কর্মশালায় উপস্থিত স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। নিজস্ব চিত্র।
ভার্চুয়াল রিয়্যালিটিকে ব্যবহার করে কি পাঠদান সম্ভব? পড়ুয়াদের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে ডিজিটাল সামগ্রী কতটা ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে? শিক্ষক দিবসের আগে এমনই কিছু প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে এক দিনের একটি বিশেষ কর্মশালার আয়োজন করেছিল ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (আইআইটি) খড়্গপুর। প্রতিষ্ঠানের দ্য সেন্টার ফর টিচিং লার্নিং অ্যান্ড ভার্চুয়াল স্কিলিং (সিটিএলভিএস)-এর তরফে ৪ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হয় ওই কর্মশালা।
'এমপাওয়ারিং এডুকেটরস উইথ ডিজিটাল পেডাগজি অ্যান্ড টেকনোলজি' শীর্ষক কর্মশালায় কলকাতার কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শাখার মোট ৩০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা অংশগ্রহণ করেছিলেন। তাঁদের প্রযুক্তি-নির্ভর শিক্ষাদানের মাধ্যমে পঠনপাঠন এবং মূল্যায়ন পদ্ধতির উৎকর্ষ বৃদ্ধির খুঁটিনাটি শেখানো হয়েছে।
এ ছাড়াও অগমেন্টেড রিয়্যালিটি এবং ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি ব্যবহার করে কী ভাবে পড়ুয়াদের পাঠদানের বিষয়টি আকর্ষণীয় করে তোলা যেতে পারে এবং গেম-বেসড লার্নিং পদ্ধতিকে কেমন ভাবে ব্যবহার করা সম্ভব— এই বিষয়গুলিও এ দিনের কর্মশালায় শেখানো হয়েছে। কর্মশালার অন্যতম আয়োজক প্রতিষ্ঠানের অ্যাডভান্সড টেকনোলজি ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর এবং সিটিএলভিএস-এর ভাইস চেয়ারম্যান কৌশল কুমার ভগত-সহ অন্যান্য আধিকারিকরা এদিন অংশগ্রহণকারী শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে বিশদ আলোচনাও করেছেন।
কর্মশালা শেষ হওয়ার পরে অংশগ্রহণকারী শিক্ষক জানিয়েছেন, এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের কারণে অগমেন্টেড রিয়্যালিটি এবং ভার্চুয়াল রিয়্যালিটির ব্যবহার সম্পর্কে ধারণা বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে পড়ুয়াদের পঠনপাঠনকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে কী ভাবে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা যেতে পারে, সেই বিষয়গুলি নিয়েও ভাবার সুযোগ হয়েছে।
সহমত জানিয়ে আরও এক শিক্ষক বলেন, “মূল্যায়নের জন্য বাস্তবসম্মত প্রযুক্তি ব্যবহারের কৌশল শেখানো হয়েছে। ওই পদ্ধতি নিজের পড়ানোর ক্ষেত্রেও ব্যবহার করতে চাই।”
কেন এই কর্মশালা প্রাসঙ্গিক? কৌশল কুমার ভগত জানিয়েছেন, সিটিএলভিএস-এর একটি অন্যতম উদ্যোগ হিসাবে এই কর্মশালার মাধ্যমে শিক্ষাক্ষেত্রে ডিজিটাল এবং প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের সঙ্গে শিক্ষক-শিক্ষিকারা কী ভাবে খাপ খাইয়ে নিতে পারবেন, সেই বিষয়গুলি শেখানোই মূল লক্ষ্য ছিল।
তিনি আরও বলেন, “এই কর্মশালায় শিক্ষাদানের যথাযথ পরিবেশ তৈরি করার ক্ষেত্রে প্রযুক্তিকে ব্যবহারের প্রাসঙ্গিকতা সম্পর্কেও বিশদ আলোচনা করা হয়েছে। অংশগ্রহণকারীদের উৎসাহের ভিত্তিতে এমনটাই আশা করা যেতে পারে, ভবিষ্যতে আরও শিক্ষক-শিক্ষিকা ডিজিটাল লার্নিং-এ আগ্রহী হবেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy