সত্তরের দশকে তাইল্যান্ডে পর্যটকদের মাদক খাইয়ে খুন করে সর্বস্ব লুট করত ‘বিকিনি কিলার’ চার্লস শোভরাজ। তাকে নিয়েই বিবিসি-র ড্রামা সিরিজ় দ্য সার্পেন্ট, সম্প্রচার শুরু হয়েছে ১ জানুয়ারি। ওলন্দাজ কূটনীতিক হার্মান ক্নিপেনবার্গ শোভরাজের পিছু নেন, সিরিজ়ে সেই চরিত্রটিও রয়েছে। অভিনেতা রহিম ফুটিয়ে তুলেছেন শোভরাজকে। সানগ্লাস আর বুকখোলা টাইট শার্টে হোটেলে ঘুরছে সে, খুঁজছে শিকার। শোভরাজের ফরাসি প্রেমিকা মোনিক-এর ভূমিকায় জেনা কোলম্যান। টেলিড্রামা ‘ভিক্টোরিয়া’-য় তরুণী রানির চরিত্রে ছিলেন তিনি। দুষ্প্রাপ্য রত্ন, কুকুরছানা, হিপিদের মাদক দিয়ে মোনিককে কাছে টেনেছিল শোভরাজ। মোনিক দেখত কী ভাবে বন্ধুত্ব জমিয়ে ভ্রাম্যমাণ পর্যটকদের জন্য টোপ সাজাত সে। গরম জলে স্নান, দুর্লভ রত্ন, ড্রাগের লোভ দেখাত। তার পর পানীয়ে মাদক মিশিয়ে মেরে দিত, হাতিয়ে নিত পাসপোর্ট। এই হিংস্র শো নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। মৃতদের অনেকেরই আত্মীয়রাও যে এখনও বেঁচে!
১৯৮৬-তে তিহাড় জেলের রক্ষীদের মাদক খাইয়ে পালায় শোভরাজ, ধরা পড়ে গোয়াতে। ’৯৭-এ ভারতের জেল থেকে বেরিয়ে প্যারিসে ফিরে সাক্ষাৎকার দিত! ২০০৩ থেকে নেপালের জেলে আছে সে।
জনসনের ভাগ্য মন্দ
বরিস জনসনের শীতের ভারতে রোদ পোহানোর শখে জল ঢালল কোভিড-১৯। প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে তাঁর অতিথি হওয়ার কথা ছিল। ব্রিটেনে সংবাদমাধ্যমের কাছে জবাবদিহির চেয়ে ভারত সফরই ভাল ছিল তাঁর। জনসন ভারতীয়দের নির্ঘাত বলতেন, তাঁর মন্ত্রিসভায় তিন জন ব্রিটিশ-ভারতীয়। জনপ্রিয় ঋষি সুনক তাঁর প্রতিবেশী। প্রীতি পটেলের জনপ্রিয়তায় ঘাটতি থাকলেও তিনি মোদীভক্ত। ভারতের সঙ্গে ব্যবসায় মুনাফা করতে পারতেন বাণিজ্য সচিব অলোক শর্মা। ১৯৯৩-এ জন মেজর শেষ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রজাতন্ত্র দিবসে অতিথি হয়েছিলেন।
ভ্রমণসঙ্গী ভাইরাস