প্রতীকী চিত্র।
ফের উচ্চ মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় রদবদল। স্ক্রুটিনি ও রিভিউ-এর ফল বের হওয়ার পর মেধাতালিকায় জায়গা করে নিল আরও তিন জন পড়ুয়া। রিভিউ করার পর নম্বর বেড়েছে একাধিক পড়ুয়ার, ফলে এই পরিবর্তন।
এই বিষয়ে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, “মূল্যায়নের ক্ষেত্রে বেশ কিছু জায়গায় ভুল হয়েছে। সঠিক উত্তর লেখার পরও খাতায় শূন্য দেওয়া হয়েছে। পুনর্মূল্যায়নের পর আবার সে নম্বর পেয়েছে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে দুই বা তিন নম্বর দেওয়া হয়েছে।”
শুধু তাই নয়, উচ্চ মাধ্যমিকের রিভিউ বা স্ক্রুটিনি করতে গিয়ে দেখা গিয়েছে বেশ কিছু ক্ষেত্রে পড়ুয়াদের সঠিক নম্বর দেওয়া হয়নি। আর এই পরিবর্তনের কারণে ৮ মে থেকে ১১ জুনের মধ্যে একাধিক ফল প্রকাশিত হওয়ায় মেধাতালিকায় স্থান করে নিয়েছে আরও ১৫ জন। বর্তমানে প্রথম ১০-এ উচ্চ মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় কৃতীর সংখ্যা হল ৭৩।
প্রসঙ্গত, এর আগে উচ্চ মাধ্যমিকে তৎকাল স্ক্রুটিনি এবং রিভিউয়ের ফল প্রকাশ হওয়ার পর মেধাতালিকায় স্থান পেয়েছিল আরও ১২ জন। তখন প্রথম ১০-এর তালিকায় ছিলেন ৭০ জন। মেধাতালিকায় এ বার যুক্ত হল আরও তিন পড়ুয়ার নাম।
নারকেলডাঙ্গা হাইস্কুলের শিক্ষক স্বপন মণ্ডল বলেন, “প্রতি বছরই দেখা যায় পিপিএস, পিপিআর বা আরটিআই-এর পর কিছু ছাত্রছাত্রীর নম্বর পরিবর্তন হয় এবং মেধাতালিকাতেও পরিবর্তন হয়। এ বারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তাই আমরা মনে করি সব কিছু সম্পূর্ণ হয়ে যাওয়ার পরই মেধাতালিকা প্রকাশ করা উচিত উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের।”
মে মাসের ৮ তারিখ উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশিত হয়েছিল। প্রথম ১০-এর যে মেধাতালিকা শিক্ষা সংসদের তরফ থেকে প্রকাশ করা হয়েছিল তাতে ৫৮ জনের নাম ঘোষণা করা হয়। সেখানে ছাত্রীর সংখ্যা ২৩ এবং ছাত্রের সংখ্যা ছিল ৩৫। কিন্তু সপ্তাহান্তেই স্ক্রুটিনি ও রিভিউয়ের ফলপ্রকাশ হতেই মেধাতালিকায আকারে আরও দীর্ঘ হয়। আর তার এক মাসের মাথায় সাধারণ স্ক্রুটিনি ও রিভিউয়ের ফলপ্রকাশ হতেই আবারও পরিবর্তন হয় মেধাতালিকায়। তৎকাল স্কুল স্ক্রুটিনি ও রিভিউয়ের পর নতুন মেধাতালিকায় প্রবেশ করে আরও ১২ জন কৃতী পড়ুয়া। অষ্টম স্থানে এক জন, নবম স্থানে তিন জন এবং দশম স্থানে আট জন।
এ বছর স্ক্রুটিনির জন্য বিষয়ভিত্তিক আবেদন করেছিল ২০,৬৫৩ জন। নম্বর পরিবর্তন হয়েছে ২৯৮৬ জনের। ১৭,৬৬৭ জনের কোনও পরিবর্তন হয়নি। রিভিউর জন্যও বিষয়ভিত্তিক আবেদন করেছিল ৪০,৪৯৫ জন। পরিবর্তন হয়েছে ১০,৬০৩ জনের। কোনও পরিবর্তন হয়নি ২৯ হাজার ৮৯২ জনের। এদের মধ্যে ছাত্র আবেদন করেছিল ১২,৬০৩ জন। ছাত্রীদের সংখ্যা ১৩,৮৬৫।
৪৮২ নম্বর থেকে ৪৮৯ নম্বর পেয়ে অষ্টম স্থান অধিকার করেছে কোচবিহারের মাথাভাঙা হাই স্কুলের সোহম সাহা। ৪৮৪ থেকে ৪৮৮ নম্বর পেয়ে নবম স্থান দখল করেছে বাঁকুড়া বিষ্ণুপুর হাই স্কুলের প্রাঞ্জল ঘোষ। ৪৮৬ নম্বর থেকে ৪৮৭ নম্বর পেয়ে দশম স্থান দখল করেছে মালদা এসি ইনস্টিটিউশনের সত্যকি সিনহা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy