১২৫ কোটি মানুষের দেশ। অলিম্পিক্সের আসরে গিয়েছেন ১১৮ জনের বিরাট একটা দল। অনেক আশা ও উদ্দীপনা। এখনও পর্যন্ত ঝুলিতে পদকের সংখ্যা শূন্য। অতএব গোটা দেশ এখন তাকিয়ে আগরতলার বাঙালি কন্যার দিকে। দীপা কর্মকার।
গোটা দেশের বিপুল প্রত্যাশার চাপ কাঁধে নিয়ে প্রদুনোভা ভল্টের জন্য যখন এগিয়ে যাবেন দীপা, সংশয় নেই, গোটা দেশ অপলকে তাকিয়ে থাকবে তাঁর দিকে। শ্বাসরুদ্ধ মুহূর্ত, একটা দৌড়, ভল্ট, সোনা অথবা রুপো অথবা ব্রোঞ্জ অথবা এই তিন পদকের কোনওটাই নয়। যদি পদক পান দীপা, তবে তো শিখর ছোঁবেনই তিনি, না পেলেও শিখরস্পর্শের কম কিছু হবে না। জীবনকে আক্ষরিক অর্থেই বাজি রেখে যিনি দেশকে সম্মান এনে দেওয়ার চূড়ান্ত লড়াইয়ে পৌঁছন, তাঁর কৃতিত্বকে সম্মান দেওয়ার যোগ্যতা আমরা যেন অর্জন করি।
পরিবেশ-পরিকাঠামো-সুযোগের নানা প্রতিকূলতাকে পেরিয়ে দীপা আজ এখানে এসে পৌঁছেছেন। তিনি পারবেন, আমাদের আন্তরিক কামনা। এ দেশের অসংখ্য মানুষের শুভেচ্ছা আপনার সঙ্গে রয়েছে। আপনি দৌড় শুরু করুন। আরও এক বার। ওই ডবল সমারসল্ট ভল্ট দিয়ে দু’পায়ে দাঁড়ান সেই অপূর্ব ভঙ্গিমায়। গোটা বিশ্ব দেখুক, তাবড় জিমন্যাস্টরা যে প্রদুনোভা ভল্ট দিতে ভয় পান, এক বঙ্গতনয়া কী অবলীলায়, সেটা করে দেখাচ্ছেন অলিম্পিক্সের আসরে।
দীপা, আমাদের সর্বাঙ্গীন শুভেচ্ছা রইল।