Advertisement
E-Paper

সম্পাদক সমীপেষু

অনুষ্ঠান প্রচারে বিঘ্ন ঘটায়...

শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০১৫ ০০:০১

অনুষ্ঠান প্রচারে বিঘ্ন ঘটায়...

দূরদর্শনের কল্যাণে এখন আকাশবাণী তার কৌলীন্য হারিয়েছে। দর্শকের সংখ্যা বেড়েছে, শ্রোতার সংখ্যা ক্ষীয়মাণ। তবে আমার মতো প্রাচীনপন্থীরা অনেকেই আকাশবাণীকে আঁকড়ে আছেন। বেদনায় পেয়ালা ভরে যায় যখন দেখি, আকাশবাণী কলকাতা কেন্দ্রের কর্মীরা কত হেলাফেলা করে কর্তব্য পালন করেন।

গত ৪ ফেব্রুয়ারি সকাল ৭-৪৫ মিনিটে ‘ক’ প্রচার তরঙ্গে এক মহিলা ঘোষক জানালেন, এ বার রবীন্দ্রসংগীত। শিল্পী চলোর্মি চট্টোপাধ্যায়। নতুন শিল্পীর অনুষ্ঠান থাকলে আগ্রহ সহকারে শুনি।

বিস্মিত হলাম। কারণ, কোনও শিল্পীর গান হল না। বেহালা বাজতে থাকল। তাও রবীন্দ্রসংগীতের সুরে নয়। মিনিট চারেক বাজনা শুনিয়ে বন্ধ হল। শুরু হল ‘অ্যাই মনে আছে? তোমার ওই ব্লু ড্রেসটা...’ ইত্যাদি ইত্যাদি। বিজ্ঞাপন অন্তে ঘোষিকা আবার বললেন, আকাশবাণী কলকাতা, আজকের শিল্পী চলোর্মি চট্টোপাধ্যায়। এবং বাজনা বাজতে থাকল সকাল আটটা পর্যন্ত। রবীন্দ্রসংগীতের নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেল। পরবর্তী প্রোগ্রাম ‘জানা অজানা’ শুরু হল।

পর দিন (৫-২) সকালবেলা আবার রেডিয়ো খুললাম যদি পূর্ব দিন ঘোষিত শিল্পীর গান শোনা যায়। চলোর্মির নয়, আর এক শিল্পী চন্দনা মিত্র-র গান শুনলাম। দুটি গান। ভালই লাগল।

১১ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সংবাদের পর পুরুষ কণ্ঠে আবার ঘোষণা: আজকের রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী চলোর্মি চট্টোপাধ্যায়। এ বার বেহালা নয়, সেতার বাজনা শুরু হল। দশ মিনিট সেতারের ঝঙ্কার শুনলাম। তার পর সেতার থামিয়ে ঘোষক বললেন, অনুষ্ঠান প্রচারে বিঘ্ন ঘটায় আমরা দুঃখিত। ঘোষকের কণ্ঠস্বরে অবশ্য দুঃখের লেশমাত্র ছিল না। এর পর তিনি বজ্রকণ্ঠে জানালেন, এখন রবীন্দ্রসংগীত, শিল্পী দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়। ছাত্রজীবন থেকেই দ্বিজেনবাবু আমার প্রিয় শিল্পীদের একজন। তাঁর কণ্ঠে সে দিন আবার শুনলাম ‘তুমি কেমন করে গান করো হে গুণী।’ এই গানটির পর বাংলা ও হিন্দিতে একাধিক বিজ্ঞাপন শুনিয়ে রবীন্দ্রসংগীতের অনুষ্ঠান সমাপ্ত হল। যেখানে সাধারণত শ্রোতাদের অন্তত তিনটি রবীন্দ্রসংগীত শোনানো হয়, সেখানে সে দিন শোনানো হল মাত্র একটি। অবশেষে চলোর্মি চট্টোপাধ্যায়ের রবীন্দ্রসংগীত আমরা শুনেছিলাম ১৭ ফেব্রুয়ারি সকালবেলা। একটি নয়, তিনটি।

সোমনাথ রায়। কলকাতা-৮৪

যারে দেখতে নারি...

কলকাতা পুরসভার নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী-তালিকাকে ‘স্বজন বাগান’ বলা হয়েছে (‘স্ত্রী-কন্যা-ভাই দিয়ে সাজানো...’, ৯-৩)। কিন্তু কলকাতা পুরভোটে তৃণমূল কংগ্রেস যে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, ১৪৪ জন প্রার্থীর মধ্যে মাত্র সাত জন (মতান্তরে ১০ জন) কোনও নেতা বা বর্তমান পুরপ্রতিনিধির ‘স্বজন’। আপনাদের এই রিপোর্ট থেকেই এই হিসেবটি পাওয়া যাচ্ছে। একে কি পরিবারতন্ত্র বলা চলে?

মায়া দাশগুপ্ত। কলকাতা-৩৪

সংশোধন

সুগত মারজিত্‌-এর ‘জাতীয় আয় এতটা বেড়ে গেল...’ (আবাপ, ১১/৩) নিবন্ধে দুটি ভুল হয়েছে। এক, দ্বিতীয় অনুচ্ছেদে দুটি বাক্য হবে “যত ক্ষণ অসংগঠিত ক্ষেত্রে টাকা খাটানোর সুদ, আইনানুগ ক্ষেত্রে টাকা খাটানোর সুদের চেয়ে বেশি হবে ঘুরপথে বা কালো পথে কর ফাঁকি চলবেই। বড় বড় সংস্থাগুলোর যে সরকারি ব্যাঙ্কে এত টাকা ঋণ, সেটা আদায়ের ব্যবস্থা তো করতে হবে...”। দুই, ওই একই অনুচ্ছেদের শেষ বাক্যটি পড়তে হবে “...কেন্দ্রকে গত তিন বছরে মোটামুটি ৮০ হাজার টাকার উপর যে সুদ দিতে হয়েছে, তার তুলনায় এককালীন প্রায় ৮৫০০ কোটি টাকা নিতান্তই নগণ্য।”

‘সুনীতিকুমার’ প্রচ্ছদ-নিবন্ধের (রবিবাসরীয়, ১৫-৩) সঙ্গে সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের যে ছবিটি বেরিয়েছে, সেটি পরিমল গোস্বামীর তোলা। তাঁর নামটা ছবির সঙ্গে দেওয়া হয়নি। এই অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য আমরা দুঃখিত ও আন্তরিক ক্ষমাপ্রার্থী।

letter to the editor anandabazar letter
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy