Advertisement
০৬ মে ২০২৪
CSIR-NPL and BU Collaboration

গবেষণামূলক কাজে গতি আনতে এনপিএলের সঙ্গে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের মউ স্বাক্ষর

কাউন্সিল অফ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইনডাস্ট্রিয়াল রিসার্চের ন্যাশনাল ফিজিক্যাল ল্যাবরেটরির অধিকর্তা, বৈজ্ঞানিক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের উপস্থিতিতে ওই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

CSIR-NPL and BU Collaboration over a MoU.

চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার মুহূর্তে ন্যাশনাল ফিজিক্যাল ল্যাবরেটরির অধিকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এবং অন্যান্য আধিকারিকরা। নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২৩ ১৪:২৮
Share: Save:

স্নাতকোত্তর পড়ুয়াদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং পেশায় প্রবেশের পথ সুগম করতে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ উদ্যোগ। সম্প্রতি কাউন্সিল অফ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইনডাস্ট্রিয়াল রিসার্চের ন্যাশনাল ফিজিক্যাল ল্যাবরেটরি (এনপিএল)-র সঙ্গে উল্লিখিত বিষয়ে একটি মউ (মেমোরেন্ডাম অফ আন্ডারস্ট্যান্ডিং) স্বাক্ষরিত হয়েছে। ওই চুক্তির উপর ভিত্তি করে পড়ুয়াদের ভবিষ্যতের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই দুই প্রতিষ্ঠানের অধ্যাপক এবং অধ্যাপিকারাও বিশেষ ভূমিকা পালন করতে চলেছেন। ৫ অক্টোবর এনপিএলের অধিকর্তা ভেনু গোপাল অচন্ত এবং বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সুজিত কুমার চৌধুরীর যৌথ উদ্যোগে ওই চুক্তি স্বাক্ষরের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।

এই মউ স্বাক্ষরের মাধ্যমে দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি এবং স্বল্পমেয়াদি গবেষণামূলক প্রকল্পে কাজের সুযোগ তৈরি হবে। এ ছাড়াও, পড়ুয়ারা এই প্রতিষ্ঠানগুলিতে ইন্টার্নশিপের মাধ্যমে পেশাদার ক্ষেত্রে কাজের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন। একই সঙ্গে, গ্লোবাল নেভিগেশন স্যাটেলাইট সিস্টেম (জিএনএসস) এবং নেভিগেশন উইথ ইন্ডিয়ান কনস্টেলেশন (ন্যাভিক)-এর মতো আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে গবেষকদের গবেষনা করার বিষয়েও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে।

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সুজিত কুমার চৌধুরী এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, বর্তমানে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের জন্য স্নাতকোত্তর পড়ুয়াদের প্রয়োজনীয় নানা বিষয়ে দক্ষতা থাকা প্রয়োজন। এই মউ স্বাক্ষরের ফলে তাঁরা এনপিএল-র আধুনিক পরিকাঠামোর সাহায্যে বিভিন্ন ধরনের বিষয়ে যেমন গবেষনার সুযোগ পাবেন, তেমনই পেশায় প্রবেশের ক্ষেত্রে এই সর্বভারতীয় প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ নেওয়ার ব্যবস্থাও থাকবে।

Registrar of Burdwan University and other official persons in the moment of conversation.

এনপিএলের আধিকারিকদের সঙ্গে কথোপকথনে ব্যস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার। নিজস্ব চিত্র।

তিনি আরও বলেন, ‘এই মউ স্বাক্ষরের মধ্যে দিয়ে আরও বেশি আর্থিক অনুদান পাওয়ার সুযোগ বাড়তে চলেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান, ইঞ্জিনিয়ারিং শাখায় পাঠরত পড়ুয়াদের পেশায় প্রবেশের সুযোগ থাকছে। এনপিএলের তরফে বার্তা, বার্ষিক বৈঠকের মাধ্যমে সারা বছরের কাজের খতিয়ান এবং সার্বিক পরিকাঠামোর উন্নয়ন সম্পর্কিত বিষয়ে আলোচনা করা হবে।’ এই মউ স্বাক্ষরের বিষয়ে পদার্থবিদ্যা বিভাগের সিনিয়র সায়েন্টিফিক অফিসার অনিন্দ্য বোসের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। প্রসঙ্গত, তিনিই বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে প্রথম সিএসআইআরের এই গবেষণাগারে গিয়ে কাজের সুযোগ পান।

সর্বভারতীয় স্তরে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের মেধার সঠিক বিকাশ হওয়ার জন্য এই ধরনের আরও সুযোগ প্রয়োজন, বার্তা বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের। উভয় প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষই আশা রাখছেন, এই চুক্তির মাধ্যমে গবেষক এবং পড়ুয়াদের বিভিন্ন গবেষণামূলক কাজে দীর্ঘমেয়াদি সুফল মিলবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE