সমুদ্রের তলদেশে লুকিয়ে রহস্যের ভান্ডার। সেই রহস্যের সমাধানে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করছেন বিজ্ঞানী, গবেষকরা। তাঁদের কাজের ফলাফল স্বরূপ জানা গিয়েছে, এই সমুদ্রের ধারেই বিশ্বের ৪৪ শতাংশ মানুষের বসতি গড়ে উঠেছে। একই সঙ্গে প্রতি সাত জনের মধ্যে তিনজন ব্যক্তি সামুদ্রিক খাদ্যের উপর নির্ভরশীল। অথচ সেই সমুদ্রই বিপদের মুখোমুখি এসে দাঁড়িয়েছে। সেই বিপদের ছবি তুলে ধরবে বিড়লা ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড টেকনোলজিক্যাল মিউজ়িয়াম (বিআইটিএম)।

আলোকসজ্জার মাধ্যমে বোঝানো হবে সমুদ্র স্রোতের বিশেষ চলন। ছবি: সংগৃহীত।
দ্রুতহারে জলস্তর বৃদ্ধি, জলের সার্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে। তবে এর প্রভাব শুধুমাত্র সমুদ্রতট কিংবা তার পার্শ্ববর্তী এলাকাতেই পড়বে, এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই। গবেষকদের মতে, তট থেকে কয়েকশো কিমি দূরের বাসিন্দাদেরও সুস্থ এবং দূষণমুক্ত সমুদ্রের প্রয়োজন। সেই সমস্ত বিষয় নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে ‘লস্ট অ্যাট সি’ শীর্ষক ইন্টারপ্রিটেটিভ গ্যালারি উদ্বোধন করা হবে ২ মে।
অগমেন্টেড রিয়্যালিটি প্রযুক্তি ব্যবহার করে সামুদ্রিক জীবনযাত্রার বিভিন্ন ছবি, ভিডিয়ো, ডিসপ্লে দর্শকদের সামনে তুলে ধরা হবে। উল্লেখ্য রাষ্ট্রপুঞ্জ বিশ্ব জুড়ে থাকা সমুদ্রের আসন্ন বিপদ রুখতে ‘ইউএন ডিকেড অফ ওশান সায়েন্স ফর সাস্টেনেবল ডেভেলপমেন্ট’-এর ঘোষণা করেছে। সেই দশকের সময় ২০২১ থেকে ২০৩০ পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিভিন্ন ডায়াগ্রাম দিয়ে সাজানো হয়েছে গ্যালারি। ছবি: সংগৃহীত।
এই গ্যালারিতে জাপানের বাসিন্দাদের প্রাচীন পদ্ধতিতে মাছের ছবি প্রিন্ট করে সংরক্ষণ করা, যার পোশাকি নাম গায়োটাকু, ভ্যাকুইটা (অতিবিরল প্রজাতির ডলফিন)-এর রেপ্লিকা রাখা হবে। বিআইটিএম-এর ৬৭তম প্রতিষ্ঠা দিবসে এই গ্যালারি সকলের জন্য খুলে দেওয়া হবে, এমনটাই জানিয়েছেন মিউজ়িয়াম কর্তৃপক্ষ।