স্কুলস্তর থেকেই পাঠ্যক্রমে থাকে পরিবেশবিদ্যা বিষয়টি। কিন্তু অনেকাংশেই ঐচ্ছিক হয়ে থাকে এই বিষয়ের পঠনপাঠন। দ্বাদশ উত্তীর্ণ হওয়ার পর এই পরিবেশবিদ্যা নিয়েও উচ্চস্তরে পড়ার সুযোগ থাকে। ক্রমশ চাহিদাও বাড়ছে এই বিষয়ের। চাকরির সুযোগ তৈরি হচ্ছে বহু ক্ষেত্রে। রাজ্যে কোন কোন প্রতিষ্ঠানে পড়ানো হয় এবং পেশাগত কোন কোন দিক খোলা রয়েছে সেই বিষয়ের খুঁটিনাটি রইল।
পরিবেশবিদ্যা নিয়ে স্নাতক, স্নাতকোত্তর এবং পরবর্তী কালে পিএইচডি করার সুযোগ থাকে।
যোগ্যতা:
স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর, উভয় স্তরেই পড়া যায় এই বিষয় নিয়ে। স্নাতক পড়তে হলে, শিক্ষার্থীকে কোনও স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে ন্যূনতম ৫০ শতাংশ নম্বর নিয়ে পাশ করতে হবে। স্নাতকোত্তরের ক্ষেত্রে, শিক্ষার্থীকে কোনও স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ন্যূনতম ৫৫ শতাংশ নম্বর নিয়ে পাশ করতে হবে। পরিবেশবিদ্যা নিয়ে পিএইচডি করতে হলে, শিক্ষার্থীকে কোনও স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ন্যূনতম ৫৫ শতাংশ নম্বর নিয়ে পাশ করতে হবে। তবে তিনটি ধাপেই বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের প্রবেশিকা পরীক্ষা দিতে হয়।
কোন কোন প্রতিষ্ঠানে পড়ানো হয়:
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সরকারি কলেজগুলিতে।
প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়।
এই প্রতিষ্ঠানগুলিতে পরিবেশবিদ্যা এবং পরিবেশবিজ্ঞান উভয় বিষয় নিয়েই স্নাতক স্তরে পড়ার সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়াও কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়েও উচ্চস্তরে পড়ার সুযোগ থাকে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং অথবা ওয়াটার রিসোর্স ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া যায়।
স্নাতক স্তরে সাধারণত পরিবেশবিজ্ঞানের পাঠ্যক্রমে ইকোলজিক্যাল সিস্টেম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপন, প্রাকৃতিক সম্পদ ও ব্যবস্থাপন, পরিবেশ এবং দূষণ, পরিবেশগত অর্থনীতি, সুস্থায়ী উন্নয়ন, সম্পদ সংরক্ষণ পরিবেশগত শিক্ষা, বর্জ্য থেকে শক্তি উৎপাদন, পরিবেশগত নীতি, শিল্প ও জৈব রাসায়নিক বর্জ্য, সুস্থায়ী কৃষি, গবেষণা পদ্ধতি নিয়েও আলোচনা করা হয়।
কাজের সুযোগ কেমন?
এনভায়রনমেন্টাল কনসালটেন্ট বা পরিবেশ পরামর্শদাতা হিসাবে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। অধ্যাপক হিসাবে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই বিষয়ের উপর পড়ানোর সুযোগ থাকে। দূষণ নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা হিসাবে বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে যুক্ত হয়ে কাজ করার সুযোগ থাকে। দূষণের মাত্রা এবং তার সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করার যাবতীয় বিষয়গুলি পর্যালোচনা করতে হয়। ডিরেক্টর অফ ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট বা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসাবেও কাজ করার সুযোগ থাকে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত যাবতীয় বিষয় পর্যালোচনা করতে হয়। ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি, এনভায়রনমেন্টাল কনসালটিং ফার্ম, দূষণ নিয়ন্ত্রক বোর্ড, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, ইঞ্জিনিয়ারিং ফার্ম, বেসরকারি সংস্থা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং গবেষণা কেন্দ্র-সহ আরও অনেক জায়গায় এই বিষয় নিয়ে পড়ার পর চাকরির সুযোগ থাকে।