিত ব্যবস্থা হল, অমনি হিসেবের গন্ডগোল শুরু হল। আমি অক্ষম হওয়ায় এজেন্ট দিয়ে কাজ করি। গত জুলাই ২০১৮ সালের ম্যাচিয়োর্ড হওয়া কেভিআইসি এখনও ভাঙাতে পারা যায়নি। এমআইএস-এর মাসিক সুদ নাকি অটোমেটিক পাশবইয়ে চলে যায়। আমি কিন্তু হাতে পাই না।

অশ্রু কুমার মণ্ডল

রঘুনাথবাড়ি, পূর্ব মেদিনীপুর

রসিদ নেই

উত্তর ২৪ পরগনার শ্যামনগর পোস্ট অফিসের (পিন কোড ৭৪৩১২৭) গ্রাহকসংখ্যা প্রচুর এবং আর্থিক লেনদেনও যথেষ্ট। অথচ বহু দিন ধরে এখানে একটা আপত্তিকর কাজ হয়ে আসছে। টাকা জমা রাখার জন্য সরকারি ভাবে কাউন্টার থেকে যে নির্দিষ্ট স্লিপ দেওয়া হয়, তার বাঁ দিকের ‘কাউন্টার পার্ট’ থাকে না। অর্থাৎ টাকা জমা করলেও সাধারণ ভাবে এখানে জমাকর্তাকে রসিদ দেওয়ার চল নেই। কাউন্টারের কর্মচারীটি যদি ভুলবশত গন্ডগোল করে বসেন, তা হলে জমাকর্তা কী ভাবে অভিযোগ জানাবেন? তাঁর হাতে তো প্রমাণই থাকছে না।

বাণীবরণ সেনগুপ্ত

শ্যামনগর, উত্তর ২৪ পরগনা

চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা

সম্পাদক সমীপেষু,

৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা-৭০০০০১।

ইমেল: letters@abp.in

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Pension Retired Bankers
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE