শিক্ষক নিয়োগের জন্য শূন্যপদের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেও নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে পারল না প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। অবিলম্বে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু এবং শূন্যপদ বৃদ্ধির দাবিতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন ২০২২ ও ২০২৩ টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ, রাজ্য জুড়ে প্রাথমিক স্কুলগুলিতে ১৩,৪২১টি শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। তারপর প্রায় ৪৯ দিন অতিক্রান্ত। কিন্তু শুরু করা যায়নি নিয়োগ প্রক্রিয়া।
আরও পড়ুন:
টেট উত্তীর্ণদের দাবি, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সঙ্গেই পর্ষদের তরফে তাঁদের জানানও হয়েছিল শূন্যপদ নির্ধারিত হওয়ার তিন মাসের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। ইতিমধ্যেই প্রায় দেড় মাস কেটে দিয়েছে। ২০২২ সালের প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণ শিক্ষক পদপ্রার্থী বিদেশ গাজী বলেন, “২০১৭ সালে শেষ বার প্রাথমিক টেট আয়োজিত হয়েছিল। নিয়োগও হয়েছিল। কিন্তু তার পাঁচ বছর পর ২০২২ সালে ফের টেট হয়, নিয়োগ হয়নি। তিন বছর পেরিয়ে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ায়ও শুরু করতে পারেনি সরকার। অবিলম্বে এই প্রক্রিয়া চালুর দাবিতেই আমাদের বিক্ষোভ।” তাঁরা স্মারকলিপি জমা দিচ্ছেন।
চাকরিপ্রার্থীদের একাংশের দাবি শুধু প্রক্রিয়া শুরু করলে হবে না যে শূন্যপদ প্রকাশ করা হয়েছে বাড়াতে হবে। কারণ ২০২২-২৩ ছাড়াও ২০১৪ ও ১৭ সালে যাঁরা টেট উত্তীর্ণ হয়েছেন, তাঁরাও এই প্রক্রিয়ায় যোগ দেবেন। আসন সংখ্যা না বাড়ালে বহু প্রার্থী বঞ্চিত হবেন।
গত সেপ্টেম্বর মাসে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে পর্ষদ জানিয়েছিল প্রাথমিকে কত শূন্যপদ রয়েছে। পাশাপাশি জানানো হয়েছে, নিয়োগ প্রক্রিয়া কোন নিয়ম মেনে হবে। নিয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা, প্রশিক্ষণ-সহ বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হবে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মোট ৫০ নম্বরের মধ্যে মূল্যায়ন করা হবে। তার মধ্যে মাধ্যমিক-৫ নম্বর, উচ্চ মাধ্যমিক-১০ নম্বর, এনসিটিই ট্রেনিং-১৫ নম্বর, টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট (টেট)- ৫ নম্বর, এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটি- ৫ নম্বর, সাক্ষাৎকার- ৫ নম্বর, অ্যাপটিটিউড টেস্টে- ৫ নম্বর রয়েছে।
তবে অ্যাপটিটিউড টেস্টের ৫ পাঁচ নম্বর কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকা ও প্যারা টিচারদের ক্ষেত্রে সরাসরি যুক্ত হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ১ জানুয়ারি ২০২৫ এর মধ্যে প্রার্থীদের বয়স অনূর্ধ্ব ৪০ হতে হবে।