একাদশ দ্বাদশের শিক্ষক নিয়োগে বাংলা ও ইংরেজি দু’টি বিষয়ে প্রার্থীদের নথিযাচাই সম্পন্ন হল। দু’দিনে এই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করলেন না ২৪ জন শিক্ষক পদপ্রার্থী। তাঁদের অনুপস্থিতিতে জায়গায় দ্বিতীয় ভেরিফিকেশনের দাবি চাকরিপ্রার্থীদের।
মঙ্গলবার ছিল একাদশ দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা বিষয়ের নথিযাচাইয়ের দিন। প্রায় ৭০০ প্রার্থীকে ডাকা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে অনুপস্থিত ছিলেন ছ’জন। আর বুধবার ছিল ইংরেজি বিষয়ের নথিযাচাই, প্রায় ১২০০ চাকরিপ্রার্থী ডাক পেয়েছিলেন। অনুপস্থিত রইলেন ১৮ জন।
আরও পড়ুন:
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষা দফতরের এক কর্তার ব্যাখ্যা, পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে নথিযাচাইয়ে না আসার পিছনে ভুয়ো তথ্য দেওয়া মূল কারণ হতে পারে। পরীক্ষায় স্বচ্ছতা রাখতে আমরা ভেরিফিকেশনের উপর সবথেকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। আরেকটি কারণ হতে পারে যে সংশ্লিষ্ট প্রার্থী গুরুতর কোনও কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
তবে পরীক্ষা দিয়ে সুযোগ পেয়েও না আসায় ‘যোগ্য’ ও নতুন চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে বাড়ছে ক্ষোভ। অনিচ্ছুক চাকরিপ্রার্থীরা ভেরিফিকেশনে না এলে তা বাতিল হবে। কিন্তু আবার অনেকে এখানে এসে আসন ধরে না রাখে। তা হলে যাদের চাকরির প্রয়োজন তারা বঞ্চিত হবে এমনটাই দাবি চাকরিপ্রার্থীদের।
২০১৬ র চাকরিহারা ‘যোগ্য’ শিক্ষক মাহবুব মণ্ডল বলেন, ‘‘দীর্ঘদিন বাদে যে পরিস্থিতিতে এই পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে, তাতে ভেরিফিকেশনে না আসার কোনও কারণ নেই। এক হতে পারে তারা আগের শিক্ষকতা করছেন এখানে পরীক্ষা দিয়েছেন, এখন মনে করছেন আর আসবেন না। আর দ্বিতীয়ত ভুয়ো নথি দেওয়া হয়েছে।’’
'যোগ্য' চাকরিহারাদের দাবি, তাঁরা ইতিমধ্যেই দাবি করেছেন দ্বিতীয় ভেরিফিকেশন নেওয়া হোক। যাঁরা নথিযাচাইয়ে অনুপস্থিত তাঁদের জায়গায় অন্য প্রার্থীদের সুযোগ দেওয়া হোক আইন মেনে। চাকরিহারা শিক্ষক রূপা কর্মকার বলেন, ‘‘অনিচ্ছুক বা ভুয়ো চাকরিপ্রার্থীদের চাকরির প্রয়োজন নেই। ‘যোগ্য’ শিক্ষক-শিক্ষিকারা না বঞ্চিত হন সেটা সরকারের দেখা উচিত।’’
ইংরেজি, বাংলা বিষয়ে যাঁদের নথিযাচাই ইতিমধ্যে সম্পূর্ণ হয়েছে তাঁদের ইন্টারভিউ ২৬ নভেম্বর। বৃহস্পতিবার ইতিহাস বিষয় তথ্যযাচাই করা হবে।