স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে প্রকাশিত হয়েছে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির জন্য শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ফল। এ বার পালা নথি যাচাই ও ইন্টারভিউয়ের। কারা ডাক পাবেন ইন্টারভিউয়ে? কত নম্বর পেলে মিলবে সুযোগ?
এসএসসি সূত্রের খবর, মোট ৮০ নম্বরের ভিত্তিতে তৈরি করা হবে ইন্টারভিউ ও ভেরিফিকেশন-এর তালিকা। শুক্রবার রাতে প্রকাশিত হয়েছে ৬০ নম্বর লিখিত পরীক্ষার ফল। প্রযুক্তিগত সমস্যার জন্য অনেক পরীক্ষার্থীই ফল দেখতে পাননি। তবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে এসএসসি।
আরও পড়ুন:
লিখিত পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের সঙ্গে যুক্ত হবে শিক্ষাগত যোগ্যতার নম্বর। সেখানে একজন প্রার্থী পেতে পারেন সর্বোচ্চ ১০ নম্বর। আবার কাজের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতেও তাঁদের নম্বর দেওয়া হবে। সেখানেও সর্বোচ্চ নম্বর ১০। মোট নম্বরের উপর ভিত্তি করেই চাকরিপ্রার্থীদের ডাকা হবে ইন্টারভিউয়ে।
প্রশ্ন উঠছে এখানেই। ন্যূনতম কত নম্বর পেলে কোনও প্রার্থী ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাক পাবেন?
গত কয়েক মাসে একের পর এক আন্দোলন হয়েছে কলকাতা-সহ অন্যত্র। ২০১৬ শিক্ষক নিয়োগের প্যানেল বাতিল হওয়ার পর ‘যোগ্য’ চাকরিহারারা ফের পরীক্ষায় বসেছেন গত অক্টোবরে। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্য নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু এরই মধ্যে বঞ্চনার অভিযোগ তুলেছেন ২০২৫ এসএসসি টেট পরীক্ষার নতুন পরীক্ষার্থীরা।
ইন্টারভিউয়ের আগে অভিজ্ঞতার জন্য ‘যোগ্য’ চাকরিহারাদের ১০ নম্বর দেওয়া হলে তাঁরা পিছিয়ে পড়বেন, অভিযোগ তুলে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। সেই মামলার নিষ্পত্তি না হলে নিয়োগ প্রক্রিয়া ফের থমকে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকেই।
‘যোগ্য’ শিক্ষক-শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চের অন্যতম নেতা মেহবুব মণ্ডল বলেন, “৬০ নম্বরের মধ্যে কত নম্বর পেয়েছি, তার থেকেও বেশি গুরুত্ব পূর্ণ হয়ে উঠেছে শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে পাওয়া নম্বর। এই তিনটি নম্বর যোগ করে যাঁরা সর্বোচ্চ নম্বর পাবেন, তাঁরাই ভেরিফিকেশন-এর জন্য ডাক পাবেন, তাঁরাই ইন্টারভিউ পর্যন্ত পৌঁছবেন। ফলে সমস্যা রয়েছে। আর মামলার কারণে নিয়োগ বানচালের আশঙ্কাও রয়েছে।”
এ বার একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির জন্য শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় বসেছিলেন ২ লক্ষ ২৯ হাজার ৬০৬ জন। তাঁদের মধ্যে নম্বর বিন্যাসের ভিত্তিতে ১:৬ অনুপাতে প্রার্থীদের ডাকা হবে ভেরিফিকেশনের জন্য। কিন্তু ন্যূনতম কত নম্বর পেলে ডাক পাবেন একজন প্রার্থী?
কমিশন সূত্রের খবর, তাদের বিধি অনুযায়ী বিষয় ভিত্তিক ভাবে কত শূন্যপদ রয়েছে তার উপর নির্ভর করছে কারা ডাক পাবেন। ধরা যাক, কোনও বিষয়ে ১০টি পদ খালি থাকলে সেখানে ডাকা হবে ১৬ জনকে। যদি দেখা যায় ওই বিষয়ে ১৬ জন পরীক্ষার্থীই ৮০ নম্বর পেয়েছেন, তা হলে ৭৯ নম্বর পেলেও কোনও প্রার্থী ডাক পাবেন না।
আবার যদি দেখা যায়, শূন্যপদ ১০টি (অর্থাৎ যেখানে ১৬জন প্রার্থীর ডাক পাওয়ার কথা), অথচ ৩০ জন পেয়েছেন ৮০ নম্বর। তা হলে ৩০ জনকেই ডাকতে বাধ্য স্কুল সার্ভিস কমিশন। অর্থাৎ এ ক্ষেত্রে ১:৬ অনুপাত মানা হবে না।