শীত পড়তে শুরু করেছে। বদলাতে শুরু করেছে প্রকৃতিও। গ্রামের রাস্তা ধরে ধান বোঝাই ভটভটি গাড়ি চলছে কৃষকের বাড়ি। একসময় যা গরুর গাড়ির দখলে ছিল, সে জায়গায় আজ ভটভটি। সকালে শিশির পড়ার শব্দ। বেলা গড়ালেও কচু পাতার উপরে শিশিরের দুলুনি আমাদের কি যে আনন্দ দেয়, তা ভাষায় প্রকাশ করা অনেকটাই কঠিন। মিঠে রোদে খানিকক্ষণ বসে থাকার মজা তো সবারই জানা। আর সেই ভোরের কুয়াশা। শীত মানেই আমাদের কাছে উৎসবের ঢালি নিয়ে হাজির হওয়া এক ঋতু। কোথাও মেলা বসেছে, তো কোথাও যাত্রার আসর। আবার কোথাও সঙ্গীতসন্ধ্যা তো কোথাও নাটকের উৎসব। পারিবারিক অনুষ্ঠান তো রয়েইছে। আমরা প্রত্যেকেই সেই আনন্দে মেতে উঠি। আনন্দ শেষও হয়ে যায়, পড়ে থাকে অসচেতনতা। যদিও এই অসচেতন আমরা থাকি বছরভরই। এবং তার পরিণামও আমরা পেতে শুরু করেছি। তবুও আমরা সচেতন হতে পারি না।আনন্দের পরে দুর্গন্ধ
অগ্রহায়ণের মাঝামাঝি চলছে। আর কয়েক দিন পরেই পৌষ মাস। সদ্য শেষ হল কোচবিহারের রাসমেলা। সেই মেলা আমাদের অসচেতনতার একটি নজির হয়ে রয়েছে। রাসমেলায় প্রচুর আনন্দ হয়েছে। সার্কাস থেকে নাগরদোলা মন কেড়ে নিয়েছে সাধারণ মানুষের। সেই সঙ্গেই মদনমোহন মন্দিরের রাস ঘোরানো, পুতনা রাক্ষসীকে দেখা এনে দিয়েছে অনাবিল আনন্দ। শিশুরা তো আনন্দে বিহ্বল। নানা খাবারের দোকান মন কেড়েছে অনেকের। সেই সর্বজনগ্রাহী মেলা শেষ হয়েছে, তাও কয়েক দিন হয়ে গেল। কিন্তু আবর্জনা? এখনও তা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে চারদিকে। দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। পরিবেশ দূষণ। তা নিয়ে কেউই তেমন একটা বিচলিত নন। সবারই কেমন একটা গা ছাড়া মনোভাব। এটাই আমাদের অসচেতনতা। পুরসভা ইচ্ছে করলে অল্প সময়েই মাঠ পরিষ্কার হতে পারে। এলাকা দূষণের হাত থেকে রক্ষা পেতে পারে। তাই বর্তমান অবস্থার বা চিন্তার পরিবর্তন প্রয়োজন।
প্লাস্টিক হাতে হাতে