স্নাতকে পড়াশোনার জন্য মেধা কিংবা ভাল নম্বরই যথেষ্ট নয়। কতটা ভাল লিখতে জানেন, কিংবা কথোপকথনে সাবলীল কি না, তা-ও যাচাই করে নিতে চায় আন্তর্জাতিক স্তরের কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়গুলি। সে জন্য বিশেষ কিছু প্রবেশিকায় উত্তীর্ণ হওয়া প্রয়োজন। স্কলাস্টিক অ্যাসেসমেন্ট টেস্ট (স্যাট) হল তেমনই একটি পরীক্ষা।
কারা পরীক্ষা দিতে পারবেন?
আমেরিকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজে স্নাতক স্তরে ভর্তি হতে চাইলে একাদশ এবং দ্বাদশের পড়ুয়ারাই এই পরীক্ষাটি দিতে পারে। এ ছাড়াও আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কলারশিপ পাওয়ার যোগ্যতা অর্জনের জন্যও এই প্রবেশিকার স্কোর সাহায্য করে। তবে, এই প্রবেশিকার ফলাফল ভারত, ব্রিটেন, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজের স্নাতক স্তরে ভর্তির ক্ষেত্রেও গ্রহণযোগ্য।
কী কী বিষয়ে প্রশ্ন থাকে?
ভাষাগত দক্ষতা— উচ্চারণ করে পড়া, লেখা এবং গাণিতিক সমস্যার সমাধানের মতো দক্ষতা যাচাই করা হয় স্যাট-এর মাধ্যমে। এ ক্ষেত্রে গণিতের সমাধানের জন্য পরীক্ষার্থীরা ক্যালকুলেটর ব্যবহারের অনুমতি পেয়ে থাকেন।
দেশের পড়ুয়ারা কী কী সুবিধা পায়?
ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যের সঙ্গে রিজ়নিং নিয়ে পড়াশোনা করতে হয়। সিবিএসই কিংবা সিআইএসসিই-র মত বোর্ডের পড়ুয়াদের এ ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা হয়। পাশাপাশি একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষাতেই তারা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে উত্তর শেষ করার অভ্যাসও করে নিতে পারে।
এখন, রাজ্যস্তরের স্কুলগুলিতেও মাল্টিপল চয়েজ় কোয়েশ্চন (এমসিকিউ) পদ্ধতিতে পরীক্ষা হচ্ছে। ফলে স্যাট-এর প্রস্তুতি খানিক এগিয়েই থাকছে।
অসুবিধা:
সিবিএসই-তে ব্যাখামূলক প্রশ্নোত্তরের চল নেই। কিন্তু স্যাট-এ ওই ধরনের বিষয়ে প্রশ্ন থাকে। সে ক্ষেত্রে পড়ুয়াদের আলাদা করে প্রস্তুতির প্রয়োজন রয়েছে। এ ছাড়াও যে ধরনের অঙ্ক স্যাট-এর প্রশ্নে থাকে, তার সঙ্গে স্কুল স্তরের পাঠ্যক্রম মেলে না। তাই আলাদা করে অঙ্ক অভ্যাস করা দরকার।
সমাধান:
এ ক্ষেত্রে স্যাট-এর ওয়েবসাইট থেকেই মক টেস্ট দিতে পারবেন পড়ুয়ারা। তার সঙ্গে কতক্ষণ পড়াশোনা দরকার, কী কী বিষয়ে জোর দিতে হবে— সেই সমস্ত বিষয়ও ওই ওয়েবসাইট থেকে জেনে নেওয়া যাবে।
কবে পরীক্ষা? খরচ কত?
২০২৬-এর ১৪ মার্চ, ২ মে, ৬ জুন, ১৫ অগস্ট, ১২ সেপ্টেম্বর, ৩ অক্টোবর, ৭ নভেম্বর এবং ৫ ডিসেম্বর পরীক্ষা নেওয়া হবে। পরীক্ষায় নাম নথিভুক্তিকরণের জন্য ২৭ ফ্রেবরুয়ারি, ১৭ এপ্রিল, ২২ মে পোর্টাল চালু করা হবে।
রেজিস্ট্রেশনের জন্য খরচ হবে ভারতীয় মুদ্রায় ৬,১১০ টাকা।
কারা নেয় পরীক্ষা?
আমেরিকার কলেজ বোর্ড ১৯২৬ থেকে ওই প্রবেশিকা নেওয়া শুরু করেছে। সে দেশের এডুকেশনাল টেস্টিং সার্ভিস-এর মাধ্যমে পরীক্ষাটি পরিচালিত হয়ে থাকে। মোট ২ ঘণ্টার এই পরীক্ষাটি আগে কাগজে কলমে হত। বর্তমানে ইন্টারনেট মাধ্যমে পরীক্ষা দিতে হয়।