Advertisement
E-Paper

সম্পাদক সমীপেষু: ডাক্তার ও রোগী

‘জটিলতা’ আর ‘অবহেলা’র মধ্যে আকাশ-পাতাল পার্থক্য। অসুখের  চিকিৎসায় সব সময় দুইয়ে দুইয়ে চার হয় না। ডাক্তাররা সব সময়ই চান রোগী ভাল হয়ে উঠুক (অনেক তথাকথিত শুভানুধ্যায়ীদের থেকে হয়তো বেশি করেই চান)।

শেষ আপডেট: ১৮ জুন ২০১৮ ০০:০২

কয়েক মাস ধরেই সংবাদপত্রের পাতায় ডাক্তারদের বিষয়ে নানা (মুখরোচক) খবর প্ৰকাশিত হচ্ছে। অধিকাংশেরই বিষয়: কোনও দিন কোথাও ডাক্তার মার খেয়েছেন, কোনও দিন বা হাসপাতালের অন্য কর্মীরা। অনেক ক্ষেত্রেই ডাক্তারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হচ্ছে। এতে কিন্তু ক্ষতি হচ্ছে সাধারণ মানুষ, ডাক্তার এবং পুরো সমাজের। ‘জটিলতা’ আর ‘অবহেলা’র মধ্যে আকাশ-পাতাল পার্থক্য। অসুখের চিকিৎসায় সব সময় দুইয়ে দুইয়ে চার হয় না। ডাক্তাররা সব সময়ই চান রোগী ভাল হয়ে উঠুক (অনেক তথাকথিত শুভানুধ্যায়ীদের থেকে হয়তো বেশি করেই চান)। কারণ, একমাত্র রোগী ভাল হওয়ার মধ্যেই আছে ডাক্তারের আত্মতুষ্টি। একটা উপসর্গের পিছনে কয়েকশো কারণ (রোগ) থাকতে পারে। সুতরাং এ ক্ষেত্রে ডাক্তারবাবুকে তাঁর নিজের জ্ঞানের ওপর ভিত্তি করে এগোতে হয়। এই জ্ঞান এক দিন বা এক মাসে আসে না, বা গুগল সার্চ করেও আসে না। এর জন্য বহু বছর পড়াশোনা করতে হয়, পরীক্ষা দিতে হয়। এমবিবিএস পড়তে লাগে সাড়ে পাঁচ বছর। তার পর ভাগ্য খুব ভাল থাকলে, যাঁরা খুব ভাল পড়াশোনা করেন, তাঁরা আরও এক বছর পর এমডি, এমএস বা ডিএনবি-তে চান্স পান (সবাই কিন্তু নিজের পছন্দের বিষয়টি পড়ার সুযোগ পান না)। এমডি বা এমএস করতে সময় লাগে তিন বছর। এখন আবার এর সঙ্গে তিন বছরের বন্ড পোস্টিং যুক্ত হয়েছে। এর পরে অনেকে ডিএম করেন যার জন্য আবার পরীক্ষা দিতে হয়। এই পড়াশোনাটাও তিন বছরের এবং এতেও তিন বছরের বন্ড আছে। তা হলে সব কিছু ঠিকঠাক চললে এখন এমডি করে বেরোতে প্রায় ১৩ বছর এবং ডিএম করে বেরোতে প্রায় ১৯ বছর সময় লাগবে। এর পর ডাক্তারবাবুরা হয় চাকরি করেন বা প্র্যাকটিস শুরু করেন।

কিছু না বুঝে বা ভুল বুঝে ডাক্তারদের গায়ে হাত দিলে সেটার পরিণাম হয় ভয়াবহ এবং দুর্ভাগ্যজনক। প্রথমত এর পর থেকে ওই ডাক্তারবাবু রোগীকে বাঁচানোর আগে নিজে বাঁচার চেষ্টা করবেন। তিনি খাতায়-কলমে ঠিক থাকার জন্য প্রচুর পরীক্ষা-নিরীক্ষা লিখতে বাধ্য হবেন, যার টাকা রোগীর পকেট থেকেই যাবে। তিনি খুব খারাপ রোগী দেখলেই এড়িয়ে যেতে চাইবেন— কোনও ঝুঁকি নেবেন না, ঝুঁকিপূর্ণ অপারেশন এড়িয়ে যেতে চাইবেন এবং সর্বোপরি রোগীদের প্রতি তাঁর মানবিকতা হারিয়ে যাবে। শুধু তা-ই নয়, এর ফলে অন্যান্য রোগীর আত্মীয়রা এবং অন্য ডাক্তারেরা, যাঁরা এই মারধরের ঘটনা দেখলেন, তাঁদের মধ্যেও এক বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হবে। রোগী এবং রোগীর আত্মীয়রা যেমন ডাক্তারদের বিশ্বাস করতে পারবেন না, তেমন ডাক্তাররাও রোগীদের বা রোগীর আত্মীয়দের বিশ্বাস করতে পারবেন না। রোগী যদি ডাক্তারকে বিশ্বাস না করতে পারেন তবে রোগ সারা খুব মুশকিল। রোগী তখন এফেক্টের থেকে সাইড-এফেক্টের কথা বেশি ভাবতে থাকবেন। এই রকম চলতে থাকলে এই vicious cycle পুরো সমাজকেই নষ্ট করে দেবে।

অনেকে ভাবছেন, এতে ডাক্তারদেরও অনেক দোষ আছে। কিন্তু এটাও ভাবা প্রয়োজন, সব পেশাতেই কিছু খারাপ লোক থাকে। আর ডাক্তাররা তো মঙ্গলগ্রহ থেকে আসা জীব নন, তাঁরা আমার-আপনার মতোই মানুষ। তাই সমাজ যে পরিমাণ অবক্ষয়ের শিকার, ডাক্তাররাও ততটা অবক্ষয়ের শিকার। আশা করা যাক জনসাধারণের মধ্যে শুভবুদ্ধির উদয় হবে, সংবাদমাধ্যম খবরের সত্যতা বিচার করে খবর পরিবেশন করবে এবং রোগী ও ডাক্তারের সম্পর্কের মধ্যে বিশ্বাসের বাতাবরণ ফিরবে।

আরিত্র চক্রবর্তী

বাঁকুড়া

পেরোনো দুষ্কর

কলকাতা বিমানবন্দরের কাছে বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের ধারে একটি আবাসনে থাকি। আশেপাশে আরও কিছু আবাসন আছে। কয়েকশো পরিবারের এখানে বাস। আবাসন থেকে বেরোলেই বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে। সকালে অফিসটাইমে এবং সন্ধ্যা থেকে অন্তত রাত এগারোটা পর্যন্ত আমরা রাস্তা পেরোতে পারি না, ট্র্যাফিক জ্যামের জন্য। অসহায়ের মতো অপেক্ষা করি, কখন একটু ফাঁকফোকর পাব আর রাস্তাটা পেরোব। দিনের বেলা মাঝে মাঝে পুলিশ চোখে পড়ে, যাঁরা শুধু স্কুটার মোটরসাইকেল দাঁড় করিয়ে কাগজপত্র চেক করেন। আর কিছু পুলিশ গাড়ি-সহ দাঁড়িয়ে থাকেন ভিআইপি ডিউটি করার জন্য। ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণের কোনও উদ্যোগ নেই। বহু আবেদন-নিবেদনের পর বিধাননগর কমিশনারেট থেকে সিগনালের জন্য কয়েকটি পোস্ট বসানো হয়েছে, কিন্তু চালু হয়নি।

সমীর বরণ সাহা

কলকাতা-৮১

আন্দুল রোড

মুখ্যমন্ত্রীর হাওড়াতে প্রশাসনিক বৈঠকের পর হাওড়ার আরও উন্নতি হবে, এমন আশা জেগেছে। কিন্তু আন্দুল রোডের সমস্যা সমাধান না করে হাওড়া জেলার উন্নয়ন কার্যত অসম্ভব— এই কথাটা কোনও কর্তাব্যক্তি গোচরে আনলেন না দেখে অবাক হলাম। বাইক ও টোটোর দৌরাত্ম্য এবং সারা দিন পণ্যবাহী বিশাল লরির (যা আইনত দিনের নির্দিষ্ট সময় ছাড়া স্থানীয় সড়ক দিয়ে যেতে পারে না) জন্য বাস, স্কুলগাড়ি ও অন্যান্য যাত্রিবাহী গাড়ির যাতায়াত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। চুনাভাটি ও বকুলতলায় গাড়ি প্রায় নড়াচড়া করতে পারে না দীর্ঘ ক্ষণ। সময় মতো পৌঁছনোর জন্য ঘুরপথে সাঁতরাগাছি দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে অধিকাংশ যাত্রীর পকেটে টান পড়ছে।

দেবযানী হাজরা

আন্দুল, হাওড়া

ফুটপাত নেই

মহকুমা শহর শ্রীরামপুরের উত্তর-পশ্চিম প্রান্তে বৈদ্যবাটী পুর এলাকার অন্তর্গত গোদার বাগান থেকে শেওড়াফুলি পুলিশ ফাঁড়ি পর্যন্ত জাতীয় সড়ক জিটি রোডের উভয় দিকেই মানুষের চলাচলের উপযোগী কোনও ফুটপাত নেই। সম্প্রতি জলের পাইপ বসানোর কাজের ফলে অবস্থা আরও সঙ্গিন হয়েছে। মানুষ জিটি রোডের উপর দিয়েই হাঁটতে বাধ্য হচ্ছেন। যার অনিবার্য ফল: প্রায় প্রতি দিনই হচ্ছে দুর্ঘটনা। পশ্চিম দিকে পাইপ বসানোর পর ফুটপাতের সংস্কারের কাজ শুরু হলেও পূর্ব প্রান্তের সংস্কার খুবই জরুরি।

কৃষ্ণচন্দ্র ভড়

চাতরা, শ্রীরামপুর

পুলিশ লাইন

বেশ কয়েক মাস আগে সিঙ্গুরে কিসমৎ অপূর্বপুর গ্রাম সংলগ্ন এলাকায় পুলিশ লাইনের উদ্বোধন হয়েছে। এই এলাকার রাস্তা খুবই ছোট এবং জনবহুল। ভোরের আলো ফুটতেই পুলিশের গাড়িগুলি সার সার ভাবে দোকান এবং বাড়ির সামনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকে। রাস্তা চলাচল দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে এবং প্রায়ই যানজটের সৃষ্টি হয়। দোকানের সামনে গাড়িগুলি দাঁড়িয়ে থাকায়, কেনাবেচা খুব কমে গিয়েছে।

তন্ময় দাস

সিঙ্গুর

মুরগি কাটা

কলকাতার রাস্তা ও ফুটপাতে প্রতি দিন প্রকাশ্যে নৃশংস ভাবে মুরগি কাটা এবং সাইকেলের হাতলে ঝুলিয়ে হেঁটমুন্ডু সারিবদ্ধ মুরগি বহন অমানবিক। নিরীহ মানুষ, শিশুদের ভীতি ও জিঘাংসার উদ্দীপক। এই দৃশ্যদূষণ বন্ধ হোক। মুরগির মাংস বিক্রি ঘেরা জায়গায় করা হোক।

ডালিমকুমার দত্ত

কলকাতা-৬

ইনরাপত্তা

বাগডোগরা বিমানবন্দরের প্রবেশপথে চেক-ইন ডিসপ্লে’তে বহু দিন ধরে প্রদর্শিত হয়ে আসছে ‘ইনরাপত্তামূলক’ কথাটি। কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেও ফল হয়নি।

গৌতমকুমার ভাদুড়ি

কোচবিহার

Letters To Editor
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy