ফের সিদ্ধান্ত নিয়েও পিছিয়ে এল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত দ্বিতীয় পর্যায়ক্রমিক (সামেটিভ) পরীক্ষার প্রশ্ন করছে না পর্ষদ। বুধবার এমনটাই জানালেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল।
গৌতম বলেন, ‘‘সিদ্ধান্ত হয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এ বার থেকে প্রশ্ন তৈরি করবে এবং তা পাঠানো হবে স্কুলগুলিকে। আমরা তৈরি ছিলাম। জেলাস্তরে যে পরিকাঠামো দরকার তা এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। তাই স্কুলই প্রশ্ন করবে।’’
এর আগে প্রাথমিকে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত মূল্যায়নের প্রশ্নপত্র কখনওই পর্ষদের তরফ থেকে করা হয়নি। এতদিন পর্যন্ত এই প্রশ্ন করে আসত স্কুলগুলি। কয়েকদিন আগেই পর্ষদের তরফ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তারা এ বার থেকে প্রশ্ন করবে। এ প্রসঙ্গে পর্ষদের ব্যাখ্যা ছিল, বুনিয়াদি শিক্ষাই পড়ুয়াদের ভিত তৈরি করে। কিন্তু বেশির ভাগ স্কুলের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, বহু স্কুল প্রশ্নপত্র তৈরির সময় তারা যতটা পড়িয়েছে, তার উপরে প্রশ্ন তৈরি করে। এর ফলে রাজ্যের সমস্ত স্কুলের পড়ুয়াদের সমান মূল্যায়ন হয় না। তাই আমরা প্রশ্ন করব বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
আরও পড়ুন:
২৫ অগস্ট থেকে শুরু হচ্ছে প্রাথমিকের দ্বিতীয় সামেটিভ পরীক্ষা। আর তার দু’সপ্তাহ আগে হঠাৎ করে পিছিয়ে আসা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন? শিক্ষকমলের একাংশের প্রশ্ন এতে তো আর্থিক ক্ষতি হল পর্ষদের। এতদিনে নিশ্চয়ই প্রশ্ন ছাপানো হয়ে গেছিল!
গত ৩১ জুলাই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ দ্বিতীয় সামেটিভ পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করে। তবে এ প্রসঙ্গে প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের বক্তব্য, হাতে মাত্র আর কয়েকদিন বাকি এর মধ্যে স্কুলগুলি প্রশ্ন কী করে তৈরি করবে?
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের এই ধরনের ঘটনা প্রথম নয়। এর আগেও পর্ষদের তরফ থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে জানানো হয়েছিল যে সেমিস্টার সিস্টেম চালু করা হবে। কিন্তু তার পরের দিনই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশ্য সভায় জানিয়েছিলেন তিনি এর সম্বন্ধে কিছুই জানেন না। কার নির্দেশে এই নতুন নিয়ম চালু হয়েছে, তা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত সেমিস্টার চালু থেকে পিছিয়ে আসে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।