প্রতীকী ছবি।
ইন্টারনেটের প্রসার বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তথ্য এবং নেটওয়ার্ক সুরক্ষিত রাখাটাও জরুরি হয়ে পড়ছে। তাই ইনফরমেশন সিস্টেম সিকিউরিটির মাধ্যমে তথ্য সংরক্ষণ, ওয়ারলেস নেটওয়ার্কের পরিধি বৃদ্ধি করা, অপারেটিং সিস্টেম সার্ভারগুলিকে আধুনিক সুরক্ষার বেষ্টনীতে সাজানোর মত বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়ে থাকে। এই মর্মে কেন্দ্রের তরফে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এমন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় বৈদ্যুতিন ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের অধীনস্থ প্রতিষ্ঠানেও উল্লিখিত বিষয়গুলি স্নাতকোত্তর স্তরে শেখার সুযোগ রয়েছে।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজির তরফে ইনফরমেশন সিস্টেম সিকিউরিটি বিষয়টি স্নাতকোত্তর স্তরে পড়ানো হবে। প্রতিষ্ঠানের তরফে প্রকাশিত একটি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, অনলাইনেই শিক্ষার্থীরা এই বিষয়ে ক্লাস করার সুযোগ পাবেন। আধুনিক যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সিস্টেম সিকিউরিটি এবং নেটওয়ার্ক সুরক্ষিত রাখার যাবতীয় বিষয় ওই ক্লাসে শেখানো হবে।
আগ্রহী প্রার্থীরা মোট ৮৪০ ঘন্টা অর্থাৎ ছ’মাস ক্লাস করার সুযোগ পাবেন। নেটওয়ার্কিং ফান্ডামেন্টালস্, অপারেটিং সিস্টেম অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, ক্রিপ্টোগ্রাফি অ্যান্ড সিকিউরিটি কনসেপ্টস, সিকিউরিটি অ্যাটাকস, অ্যাডভান্সড সিকিউরিটি— এই সমস্ত বিষয় শেখানো হবে। যে পড়ুয়ারা ইঞ্জিনিয়ারিং কিংবা মেকানিক্যাল শাখায় স্নাতক, স্নাতকোত্তর কিংবা পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন, তাঁরা ভর্তি হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে আবেদনকারীদের অঙ্ক, কম্পিউটার সম্পর্কে জ্ঞান থাকা বাঞ্ছনীয়।
প্রতিষ্ঠানের তরফে আরও জানানো হয়েছে, ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে এই কোর্সের ক্লাস শুরু হবে। অনলাইনে বেলা সাড়ে নটা থেকে বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত ক্লাস করানো হবে। পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি, হাতে কলমে প্রশিক্ষণের সুযোগ থাকছে। কোর্স সম্পূর্ণ হওয়ার পর অংশগ্রহণকারীদের একটি পরীক্ষা দিতে হবে। ওই পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে তাঁদের শংসাপত্রও দেওয়া হবে। এই কোর্সের জন্য ৪৫,০০০ টাকা ফি হিসাবে জমা দিতে হবে। নাম নথিভুক্ত করার জন্য ১ হাজার টাকা রেজিস্ট্রেশন ফি হিসাবে জমা দিতে হবে।
আগ্রহীদের অনলাইনে একটি ফর্ম পূরণ করতে হবে। সেই ফর্মটি ২১ সেপ্টেম্বরের আগে জমা দিতে হবে। ২২ সেপ্টেম্বর মেধাতালিকা প্রকাশিত হবে। প্রতিষ্ঠানের তরফে আরও জানানো হয়েছে, স্নাতকোত্তর স্তরের এই বিশেষ পর্বে শিক্ষার্থীদের হাতে কলমে তথ্য এবং নেটওয়ার্ককে সুরক্ষিত রাখার পাঠ যেমন পড়ানো হবে, তেমনই পেশাদার ক্ষেত্রে এর বাস্তবায়ন কী ভাবে করা যেতে পারে, সে বিষয়টিও শেখানো হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy