Advertisement
E-Paper

সুপ্রিম নির্দেশের পর ছ’জন স্থায়ী উপাচার্যকে নিয়ে বৈঠক ডাকল রাজভবন

বাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের জটিলতা ও দ্বিমত মেটাতে বুধবার রাজ্য সরকার এবং আচার্যের আইনজীবীদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করার কথা ছিল শীর্ষ আদালতের। কিন্তু সেই আলোচনাও ওই দিন স্থগিত হয়ে গিয়েছে। আগামী ১০ নভেম্বর সেই বৈঠক হবে বলে জানা গিয়েছে।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০২৫ ২১:৪২
আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।

আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। —ফাইল চিত্র।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর আগামী সোমবার, ২৭ অক্টোবর যাদবপুর-সহ রাজ্যের ছ’টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে বৈঠকে ডাকল রাজভবন। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার এই ছ’টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে রাজভবন থেকে ফোন করে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে মান্যতা দিয়ে যে ছ’টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে ডাকা হয়েছে তাঁরা হলেন, তাঁরা হলেন, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় আশুতোষ ঘোষ, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য, বিশ্ব বাংলা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবু তালেব, সাধু রামচাঁদ মুর্মু বিশ্ববিদ্যালয়ের চন্দ্রদীপা ঘোষ, গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের আশিস ভট্টাচার্য, কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উদয় বন্দ্যোপাধ্যায়।

গত ৯ অক্টোবর রাজ্যের ছ’টি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগে সবুজ সংকেত দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। যদিও শিক্ষা দফতরের তরফে দাবি করা হয়, ছ’টি নয় মোট আটটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের পাশে সিলমোহর দেওয়া হয়েছিল শীর্ষ আদালতের তরফে। এর মধ্যে ছিল উত্তরবঙ্গ ও রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়। সূত্রের দাবি, শুনানিতে এ বিষয়ে কোন‌ও কথা না-উঠলেও শুনানি শেষে ওই দুই বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের আইনজীবী, অ্যাটর্নি জেনারেল আর বেঙ্কটরমণি।

এই বৈঠক প্রসঙ্গে উপাচার্যেরা প্রকাশ্যে কথা না-বললেও, তাঁরা জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রচুর গুরুত্বপূর্ণ কাজ রয়েছে। যত সময় নষ্ট হবে সেগুলি কার্যকর করতে অসুবিধা হবে। যেমন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৪ ডিসেম্বর সমাবর্তন অনুষ্ঠান রয়েছে। স্থায়ী উপাচার্য না-থাকায় তার প্রস্তুতিও শুরু করতে পারেননি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

ওয়েবকুপার প্রাক্তন সহ-সভাপতি সেলিম বক্স মণ্ডল বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের এত দিন বাদে বোধোদয় হয়েছে আচার্যের। যে ভাবে উচ্চশিক্ষা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, আশা করব রাজ্যপাল হিসাবে তিনি সুপ্রিম নির্দেশকে মান্যতা দেবেন।’’

রাজভবনের তরফ থেকে অনুমোদন মেলেনি। বরং, সুপ্রিম কোর্টের রায় আসার পরই বিকাশ ভবন থেকে ফাইল পাঠানো হয়েছিল রাজভবনে। কিন্তু সেই ফাইল বিকাশ ভবনে ফেরত পাঠিয়ে দেয় রাজভবন। রাজভবনের তরফে জানানো হয়েছে, উচ্চশিক্ষা দফতর থেকে শীর্ষ আদালতের নির্দেশের যে প্রতিলিপি পাঠিয়েছে, সেখানে ছ’টি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ছিল। কিন্তু কোন‌ও উপাচার্যের নাম লেখা ছিল না। তা হলে কেন ওই নাম লিখে পাঠাল উচ্চশিক্ষা দফতর! তাই ফেরত পাঠানো হয়েছে ফাইল।

বাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের জটিলতা ও দ্বিমত মেটাতে বুধবার রাজ্য সরকার এবং আচার্যের আইনজীবীদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করার কথা ছিল শীর্ষ আদালতের। কিন্তু সেই আলোচনাও ওই দিন স্থগিত হয়ে গিয়েছে। আগামী ১০ নভেম্বর সেই বৈঠক হবে বলে জানা গিয়েছে।

Raj Bhavan VC Meeting SC
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy