Advertisement
০৩ মে ২০২৪
Assessment Workshop

কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক ও ‘পরখ’-এর উদ্যোগে স্কুলের মূল্যায়ন পদ্ধতি নিয়ে জাতীয় কর্মশালা

দেশের সমস্ত শিক্ষা বোর্ডকে এক ছাদের তলায় নিয়ে আসার স্বার্থেই এনসিইআরটি-র অধীনে থাকা একটি সংগঠন হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে ‘পরখ’।

 জাতীয় স্কুল শিক্ষা ও স্বাক্ষরতা বিভাগের সচিব সঞ্জয় কুমার বক্তব্য রাখছেন।

জাতীয় স্কুল শিক্ষা ও স্বাক্ষরতা বিভাগের সচিব সঞ্জয় কুমার বক্তব্য রাখছেন। ছবি: টুইটার

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০২৩ ১৩:৪৯
Share: Save:

রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলির স্কুল বোর্ডগুলিকে একই ছাদের তলায় নিয়ে আসার স্বার্থে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক এবং ‘পরখ’-এর যৌথ উদ্যাগে আয়োজিত হয়েছিল প্রথম জাতীয় কর্মশালা। সোমবার এই কর্মশালাটির নেতৃত্ব দেন জাতীয় স্কুল শিক্ষা ও স্বাক্ষরতা বিভাগের সচিব সঞ্জয় কুমার। উপস্থিত ছিলেন জাতীয় শিক্ষা মন্ত্রক, সেন্ট্রাল বোর্ড অব সেকেন্ডারি এডুকেশন (সিবিএসই), ন্যাশনাল কাউন্সিল অব এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং (এনসিইআরটি), ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ওপেন স্কুলিং (এনআইওএস), ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর ভোকেশনাল ট্রেনিং (এনসিভিটি) এবং ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচারস’ এডুকেশন (এনসিটি)-এর আধিকারিকেরা। পাশাপাশি, রাজ্য শিক্ষা সচিব, স্টেট প্রজেক্ট ডিরেক্টরস অব স্কুলস, স্টেট কাউন্সিল অব এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং (এসসিইআরটি) এবং বিভিন্ন রাজ্যের বোর্ডের আধিকারিকেরাও উপস্থিত ছিলেন।

রাজ্য থেকে জাতীয় স্তরের শিক্ষা বোর্ডের আধিকারিকেরাও উপস্থিত ছিলেন এ দিনের কর্মশালায়।

রাজ্য থেকে জাতীয় স্তরের শিক্ষা বোর্ডের আধিকারিকেরাও উপস্থিত ছিলেন এ দিনের কর্মশালায়। ছবি: টুইটার

প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী,‘পরখ’ রাজ্য থেকে জাতীয় স্তরের সমস্ত স্কুলের পড়ুয়াদের সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে তৈরি হওয়া একটি বিশেষ সংগঠন, যা এনসিইআরটি-র অধীনে তৈরি করা হয়েছে। এই সংগঠনটি পড়ুয়াদের কর্মক্ষমতার মূল্যায়ন, পুনর্মূল্যায়ন এবং আহৃত জ্ঞানের বিশ্লেষণ করে থাকে। কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের তরফে প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো (পিআইবি) থেকে এ দিনের কর্মশালার বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। ওই বিবৃতি অনুযায়ী, অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশে সচিব সঞ্জয় কুমার দেশের সমস্ত বোর্ডের মধ্যে সমতা বজায় রাখার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন। তিনি আরও বলেন, ‘‘বর্তমানে প্রায় ৬০টি স্কুল এগজামিনেশন বোর্ড রয়েছে, যেগুলি দেশের সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলিতে পঠন-পাঠন পরিচালনা করে চলেছে।’’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এই জাতীয় কর্মশালার মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকার স্কুল বোর্ডের পড়ুয়াদের একত্র করে পঠন-পাঠনকে আরও সুসংগঠিত করার লক্ষ্য রয়েছে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের। পাশাপাশি, পাঠ্যক্রমের মান, নম্বর দেওয়ার রীতিনীতি, মূল্যায়নের পদ্ধতির সঙ্গে শংসাপত্রের মাধ্যমে পড়ুয়াদের উৎসাহ দেওয়ার মাধ্যমে স্কুল বোর্ডগুলির বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়িয়ে তোলার চেষ্টা করা হবে, এমনই বার্তা সচিবের। কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের তরফে সমস্ত স্কুল বোর্ডগুলিকে ‘পরখ’-এর আওতায় আনার পাশাপাশি একাধিক অংশগ্রহণকারীদেরও সামগ্রিক বিষয়টি জানানো হয়েছে।

এ দিনের কর্মশালায় সাম্প্রতিক সময়ের মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল বিশ্লেষণের একটি রিপোর্টও পেশ করা হয়েছে। এই রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই আগামী দিনে পরীক্ষার ক্ষেত্রে কী কী পরিবর্তন প্রয়োজন রয়েছে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের তরফে দেশজুড়ে চলতে থাকা যান্ত্রিক পরীক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তন, সুপরিকল্পিত প্রশ্নপত্র, স্বচ্ছতার সঙ্গে মূল্যায়ন পড়ুয়াদের যোগ্যতা এবং সম্ভাবনাকে কী ভাবে বাড়িয়ে তুলতে পারে, তা-ও এ দিনের কর্মশালায় আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই কর্মশালার মাধ্যমে রাজ্যের স্কুল বোর্ডগুলির পরীক্ষা পদ্ধতি এবং মূল্যায়ন পদ্ধতির ক্ষেত্রে কী ধরনের পরিবর্তনের কথা বিবেচনা করতে চলেছে, সেটাই এখন দেখার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Assessment Workshop Ministry of Education
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE