সদ্যই মেডিক্যালের স্নাতকের প্রবেশিকার ফল প্রকাশিত হয়েছে। ন্যাশনাল এলিজ়িবিলিটি কাম এন্ট্রান্স টেস্ট (নিট) ইউজি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ১২ লক্ষ ৩৬ হাজার ৫৩১ জন। সাধারণত প্রতি বছর লক্ষাধিক ছেলেমেয়ে চিকিৎসা বিজ্ঞান নিয়ে উচ্চশিক্ষা লাভের লক্ষ্যেই এই পরীক্ষায় বসেন। তবে সকলেই যে এমবিবিএস নিয়ে পড়ার সুযোগ পান, তা কিন্তু নয়। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের তরফে সদ্য প্রকাশিত স্নাতক স্তরে আসন সংখ্যার তালিকা অনুযায়ী, এমবিবিএস কোর্সের জন্য সুযোগ পাবেন মাত্র ১ লক্ষ ১৮ হাজার ১৯০ জন। বাদ বাকি ১১ লক্ষেরও বেশি নিট উত্তীর্ণদের কী করণীয়?
কোন কোন বিষয় নিয়ে পড়ার সুযোগ থাকছে?
নিট ইউজি উত্তীর্ণদের জন্য এমবিবিএস ছাড়াও বেশ কিছু কোর্স করার সুযোগ থাকে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের যে সমস্ত বিষয় নিয়ে স্নাতক স্তরে তাঁরা পড়তে পারবেন, তার তালিকা নীচে দেওয়া হল—
- ডেন্টাল সার্জারি
- আয়ুর্বেদিক মেডিসিন অ্যান্ড সার্জারি
- হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন অ্যান্ড সার্জারি
- ইউনানি মেডিসিন অ্যান্ড সার্জারি
- সিদ্ধা মেডিসিন অ্যান্ড সার্জারি
- ন্যাচারোপ্যাথি অ্যান্ড যোগা সায়েন্সেস
- নার্সিং
- ভেটেরিনারি সায়েন্স অ্যান্ড অ্যানিম্যাল হাজ়বেন্ড্রি
- ফার্মাসি
- বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
রাজ্যে কোথায় পড়ানো হয়?
রাজ্যে ইনস্টিটিউট অফ পোস্ট গ্র্যাজুয়েট মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ, মেডিক্যাল কলেজ, নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ, আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ, ক্যালকাটা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ, বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ-সহ বিভিন্ন সরকারি এবং সরকার-পোষিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উল্লিখিত বিষয়গুলি নিয়ে পড়ানো হয়ে থাকে।
দেশের কোন কোন প্রতিষ্ঠানে পড়ার সুযোগ?
দেশের মধ্যে দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস (এমস), চণ্ডীগড়ের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ, পুদুচেরির জওহরলাল ইনস্টিটিউট অফ পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ, অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ আয়ুর্বেদ উল্লেখ্য। এ ছাড়াও বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলিতে উল্লিখিত বিষয়গুলি পড়ানো হয়ে থাকে।
খরচ?
সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে এমবিবিএস পড়তে ৫ থেকে ২০ লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে। তবে, ডেন্টাল বা আর্য়ুবেদ বা সমতুল্য ক্ষেত্রে খরচ ৫০ হাজার থেকে ১০ লক্ষের কাছাকাছি হয়ে যায়।
তবে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে মেডিক্যাল শাখার যে কোনও বিষয় নিয়ে পড়তে হলে ২০ লক্ষ থেকে শুরু করে ১ কোটি পর্যন্ত খরচ করতে হতে পারে।
কাজের সুযোগ:
ডেন্টাল বা আর্য়ুবেদ বা সমতুল্য ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ সার্জেন এবং নার্সদের চাহিদা দেশে তো বটেই, আন্তর্জাতিক স্তরেও যথেষ্ট রয়েছে। এ ছাড়াও চিকিৎসা বিজ্ঞান নিয়ে গবেষণার সুযোগও কম নেই। বর্তমানে এই শাখায় ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রয়োগ বৃদ্ধি হওয়ায় মেডিক্যাল ডিভাইস নিয়ে কাজের সুযোগ বেড়েছে।
নিট ইউজি-র ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজের তরফে বিভিন্ন কোর্সের আসন সংখ্যার তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। আগ্রহীরা নিজেদের প্রাপ্ত নম্বর এবং র্যাঙ্কের ভিত্তিতে পছন্দের প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবেন। এর জন্য কাউন্সেলিংয়ে অংশগ্রহণ করতে হবে। এ ছাড়াও নির্দিষ্ট কিছু প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে প্রবেশিকাও দিতে হতে পারে।