নিয়মিত পাঠ্যক্রমের পাশাপাশি এ বার পড়তে হবে কলেজের ইতিহাস, প্রতিষ্ঠাতার জীবনীও! এমনই ভাবনাচিন্তা চলছে মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র কলেজে। অ্যাড-অন কোর্স হিসাবে এই বিষয়টি পড়ানো হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
১৯৪১ সালে কলকাতার শ্যামবাজারের পাঁচ মাথার মোড়ের কাছে প্রতিষ্ঠিত হয় মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র কলেজ। বাংলার নবজাগরণ কালে সংস্কারবাদী ও সমাজসেবী হিসাবে পরিচিত রাজা মণীন্দ্রচন্দ্র নন্দীর কর্মকাণ্ড সম্পর্কে তরুণ প্রজন্মকে অবগত করাতে উদ্যোগী কলেজ কর্তৃপক্ষ। বুধবার রাজ্যের শিল্প ও বাণিজ্য বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী এবং কলেজ পরিচালন সমিতির সদস্য শশী পাঁজা কলেজের ভিতরে একটি প্রদর্শনশালার উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন:
এই প্রদর্শনশালায় মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্রের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত নানা তথ্য রাখা হয়েছে লিখিত আকারে। স্বল্প পরিসরে এই প্রদর্শনশালায় রাখা হয়েছে কিছু ছবি। তারই নীচে রয়েছে কিউআর কোড। আগ্রহীরা তা স্ক্যান করলেই সম্পূর্ণ তথ্য পাবেন।
কলেজের সদ্যনিযুক্ত অধ্যক্ষ গৌতম ঘোষ বলেন, “বাংলার নবজাগরণ বা শিক্ষা প্রসারে মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্রের যে অবদান, তা অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রীই জানেন না। মহারাজা ও তাঁর পরিবারের কথা মাথায় রেখেই এই জাদুঘরের নাম ‘মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র অ্যান্ড ফ্যামিলি’। ছবির পাশাপাশি তাঁর ব্যবহৃত জিনিসপত্রও থাকবে এখানে।”
মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র নন্দীর জন্ম ১৮৬০ সালের ২৯ মে উত্তর কলকাতা শ্যামবাজারে। তাঁর মা ছিলেন কাশিমবাজার রাজ পরিবারে কন্যা। ১৮৯৭ সালে মহারানি স্বপ্নময়ীর মৃত্যুর পর রাজ পরিবারের ইচ্ছানুসারে মণীন্দ্রচন্দ্রই কাশিমবাজারের মহারাজা হন। ১৮৯৮ সালে তিনি মহারাজা উপাধি এবং ১৯১৫ সালে নাইটহুড লাভ করেন। মণীন্দ্রচন্দ্র কলেজের সঙ্গেই মহিলাদের জন্য মহারানী কাশীশ্বরী এবং সান্ধ্য শ্রীশচন্দ্র কলেজে পঠনপাঠন হয়।