কসবা আইন কলেজে ঘটে যাওয়া ঘটনার প্রেক্ষিতে কড়া হচ্ছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। পড়ুয়াদের স্বার্থে নিরাপত্তা নিশ্ছিদ্র করার কথা ভাবা হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ প্রতিটি কলেজে। এ লক্ষ্যে নির্দেশিকা জারি হবে শীঘ্রই। পাশপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি পাঠিয়ে নিয়মিত কলেজ পরিদর্শনের বিষয়েও ভাবছেন কর্তৃপক্ষ।
জানা গিয়েছে, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ প্রায় ১৭৪টি কলেজে সদ্য উত্তীর্ণ বা প্রাক্তনীদের প্রবেশাধিকারে নিয়ন্ত্রণ রাখার কথা বলা হবে। পাশাপাশি বর্তমান পড়ুয়াদের কলেজে প্রবেশের ক্ষেত্রেও পরিচয়পত্র ব্যবহারে গুরুত্ব বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করা হবে ওই নির্দেশিকায়।
আরও পড়ুন:
কসবা আইন কলেজের ঘটনার প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েক বার অভ্যন্তরীণ বৈঠক সেরেছেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্তৃপক্ষ। পর্যবেক্ষণে তাঁরা জানিয়েছেন, শুধু সাউথ কলকাতা ল কলেজ নয়, অধীনস্থ অধিকাংশ কলেজেই পরিচালন সমিতিতে নেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি। তার ফলে নিয়ন্ত্রণের রাশ আলগা হচ্ছে। তাই পরিচালন সমিতিগুলি পুনর্গঠন ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি রাখার বিষয় জোর দেওয়া হচ্ছে অ্যাডভাইজ়ারিতে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্তা বলেন, “যে সমস্ত কলেজে পরিচলন সমিতি রয়েছে, সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়-প্রতিনিধি রয়েছেন কি না তা খতিয়ে দেখে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।” শুধু তাই নয়, মাঝে মাঝেই কলেজগুলিতে প্রতিনিধি পাঠিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্তও নেওয়া হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে যে অ্যাডভাইজ়ারি তৈরি করা হচ্ছে তাতে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য বিষয় তুলে ধরা হবে বলে জানা গিয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে,
* কলেজগুলিতে নজরদারির জন্য পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা থাকা।
*প্রত্যেকটি কলেজে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের পাশাপাশি পড়ুয়াদের হাজিরা খাতার যথাযথ নিয়ন্ত্রণ।
* প্রয়োজনে নিরাপত্তারক্ষীদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
* নির্দিষ্ট সময়ের আগে বা পড়ে কলেজ চত্বরে কোনও পড়ুয়া থাকতে পারবেন না। তা বিজ্ঞপ্তি আকারে পরিষ্কার জানিয়ে দিতে হবে কলেজ কর্তৃপক্ষকেই।
এ দিকে মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজের পঠনপাঠন। কিন্তু ওই দিন এলএলএম-এর (স্নাতকোত্তরের) কোনও পড়ুয়ার আসেননি। বুধবার পড়ুয়ারা এলেও, সংখ্যা ছিল হাতে গোনা। তবে চতুর্থ বর্ষের পড়ুয়ারা মঙ্গলবার এর মতো বুধবারও কলেজে এসে তাঁদের প্রকল্পের কাজ জমা করে যান।