ব্রিটিশ আইন পাল্টে দিয়েছিলেন কিরণজিৎ
ত্রিশ বছর আগে কিরণজিৎ অহলুওয়ালিয়া নামের এক পঞ্জাবি গৃহবধূ স্বামীর পায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছিলেন। আগের রাতে স্বামী তাঁর মুখে ঠেসে ধরেছিলেন গরম ইস্ত্রি, তাতেই ধৈর্যের বাঁধ ভেঙেছিল কিরণজিতের। বহু বছর নির্যাতন সহ্য করছিলেন তিনি। কিরণজিৎ বলেছিলেন তিনি স্বামীকে মেরে ফেলতে চাননি, শুধু পা দুটো পুড়িয়ে ফেলতে চেয়েছিলেন যাতে স্বামী তাঁকে দৌড়ে ধরতে না পারেন। দশ দিন পর দীপক অহলুওয়ালিয়ার মৃত্যু হয়, খুনের দায়ে গ্রেফতার হন কিরণজিৎ। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয় তাঁর। সাউথঅল ব্ল্যাক সিস্টার্স নামে এক নারী সংগঠনের সদস্যেরা তাঁর মামলার ভার নেন, আইনজীবীদের বোঝান, এত অত্যাচার সয়েও কেন কিরণজিতের পক্ষে বিয়ে থেকে বেরিয়ে আসা কঠিন ছিল। কিরণজিতের আবেদন গ্রাহ্য হয়। ১৯৯২-এ মামলা শুরু হয় ফের। নির্যাতনের কারণে কিরণজিৎ যে দীর্ঘকাল অবসাদে ভুগছিলেন, প্রমাণ পেশ করা হয় আদালতে। পরে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়। ইতিহাস গড়েন কিরণজিৎ। এই মামলার সূত্রে বদলায় ব্রিটিশ আইন। যে নির্যাতিত মেয়েরা নিজেদের সঙ্গী বা স্বামীদের বিরুদ্ধে সহিংস পদক্ষেপ করতে বাধ্য হয়েছিলেন, তাঁদের মানসিক অবস্থা বিবেচনা শুরু হয়। এ বছরই ৪০ বছর পূর্তি পালন করছে সাউথঅল ব্ল্যাক সিস্টার্স। ইউকে এশিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভালে দেখানো হয়েছে ‘প্রোভোকড’, কিরণজিতের জীবন অবলম্বনে যে ছবিতে অভিনয় করেছিলেন ঐশ্বর্যা রাই।
যুগান্তকারী: মুক্তি পাওয়ার পর কিরণজিৎ। বাঁ দিক থেকে দ্বিতীয়
ওয়েলিংটন ও ভারত
মেজর জেনারেল স্যর আর্থার ওয়েলেসলি— পরে যিনি পরিচিত হন লর্ড ওয়েলিংটন নামে— ১৮১৫ সালে ওয়াটারলুর যুদ্ধে নেপোলিয়নকে পরাজিত করেছিলেন। কিন্তু রণকৌশল তিনি শিখেছিলেন এই ভারতে! ১৭৯৯-এ তিনি শ্রীরঙ্গপত্তমে টিপু সুলতানকে পরাস্ত করেন, ১৮০৩-এ হারান মরাঠাদের। লন্ডনে হাইড পার্ক ও পিকাডিলির উল্টো দিকে, অ্যাপস্লে হাউসে থাকতেন ওয়েলিংটন। এ মাসে সেখানে শুরু হল প্রদর্শনী ‘ওয়েলিংটন ইন ইন্ডিয়া’। আছে কলকাতায় উপহার পাওয়া তরবারি, পোর্সেলিনের পাত্র, টিপু সুলতানের তরবারি ও ছোরা, পোর্সেলিনের বাঘ। ১৭৯৬ সালে ২৭ বছর বয়সে ওয়েলিংটন ভারতে আসেন। ওঁর বড়দা রিচার্ড (লর্ড মর্নিংটন) ভারতের গভর্নর জেনারেল হয়ে কলকাতা আসেন পরে। কলকাতায় গভর্নর’স হাউস বা রাজ ভবনের নকশার কারিগর তিনিই। রিচার্ড কলকাতা আসার তিন মাস আগে আর্থার মাদ্রাজ চলে যান, আর ভারত ছাড়েন ১৮০৫-এ। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি মহীশূর জয়ের জন্য ৪০০০ আর মরাঠা বিজয়ের জন্য ২৫০০০ পাউন্ড পুরস্কার দিয়েছিল তাঁকে। টিপুর পরাজয়ের পর তাঁর স্বর্ণব্যাঘ্র সিংহাসন-সহ বহু দুর্মূল্য জিনিস ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে পাঠানো হয়েছিল, পরে উপহার দেওয়া হয় রাজা তৃতীয় জর্জকে। টিপুর রত্নসম্পদ ডিউক অব ওয়েলিংটনকে দিতে চাইলেও তিনি তা নেননি। ১৯৫৬ সালে সপ্তম ডিউক অব ওয়েলিংটন টিপুর তরবারিটা ছাড়া বাকি সব কিছু ভারত সরকারকে ফিরিয়ে দেন।
ভোটে বাঙালি
লড়াকু: লেবার পার্টির প্রচারে রোহিত
তিনিই প্রথম কলকাতার বাঙালি যিনি ব্রিটিশ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন— ২০১৭ সালে লেবার পার্টির হয়ে। সে বার হেরে গেলেও দমেননি। গত বছর ইস্ট লন্ডনের নিউহ্যামে এক কাউন্সিল আসনে জিতেছেন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী রোহিত দাশগুপ্ত ২৩ মে-র ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের ভোটে দাঁড়ানোর জন্য তৈরি হচ্ছেন। ২৯ মার্চ ও ১২ এপ্রিল ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যেতে ব্যর্থ হওয়ায় ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়তে হবে ব্রিটেনকে। লেবার পার্টির রোহিতের প্রতিদ্বন্দ্বী ইউকেআইপি পার্টির প্রাক্তন নেতা নাইজেল ফারাজ। নাইজেল নতুন দল গড়েছেন, ‘ব্রেক্সিট পার্টি’। রোহিতের দাবি দ্বিতীয় দফা গণভোট।
নির্বাসন!
প্রথম সন্তানের জন্মের পর হ্যারি ও মেগান মার্কল কমনওয়েলথ সংস্থাগুলোর হয়ে কাজ করতে যাবেন আফ্রিকার কোনও দেশে। দু’জনেই আগে গিয়েছেন বতসোয়ানায়, এখানেই মধুচন্দ্রিমায় এসেছিলেন। লোকে বলছে এ বারের যাওয়াটা আসলে নির্বাসনে যাওয়া। উইলিয়াম আর হ্যারি দুই ভাইয়ের বনছে না, কারণ কেট আর মেগানের ঝগড়া!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy