যাদবপুরের ছাত্রীমৃত্যুর ঘটনায় নড়ে বসল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। সমস্ত ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে বিশেষ সমীক্ষা শুরু করতে চলেছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। হস্টেল এবং ক্যাম্পাসের সমস্ত সিসি ক্যামেরা খতিয়ে দেখার কাজ শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ২০ নাগাদ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ নম্বর গেট সংলগ্ন একটি পুকুর থেকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ইংরেজি-র তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী অনামিকা মণ্ডলকে। পার্শ্ববর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এর পরই শুরু হয়েছে চাপানউতর। প্রশ্ন উঠছে যাদবপুরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে।
এই পরিস্থিতিতেই সতর্ক হতে চাইছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। রেজিস্ট্রার দেবাশিস দাস বলেন, “এই ঘটনা অনভিপ্রেত। ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা দরকার। ছাত্র-শিক্ষকদের মধ্যে যে কোনও সমস্যা নিয়ে কথা বলার পরিসরও বৃদ্ধি করতে হবে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছি। রিপোর্ট পেলে পদক্ষেপ করা হবে।”
আরও পড়ুন:
কোন কোন বিষয় খতিয়ে দেখা হবে?
- সিসিটিভি ক্যামেরাগুলি ঠিক মতো কাজ করছে কি না, কতগুলি ক্যামেরা সক্রিয় রয়েছে তার হিসাবে নেওয়া হবে।
- প্রতিটি ক্যাম্পাসের নিরাপত্তারক্ষীরা যথাযথ ভাবে দায়িত্ব পালন করছেন কি না, তাও পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে।
- ক্যাম্পাস এবং হস্টেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থার খুঁটিনাটি পর্যবেক্ষণ করবে বিশেষ দল।
- পরিদর্শনের পর রিপোর্ট পাঠানো হবে উপাচার্যের কাছে।
- তার পর সিদ্ধান্ত নেবেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
কলকাতায় কোথায় কত সিসিটিভি?
- কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসগুলিতে এখনও পর্যন্ত ৭৩টি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।
- এ ছাড়া, কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাসে ১২৭টি, আশুতোষ মিউজ়িয়ামে ৬৪টি, রাজাবাজার ক্যাম্পাসে ৬টি, আলিপুরে ৮টি, বালিগঞ্জে ১৫টি, বিটি রোড ক্যাম্পাসে ৪টি, হাজরা ল কলেজে ৫টি, ইনস্টিটিউট অফ জুট টেকনোলজি-এ ৫টি এবং ডিপার্টমেন্ট অফ হোম সায়েন্স-এ (বিহারিলাল কলেজ) ৫টি করে সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে।