Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪
Editorial News

দ্ব্যর্থহীন নিন্দা জরুরি

এই প্রথম বার নয়, মহিলাদের সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য বা লিঙ্গবৈষম্যমূলক মন্তব্যের জন্য আজম খান বার বার শিরোনামে এসেছেন।

বার বার বিতর্কে জড়িযেছেন আজম খান। —ফাইল চিত্র।

বার বার বিতর্কে জড়িযেছেন আজম খান। —ফাইল চিত্র।

অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়
শেষ আপডেট: ২৭ জুলাই ২০১৯ ০০:০৩
Share: Save:

শুধু সংসদীয় রীতি লঙ্ঘন নয়, সংসদের মর্যাদাতেও আঘাত হানলেন আজম খান। স্পিকারের চেয়ারে বসে থাকা রমাদেবী সম্পর্কে যে মন্তব্য আজম খান করলেন, তা সুস্থ স্বাভাবিক নাগরিকের মুখে মানায় না। তবে প্রায় গোটা লোকসভা যে ভাবে শামিল হয়েছে আজম খানের দ্ব্যর্থহীন নিন্দায়, তা প্রশংসনীয়। বিজেপির তরফ থেকে নির্মলা সীতারামন, স্মৃতি ইরানিরা তো বটেই কংগ্রেসের অধীর চৌধুরী বা তৃণমূলের মিমি-নুসরতও নিন্দা করেছেন।

এই প্রথম বার নয়, মহিলাদের সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য বা লিঙ্গ বৈষম্যমূলক মন্তব্যের জন্য আজম খান বার বার শিরোনামে এসেছেন। কখনও নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দাযের হয়েছে তাঁর নামে, কখনও দেশ জোড়া নিন্দা হয়েছে। কিন্তু আজম খান থেকেছেন আজম খানেই। আপত্তিকর এবং অশালীন মন্তব্যগুলোর জন্য তিনি দুঃখিত বা লজ্জিত, এমনটা কখনও মনে হয়নি।

নির্বাচনী প্রচার চলাকালীন প্রতিদ্বন্দ্বী জয়াপ্রদা সম্পর্কে এমন মন্তব্য আজম খান করেছিলেন যে, সে মন্তব্য সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করাও যায়নি। কোনও নিন্দাই গায়ে লাগছিল না সমাজবাদী পার্টির এই প্রবীণ নেতার। এ বার লোকসভার স্পিকারের আসনে বসে থাকা মহিলা সাংসদকেও আপত্তিকর কথাবার্তা বললেন। যাঁকে বললেন, সেই রমাদেবী নিজেও প্রতিবাদ করলেন, অন্যান্য সাংসদরাও প্রতিবাদ করলেন, কিন্তু আজম খান ক্ষমা চাইতে রাজি হলেন না। অনুশোচনার অভাব এবং ঔদ্ধত্য কোন পর্যায়ে পৌঁছলে একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এ রকম চূড়ান্ত অনাকাঙ্খিত আচরণ করতে পারেন, তা ভাবলে বিস্ময়ের পরিধি আরও বাড়ে।

ম্পাদক অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা আপনার ইনবক্সে পেতে চান? সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

আরও পড়ুন: নিন্দায় নির্মলা-স্মৃতি-মিমি, আজম খানকে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দেবেন স্পিকার​

আরও পড়ুন: আজমের মন্তব্য ঘিরে উত্তেজনা লোকসভায়​

স্বস্তির বিষয় হল, আজম খানের নিন্দাটা এ বার শুরু হয়েছে সব শিবির থেকেই। শুধু বিজেপি নয়, কংগ্রেস, তৃণমূল– সহ নানা বেঞ্চ থেকেই নিন্দা সমাজবাদী পার্টির সাংসদের। আজম খান যে অত্যন্ত আপত্তিকর কথা বলেছেন, এবং তাঁর যে ক্ষমা চাওয়া উচিত, এ কথা মনে করছেন লোকসভার প্রায় সব অংশই। দলমত নির্বিশেষে এই দ্ব্যর্থহীন নিন্দাটা অত্যন্ত জরুরি এখন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE