Advertisement
০৮ অক্টোবর ২০২৪
Career Options after 12th

উচ্চ মাধ্যমিকের পর ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ার হতে চান?

ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং সাধারণত বৈদ্যুতিন যন্ত্র এবং সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশনগুলিকে উন্নত করার প্রক্রিয়ায় শামিল থাকে।

students are working with electronic circuits.

বিজ্ঞান বিভাগের বিষয়ে ভাল নম্বর চাই ইঞ্জিনিয়ার হতে হলে। প্রতীকী ছবি।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০২৩ ১৫:২৯
Share: Save:

উচ্চ মাধ্যমিকের অনেক পড়ুয়ারই প্রযুক্তিবিদ্যার প্রতি কম বেশি আগ্রহ রয়েছে। সাধারণত ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিভিন্ন শাখায় পড়াশোনা করার ইচ্ছে সকলেরই থাকে। তবে অটোমোবাইল, সিভিল, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মতো বিষয় নিয়ে পড়ার পাশাপাশি, ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রতিও ঝোঁক বেড়েছে পড়ুয়াদের। এমনকী পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কারিগরী ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা এবং দক্ষতা উন্নয়ন সংসদের পক্ষ থেকেও এই বিষয়টি নিয়ে ডিপ্লোমা পড়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে পড়ুয়াদের। তবে পড়ুয়াদের মনে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এই শাখা নিয়ে রয়েছে অনেক প্রশ্ন।

১. ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং - বিষয়টি আসলে কী?

ছোট থেকে বড় বৈদ্যুতিন যন্ত্রের কার্যক্ষমতা, কর্মপ্রক্রিয়া কী ভাবে সচল থাকে, কী ভাবে সেই যন্ত্রগুলিকে সচল রাখা যেতে পারে, কী ভাবে সেই যন্ত্রগুলিকে আরও উন্নত করা যায় সেই সমস্ত বিষয়ে খুঁটিনাটি শেখানো হয় এই শাখায়।

২. কারা পাবেন এই বিষয় নিয়ে পড়ার সুযোগ?

ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করতে চাইলে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে অঙ্ক এবং পদার্থবিদ্যায় ভাল নম্বর থাকা চাই। ভাল নম্বর বলতে ন্যুনতম ৬০ শতাংশ নম্বর থাকতে হবে। কারণ এই নম্বর থাকলেই রাজ্য এবং সর্বভারতীয় স্তরে বেশ কিছু প্রবেশিকা পরীক্ষা দিতে পারবেন আগ্রহী পড়ুয়ারা। আর এই পরীক্ষাগুলি পাশ করলে ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনার সুযোগ পাবেন তাঁরা।

৩. কোন কোন প্রবেশিকা পরীক্ষা দেওয়া যাবে?

রাজ্য স্তরে পশ্চিমবঙ্গ জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা এবং সর্বভারতীয় স্তরে জয়েন্ট এন্ট্রান্স মেইন, বিড়লা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্স অ্যাডমিশন টেস্ট, গ্র্যাজুয়েট জয়েন্ট এন্ট্রান্স এগজ়ামিনেশন এবং দ্য ভেলোর ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ট্রান্স এগজ়ামিনেশন-এই প্রবেশিকা পরীক্ষাগুলি দিতে পারবেন পড়ুয়ারা, যদি তাঁরা ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং শাখায় পড়াশোনা করতে চান।

৪. শুধু কী ডিগ্রি কোর্সেই পড়ানো হয়?

এই বিষয়টি ডিগ্রি এবং ডিপ্লোমা কোর্স- দুই ভাবেই পড়ানো হয়ে থাকে। পড়ুয়ারা রাজ্য কিংবা সর্বভারতীয় স্তরে সংগঠিত প্রবেশিকা পরীক্ষাগুলিতে উত্তীর্ণ হওয়ার পরই কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে রাজ্যের সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিতে ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করার সুযোগ পাবেন।

৫. কাজের সুযোগ কেমন?

বৈদ্যুতিন যন্ত্র ছাড়া মানুষের জীবন প্রায় অচল। তাই যন্ত্রকে সচল রাখতে রাজ্য-সহ গোটা দেশ জুড়ে ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারদের প্রয়োজন রয়েছে। টেলিকম, তথ্যপ্রযুক্তি, মেশিন লার্নিং, রোবোটিক্স-সহ একাধিক ক্ষেত্রে এই বিশেষ শাখার ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা রয়েছে। ডিগ্রি কিংবা ডিপ্লোমা কোর্সের শেষেই ক্যাম্পাসিংয়ের মাধ্যমে বহুজাতিক সংস্থাগুলিতে ডেস্কটপ সাপোর্ট ইঞ্জিনিয়ার, কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ার, টেকনিক্যাল ডিরেক্টর, ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার পদে নিয়োগ করা হয়।

তাই গতানুগতিক বিষয়ে পড়াশোনা না করলে পেশাগত জীবনে প্রবেশের সুযোগ একেবারেই থাকছে না, এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই। পড়াশোনার পাশাপাশি নিজের দক্ষতা সম্পর্কে সচেতন থাকলেই পেশায় প্রবেশের দরজা দেখতে পাবেন পড়ুয়ারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Career Options after 12th
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE