মেডিক্যালের প্রবেশিকা নিয়ে ভুয়ো খবরের রমরমা রুখতে তৎপর এনবিইএমএস। অভিযোগ, চলতি বছরের নিট পিজি কবে হবে, তা নিয়ে সমাজ মাধ্যমে একাধিক বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞপ্তি ভাইরাল হয়েছে। ঘটনার জেরে বারবার পরীক্ষার্থীরা বিভ্রান্ত হয়েছেন। তাই পরীক্ষা সংক্রান্ত সঠিক তথ্য জানাতে সমাজমাধ্যমকেই হাতিয়ার করল এনবিইএমএস।
চলতি বছর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ৩ অগস্ট পরীক্ষা নেওয়া হবে, তা জানিয়ে দিয়েছিল এনবিইএমএস। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, একটি পর্বে (শিফটে) পরীক্ষা হবে। পরীক্ষায় সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা বজায় রাখতে নিরাপদ পরীক্ষাকেন্দ্র চিহ্নিত করে পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে চলেছে এনবিইএমএস। পরীক্ষার আগে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য যাচাইয়ের জন্য বিশেষ সতর্কবার্তা জারি করল নিয়ামক সংস্থা।
এ বার থেকে পরীক্ষা সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য এনবিইএমএস-এর দু’টি ওয়েবসাইট ছাড়াও হোয়াটস্অ্যাপ চ্যানেল মারফত পাওয়া যাবে। এ ছাড়াও প্রতিটি বিজ্ঞপ্তির শেষে একটি করে কিউআর কোড থাকছে, যা স্ক্যান করেও এনবিইএমএস-এর বিজ্ঞপ্তি বিভাগে সরাসরি পৌঁছে যেতে পারবেন। উল্লেখ্য, ২০২০ থেকে ওই কোড প্রতিটি বিজ্ঞপ্তিতে ব্যবহার করে থাকেন এনবিইএমএস কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন:
ভুয়ো তথ্য যাচাইয়ের উপায়?
- এনবিইএমএস পরীক্ষার্থীদের ই-মেল বা এসএমএস মারফত কোনও তথ্যই পাঠায় না। পরীক্ষা নিয়ামক সংস্থার নাম ব্যবহার করে কোনও ব্যক্তি বা সংস্থা পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বা নথি অনলাইনে পাঠিয়ে থাকে, তা ভুয়ো।
- এ ক্ষেত্রে মূল ওয়েবসাইটে গিয়ে তা যাচাই করে নিতে হবে। সন্দেহজনক নথির ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীরা সরাসরি এনবিইএমএস-কে ই-মেল করে অভিযোগ জানাতেও পারবেন।
- এ ছাড়াও পরীক্ষা সংক্রান্ত ভুয়ো নথি সমাজমাধ্যম বা ই-মেল মারফত পেলে, সেই সম্পর্কে পুলিশের কাছেও অভিযোগ জানাতে হবে।
এর আগে ২০২৪-এও ভুয়ো প্রশ্নপত্র এবং সূচি পরিবর্তনের একাধিক খবর সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল। প্রশ্ন ফাঁস রুখতে সেই বছর থেকেই পরীক্ষা শুরু দু’ঘন্টা আগে প্রশ্নপত্র তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক।