Advertisement
E-Paper

বাণিজ্যের ফৈজল হতে চায় সিএ, বিজ্ঞানের স্নেহার লক্ষ্য মেডিক্যাল! কলকাতার কৃতীরা কী হতে চান?

রামকৃষ্ণ সারদা মিশন সিস্টার নিবেদিতা স্কুল, স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুল, এপি ক্যালকাটা মাদ্রাসা এবং বিদ্যাভারতী গার্লস হাই স্কুলের চার পড়ুয়া উচ্চ মাধ্যমিকের প্রথম পর্বের পরীক্ষায় প্রথম ১০ জনের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০২৫ ১৯:৪৮
মেধা তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে কলকাতার এপি ডিপার্টমেন্ট ক্যালকাটা মাদ্রাসা এবং বিদ্যাভারতী গার্লস হাই স্কুলের পড়ুয়ারা।

মেধা তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে কলকাতার এপি ডিপার্টমেন্ট ক্যালকাটা মাদ্রাসা এবং বিদ্যাভারতী গার্লস হাই স্কুলের পড়ুয়ারা। ছবি: সংগৃহীত।

উচ্চ মাধ্যমিকের প্রথম পর্বের সেমেস্টার পরীক্ষার ফল ঘোষণা হয়েছে শুক্রবার। প্রথম ১০ জনের সম্ভাব্য তালিকায় কলকাতার চারটি স্কুল জায়গা করে নিতে পেরেছে। অষ্টম হয়েছে এপি ডিপার্টমেন্ট ক্যালকাটা মাদ্রাসা-র গোলাম ফৈজল, নবম হয়েছে রামকৃষ্ণ সারদা মিশন সিস্টার নিবেদিতা স্কুলের অদ্রিজা গণ, স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুলের সায়ন্তন দত্ত এবং দশম হয়েছে বিদ্যাভারতী গার্লস হাই স্কুলের স্নেহা সুরাই।

মেধাতালিকায় কলকাতার গোলাম ফৈজল অষ্টম স্থানে জায়গা করে নিয়েছে, প্রাপ্ত নম্বর ৯৭.৫০ শতাংশ। এপি ডিপার্টমেন্ট ক্যালকাটা মাদ্রাসা-র ওই পড়ুয়াই একমাত্র বাণিজ্য বিভাগের ছাত্র। তার অর্থনীতি, অঙ্ক করতে ভাল লাগলেও ভবিষ্যতে অন্য কিছু নিয়েই এগোতে চায় সে। বড় হয়ে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট হতে চায়। তবে পড়াশোনাই নয়, ফৈজল ফুটবল খেলতেও ভালোবাসে। মেসি, সুনীল ছেত্রী তার প্রিয় ফুটবলার।

ফৈজলের মা কুরেশা খাতুন জানিয়েছেন, চার ভাই দু’বোনের মধ্যে সব থেকে ছোট সে। তাই পড়াশোনার জন্য বড় দাদা এবং দিদিদের সাহায্য পেয়েছে। কোচিং-এ পড়তে গেলেও সারাদিনে সাত থেকে আট ঘণ্টা নিজে পড়াশোনা করত।

রামকৃষ্ণ সারদা মিশন সিস্টার নিবেদিতা স্কুল-এর অদ্রিজা গণ বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী। সে ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি নিয়ে উচ্চ শিক্ষা লাভ করতে চায়। চার বছরে ৮২টি কেমো নিয়ে সুস্থ হয়ে অদ্রিজা উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষায় পাশ করেছেন। এ বারের পরীক্ষায় তার প্রাপ্ত নম্বর ৯৭.৩৭ শতাংশ।

দশম হয়েছে বিদ্যাভারতী গার্লস হাই স্কুল-এর স্নেহা সুরাই। বিজ্ঞান বিভাগের এই ছাত্রীর পদার্থবিদ্যা পছন্দের বিষয় হলেও মেডিক্যাল নিয়ে ভবিষ্যতে এগোতে চান। দিনে নির্দিষ্ট সময় ধরে পড়াশোনায় সে বিশ্বাসী নয়। স্কুলের শিক্ষক, গৃহশিক্ষকদের পাশাপাশি, বাবার সাহায্যও পেয়েছে স্নেহা।

বাবা সুরজিৎ সুরাই পেশায় গৃহশিক্ষক। বাণিজ্য বিষয় নিয়ে তিনি ছাত্র ছাত্রীদের পড়ান। মেয়ে কেন বাণিজ্য নিয়ে পড়ল না? উত্তরে তিনি বলেন, “মেয়ের বিজ্ঞান নিয়ে এগোনোর ইচ্ছে ছিল। সেটাই আমার জন্য বেশি জরুরি। দেখিয়ে দিই কোথাও কোনও সমস্যা হলে। তাতে তো কোনও বাধা নেই।”

WBCHSE Exam 2025 HS Result 2025 Kolkata School Higher Secondary Merit list
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy