Advertisement
০৫ মে ২০২৪

সম্পাদক সমীপেষু: পিকে-র টনিক

মানুষের সমস্যা সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা থাকলেও, এই প্রথম ব্যক্তিমানুষের ক্ষোভ, অসুবিধা জানানোর জন্য সরাসরি ফোন নম্বর প্রদান করা হল।

প্রশান্ত কিশোর

প্রশান্ত কিশোর

শেষ আপডেট: ১৯ অগস্ট ২০১৯ ০০:০১
Share: Save:

প্রশান্ত কিশোর আট বছরের একটি প্রবল ক্ষমতাশীল শাসক দলের তৃণমূল স্তরের ত্রুটিগুলি খুঁজে তা শুধরে দেওয়ার ব্যবস্থা করে চলেছেন। পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষের তাঁকে উষ্ণ ধন্যবাদ জানানো উচিত। প্রথম ধন্যবাদ জানাবেন তাঁরা, যাঁরা চিরকাল সরকারি সুবিধা পেতে টাকা দিতে বাধ্য হয়েছেন। তাঁরা এই প্রথম উপলব্ধি করলেন, সে-টাকা চেয়ে ফেরত পাওয়া যায়।

মানুষের সমস্যা সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা থাকলেও, এই প্রথম ব্যক্তিমানুষের ক্ষোভ, অসুবিধা জানানোর জন্য সরাসরি ফোন নম্বর প্রদান করা হল। যদিও দিল্লিতে কেজরীবাল সরকার ক্ষমতায় আসার পর ‘জনতার দরবার’-এ সপ্তাহে এক দিন করে মানুষের অভিযোগ শোনা হত, তা তেমন ফলপ্রসূ হয়নি। ‘দিদিকে বলো’ কতটা সার্থক হবে তা সময় বলবে, কিন্তু মানুষ যে পারিপার্শ্বিক চাপকে উপেক্ষা করে অভিযোগ নথিভুক্ত করাতে পারছেন, এটাই তাঁদের ভয়ের বেড়া ডিঙোতে সাহায্য করেছে।

এত দিন শাসক দলের স্থানীয় নেতারা নিজেদের কার্যকলাপ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া কারও কঠিন প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছিলেন কি না সন্দেহ। বরং কেউ প্রশ্ন করলে তাকে বিক্ষুব্ধ বলে দেগে দেওয়া নেতারাই আজ পিকের নজরবন্দি। দুপুরের খাবারের মেনু থেকে রাতে গ্রামে থাকতে চাওয়ার প্ল্যান, সব নিমেষেই হাজির হচ্ছে টিম পিকের কাছে। আর চুন থেকে পান খসলেই কপালে জুটছে বকাঝকা। তাই দেখে মুচকি হাসছে হালিম শেখ, রামা কৈবর্তরা।

টিউটর প্রশান্ত কিশোর তাঁর ছাত্রটিকে আগামী বোর্ডের পরীক্ষায় পাশ করাতে পারুন বা না পারুন, ছাত্রটি যে কিছুটা সৌজন্য, শিষ্টাচার ও সততার পাঠ পাচ্ছে এ রাজ্যে, তা-ই বা কম কী?

প্রণয় ঘোষ

কালনা, পূর্ব বর্ধমান

বাংলায় ফর্ম

বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে সেভিংস অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য মুদ্রিত ফর্মগুলি ইংরেজি ও হিন্দি ভাষায় ছাপা হয়। পশ্চিমবঙ্গ অঞ্চলের জন্য ফর্মগুলি যদি বাংলাতেও মুদ্রিত হয়, সাধারণ মানুষের সুবিধা হয়।

তুষার ভট্টাচার্য

কাশিমবাজার, মুর্শিদাবাদ

ঠকে গেলাম

আমি এক জন বৃদ্ধা, অসুস্থ নাগরিক। খবরের কাগজ দেখে, ফ্ল্যাট কেনার ব্যাপারে যোগাযোগ করি (১ রুম)। প্রথমেই আমাদের কাছ থেকে ৫ লক্ষ এবং ক্রমাগত আমাদের থেকে ২ লক্ষ/৩ লক্ষ করে মোট ১৩ লক্ষ ২১ হাজার নিয়ে নেওয়া হয়। ফ্ল্যাটটির কোনও কাজ না হওয়ায়, আমরা টাকা ফেরত চাই এবং কনজ়িউমার ফোরামে নালিশ করি, কিন্তু কোনও কাজই হয় না। তার পর আমাদের ডাকা হয় ২২-৪-২০১৬ তারিখে, টাকাটা দিয়ে দেওয়া হবে বলে (ফ্ল্যাটটা দেওয়ার কথা ছিল ১৫-৪-২০১৫ তারিখে)। সে দিন আমাদের একমাত্র ভাইপোর বিয়ে ছিল। তা সত্ত্বেও আমরা সকালবেলায় হাজির হলাম কনজ়িউমার ফোরামে। সকাল থেকে বসিয়ে বেলা তিনটের সময় আমাদের বলা হল, টাকা দেওয়া হবে না। সেই রাতে আমার স্বামীর (৭৫ বছর বয়স) স্ট্রোক হয়। আজ তিন বছর বিছানায় শয্যাশায়ী। উনি বেসরকারি চাকরি করায়, কোনও রকম পেনশন পান না, আমিও গৃহবধূ। নিজেও নানা রকম ব্যাধিতে আক্রান্ত, অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতে পারি না। বাধ্য হয়ে আমাদের একটা ফ্ল্যাট ছিল, বিক্রি করে দিই। এখন জামাইয়ের কাছে থাকি। এই ব্যাপারটা নিয়ে টিভি চ্যানেলে দেখানোও হয়। কিন্তু কিছুই হল না। কোর্টেও যত বার কেস হয়, তত বারই বিচারক কেসটাকে ডিসমিস করে দেন। আমাদের মতো অসহায়, সহায়সম্বলহীন বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের বোধ হয় আত্মহত্যা ছাড়া উপায় নেই।

চিত্রা মুখোপাধ্যায়

কলকাতা-৪০

মাঝে স্টপ

দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন হল রূপসী বাংলা সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। পুরুলিয়া যাওয়ার জন্য মেদিনীপুরবাসীকে এই ট্রেনের ওপর ভরসা করতে হয়। কিন্তু সাঁতরাগাছির পরে এটি খড়্গপুরে স্টপ দেয়। মাঝে মেচেদা বা পাঁশকুড়াতে স্টপ দিলে খুব উপকার হয়।

সিদ্ধার্থ সেতুয়া

ময়না, পূর্ব মেদিনীপুর

ফুটপাতে বাজার

তারাতলা মোড় থেকে টালিগঞ্জ ফাঁড়ি যাওয়ার প্রধানতম রাস্তা টালিগঞ্জ সার্কুলার রোড। এই রাস্তাতে মহাবীরতলায় আদিগঙ্গার উপর সেতুটির ফুটপাতে দু’বেলা বাজার বসে। দু’লেনের এই রাস্তার নিউ আলিপুর থেকে টালিগঞ্জ ফাঁড়ি এই অংশটি খুবই সঙ্কীর্ণ। তার মধ্যে মহাবীরতলার জনাকীর্ণ অংশে এই বাজার গোদের ওপর বিষফোড়া। ব্রিজের দু’পাশের ফুটপাত পুরো দখলে থাকায় পথচারীরা রাস্তার উপর দিয়ে হাঁটতে বাধ্য হন, অনেকে সাইকেল, স্কুটার রাস্তায় দাঁড় করিয়ে আনাজ, মাছ, মাংস, ফল কেনেন। এর ফলে ওই সেতুটির উপর গাড়িগুলি ধীর গতিতে চলতে বাধ্য হয়, থাকে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা। টালিগঞ্জ ফাঁড়ি আর মহাবীরতলা মোড়ে যানজট নিত্য দিনের ঘটনা। সন্ধেয় তারাতলাগামী বাস, গাড়িগুলিকে অন্তত আধ ঘণ্টা ফাঁড়ির মোড়ে অপেক্ষা করতে হয়।

দেবজিৎ ঘোষ

কলকাতা-৩৮

নারকীয় রাস্তা

আমার গ্রামের বাড়ি হাটগাছা, আন্দুল, হাওড়া। প্রতি সপ্তাহে সেখানে যাই। গত কয়েক বছর ধরে এন সি পাল পোল থেকে আন্দুল স্টেশন যাওয়ার রাস্তাটির ভয়াবহ অবস্থা। গত পুজোর আগে হলদে রাবিশ ফেলে রাস্তা মেরামতের চেষ্টা হয়েছিল, বর্ষায় সেই রাবিশ হলদে রঙের থকথকে কাদায় পরিণত হয়েছে। এখন পুরো রাস্তাটাই বিরাট বিরাট গর্তে ভরা,তাতে বর্ষার জল জমে এক নারকীয় পরিস্থিতি।

শিবপ্রসাদ রায়চৌধুরী

শিবপুর, হাওড়া

বাস রুট

যাদবপুর থেকে S31 বাসের রুটটিকে যদি ঠাকুরপুকুর থানা হয়ে জোকা পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা হয়, খুব সুবিধা হবে। বিশেষ করে ঠাকুরপুকুর থানা অঞ্চলের একটি নামী কলেজ বা জোকা-র কিছু বিখ্যাত স্কুলের ছাত্রছাত্রী বা কর্মী, যাঁরা গড়িয়া, গাঙ্গুলিবাগান বা যাদবপুরের মতো অঞ্চল থেকে নিয়মিত যাতায়াত করেন, তাঁদের বার বার বাস বা অটো পরিবর্তন করতে হয়। এমনকি গড়িয়া থেকে সুবোধ চন্দ্র মল্লিক রোড হয়ে ঠাকুরপুকুর যাওয়ার সরাসরি অন্য কোনও বাস নেই। ফলে সময়ে কর্মস্থলে পৌঁছতে বিড়ম্বনা হয়। S31-এর রুট সম্প্রসারণ বা নতুন কোনও একটি বাস রুট চালু হলে ভাল হয়।

প্রজ্ঞা ভট্টাচার্য

কলকাতা-৮৪

স্টেশন না মেলা

ক্যানিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং ব্যস্ত। স্টেশনটিতে মাত্র দু’টি প্ল্যাটফর্ম এবং সেগুলির এ-প্রান্ত থেকে ও-প্রান্ত পর্যন্ত স্থায়ী ভাবে হকারদের স্টল বা দোকান থাকায়, যাত্রীদের চলাফেরা ভীষণ অসুবিধাজনক। একই সময়ে ট্রেন ধরার ও ট্রেন থেকে নামা যাত্রীদের উল্টো স্রোত যখন খাবারের স্টলের জ্বলন্ত উনুনের পাশ কাটিয়ে চলতে থাকে, দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। যাত্রীদের বসার বেঞ্চগুলোতে দাঁতের মাজন বা কাঁকড়াবিছের তেল বিক্রির স্থায়ী জায়গা হয়েছে। স্টেশনটিকে একটি গ্রাম্য মেলা বলে ভুল হতে পারে। ফুট ওভারব্রিজ না থাকায় এই ভিড়ের কারণে অনেক যাত্রী রেললাইনে লাফিয়ে পড়ে লাইন ধরে হেঁটে স্টেশনের বাইরে বেরোন।

আনন্দ বক্সী

কলকাতা-৮৪

চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা

সম্পাদক সমীপেষু,

৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা-৭০০০০১।

ইমেল: letters@abp.in

যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়। চিঠির শেষে পুরো ডাক-ঠিকানা উল্লেখ করুন, ইমেল-এ পাঠানো হলেও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

TMC Prashant Kishor Mamata Banerjee
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE