Advertisement
E-Paper

স্কুলপড়ুয়ারাও তৈরি করবে চ্যাটবট! কোথায়, কী ভাবে মিলবে এই সুযোগ?

কৃত্রিম মেধা এবং চ্যাটবট সম্পর্কে নানাবিধ বিষয় শেখাবে বিড়লা ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড টেকনোলজিক্যাল মিউজ়িয়াম (বিআইটিএম)। ক্লাস শেষে মিলবে শংসাপত্রও।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫:১৯
A school student in the gallery of the Birla Industrial and Technological Museum.

বিড়লা ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড টেকনোলজিক্যাল মিউজ়িয়ামের গ্যালারিতে এক স্কুল পড়ুয়া। ছবি: মিউজ়িয়ামের ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত।

কৃত্রিম মেধা নিয়ে স্কুলপড়ুয়াদের মধ্যে আগ্রহের শেষ নেই। সঙ্গে দোসর চ্যাটবট, যার কাছে সব প্রশ্নের উত্তর রয়েছে। এমন একটা বট (পড়ুন রোবট) যদি তারা নিজেরাও তৈরি করতে পারত, তা হলে কেমন হত?

এমন ভাবনাকে বাস্তবের রূপ দিতে পড়ুয়াদের জন্য বিড়লা ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড টেকনোলজিক্যাল মিউজ়িয়ামের (বিআইটিএম) তরফে একটি বিশেষ কর্মশালা আয়োজিত হতে চলেছে। সেখানে শেখানো হবে কৃত্রিম মেধাকে ব্যবহার করে চ্যাটবট ডিজ়াইন করার পদ্ধতি। রাজ্যের সমস্ত স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা 'আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স - মেক ইওর ওন চ্যাটবট' নামে ওই কর্মশালায় যোগদান করতে পারবে।

বিআইটিএম-এর ইনোভেশন হাবের তরফে এই কর্মশালাটির আয়োজন করা হয়েছে। ওই বিভাগেই চলতি বছরে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণির স্কুলপড়ুয়াদের রোবোটিক্স, অ্যানালগ অ্যান্ড ডিজিটাল এক্সপেরিমেন্টাল কিটসের কর্মপদ্ধতি শেখানোর ক্লাস শুরু হয়েছে। সেই ক্লাসে পড়ুয়ার সংখ্যা ৮৩ জন। তারাও এই কর্মশালায় যোগদানের সুযোগ পাবে বলে জানিয়েছেন বিআইটিএম-এর কিউরেটর রাকেশ মজুমদার।

কৃত্রিম মেধা কী এবং তার ব্যবহারিক প্রয়োগ, কী ভাবে কৃত্রিম মেধা উৎপত্তি হল, কোন কোন ক্ষেত্রে এর ব্যবহার প্রয়োজন, চ্যাটবটের কর্মক্ষমতা এবং তা কী ভাবে ডিজ়াইন করা সম্ভব, চ্যাটবট তৈরি করার পর তা পরীক্ষা করা এবং সর্বোপরি কৃত্রিম মেধার সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন হওয়া— এই সমস্ত বিষয়গুলি স্কুল পড়ুয়ারা শেখার সুযোগ পাবে। শনিবার এবং রবিবার সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ক্লাস করানো হবে। ক্লাস করাবেন বিআইটিএম ইনোভেশন হাব-এর ইন-চার্জ এবং কিউরেটর রাকেশ মজুমদার, কিউরেটর অভিজিৎ বালা-সহ অন্যান্য আধিকারিকরা।

ক্লাসে যে সমস্ত পড়ুয়া যোগদান করবে, তাদের সকলকে শংসাপত্র দেওয়া হবে। বিআইটিএম-এর কিউরেটর রাকেশ মজুমদার বলেন, “এখনও পর্যন্ত ৪০ জনের বেশি পড়ুয়া কর্মশালায় যোগদানের জন্য নাম নথিভুক্ত করেছে। তাদের কথা ভেবেই দু’টি আলাদা ব্যাচের মাধ্যমে ক্লাস করাব আমরা।” প্রসঙ্গত, একটি ব্যাচের ক্লাস ২৮ সেপ্টেম্বর এবং দ্বিতীয় ব্যাচের ক্লাস ২৯ সেপ্টেম্বর করানো হবে।

কী ভাবে আবেদন করবে পড়ুয়ারা?

বিআইটিএম-এর ওয়েবসাইটে এই কর্মশালা সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। তাতে দেওয়া অ্যাপ্লিকেশন লিঙ্কে ক্লিক করে আবেদনকারীদের সমস্ত তথ্য পেশ করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন ফি হিসাবে জমা দিতে হবে ৫০০ টাকা।

Birla Industrial and Technological Museum School students ChatBot
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy