দেশের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজকে একটি বিধিবদ্ধ ব্যবস্থার মধ্যে আনতে চলেছে কেন্দ্র। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন (এনএমসি)-র তরফে মেডিক্যাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে এ বার থেকে ‘অ্যাক্রিডিটেশন’ এবং রেটিং দেওয়া হবে।
সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, স্বাধীন একটি সংস্থার মাধ্যমে মেডিক্যাল কলেজগুলিকে বিভিন্ন মাপকের মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হবে। তার উপর ভিত্তি করেই কলেজগুলির র্যাঙ্কিং স্থির করা হবে।
এনএমএসসি-র তরফে প্রকাশিত খসড়ায় জানানো হয়েছে, কলেজগুলির মূল্যায়নের জন্য মোট ১১টি মাপকাঠি এবং ৭৮টি মাপক স্থির করেছে মেডিক্যাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড রেটিং বোর্ড (এমএআরবি)। তবে খসড়ায় নির্ধারিত নতুন এই ব্যবস্থা নিয়ে সকলের মতামতও জানতে চেয়েছে কমিশন।
আরও পড়ুন:
সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে প্রায় দেড় বছর আগে কোয়ালিটি কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া (কিউসিআই)-এর সঙ্গে আলোচনা করে একটি খসড়া প্রস্তুত করেছিল এনএমসি। তার ভিত্তিতে ২০২৩ সালে কিউসিআই-এর সঙ্গে স্বাক্ষরিত হয় মউ।
তবে বর্তমানে সেই খসড়ায় বেশ কিছু পরিবর্তন করে নতুন খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। পুরনো খসড়ায় যে ৯৮টি মাপকের কথা উল্লেখ করা হয়েছিল, তা কমিয়ে ৭৮টি করা হয়েছে। যে মাপকগুলি বাদ দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে— বিভিন্ন কলেজের ইন্টার্ন এবং রেসিডেন্টদের কত বৃত্তি দেওয়া হয়, পূর্ণ সময়ের জন্য কতসংখ্যক প্রফেসর রয়েছেন, কলেজে কী ধরনের গবেষণা হচ্ছে এবং তার ফলাফল কী, কোন কোন উচ্চমানের জার্নাল প্রকাশিত হচ্ছে-এর মতো নানা বিষয়।
নতুন খসড়ায় ‘রিসার্চ আউটপুট অ্যান্ড ইমপ্যাক্ট ক্রাইটেরিয়া’ বিভাগে ইন্ডেক্সড জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রের সংখ্যা, গবেষণাপত্রের কতগুলি সাইটেশন হয়েছে, কলেজে কতগুলি এবং কী ধরনের ফান্ডেড গবেষণা প্রকল্পের কাজ চলছে বা সম্পূর্ণ হয়েছে-সহ অন্যান্য মাপকাঠি স্থির করা হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে এনএমসি-র চেয়ারম্যান জানান, এই প্রথম মেডিক্যাল কলেজগুলিকে বিভিন্ন মাপকাঠির ভিত্তিতে যাচাই মূল্যায়ন করে তাদের রেটিং দেওয়া হবে। কলেজগুলি যাতে আর দায়বদ্ধ ভূমিকা পালন করতে পারে এবং উচ্চমান বজায় রাখতে পারে, তার জন্য কমিশনের এই পদক্ষেপ।