বই পড়ার ঝোঁক কমছে, এমন অনুযোগ শোনা যায় হামেশাই। ই-বুক, পিডিএফ-এর আড়ালে হার্ড কভারের বই হাতে নিয়ে পড়ার সময় কতটুকু পাওয়া যায়, তা নিয়েও চর্চা সমানে চলছে। কিন্তু তাতে বই সম্পাদনার কাজ কিন্তু থেমে নেই।
বই সম্পাদক হতে পারেন কারা?
দ্বাদশের পর থেকে বই সম্পাদক হওয়ার দৌড় শুরু হয়। ভাষা, সম্পাদনার কাজে দক্ষ হওয়ার লক্ষ্যে ইংরেজি বা বাংলা সাহিত্য, গণজ্ঞাপন, সাংবাদিকতা, লিঙ্গুইস্টিক্স-এর মতো বিষয়ে স্নাতক স্তরে ভর্তি হতে পারেন। আবার ব্যবসায়িক কৌশল রপ্ত করতে বিজ়নেস ম্যানেজমেন্ট, মার্কেটিং-এর মতো বিষয় নিয়েও পড়াশোনা করতে পারেন।
স্পেশ্যালাইজ়েশন:
- স্নাতকোত্তর স্তরে নির্দিষ্ট কিছু প্রতিষ্ঠানেই বুক পাবলিশিং সংক্রান্ত বিষয়ে পাঠদান করা হয়।
- ইন্দিরা গান্ধী জাতীয় মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিষয়ে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা করানো হয়। এক বছরের ওই কোর্সটি মুক্ত এবং দূরশিক্ষা মাধ্যমে করার সুযোগ রয়েছে।
- ন্যাশনাল বুক ট্রাস্ট একটি তিন মাসের সার্টিফিকেট কোর্স করায়। ওই কোর্সের সঙ্গে একটি প্রকাশনা সংস্থায় গিয়ে প্রজেক্ট ওয়ার্ক এবং ইন্টার্নশিপ করার সুযোগও দেওয়া হয়।
পড়ার ঝোঁক কমছে, এমন অনুযোগের মাঝেই বই বিক্রি কিন্তু বন্ধ হয়নি! — প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
- এ ছাড়াও সাহিত্য অকাদেমি-র মতো সংস্থার তরফে কর্মশালার মাধ্যমে প্রশিক্ষণ নেওয়ার সুযোগও থাকে। আন্তর্জাতিক প্রকাশনা সংস্থা এবং বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি থেকেও ডিপ্লোমা বা সার্টিফিকেট কোর্স করে নেওয়া যেতে পারে।
খরচ:
- কর্মশালায় যোগদানের ক্ষেত্রে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।
- কোর্সের ক্ষেত্রে ৭ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ফি ধার্য করা হয়ে থাকে।
দক্ষতা:
যে কোনও বিষয়ে স্নাতকেরা সম্পাদনার কাজ শেখার জন্য প্রুফরিডিং, ক্রিয়েটিভ রাইটিং-এর মতো বিষয়গুলি নিয়ে পড়াশোনার সঙ্গেই চর্চা করতে পারেন। পাশাপাশি, শিখে নিতে হবে ইনডিজাইন, ফটোশপ, ইপাব, কিন্ডল ডিরেক্ট পাবলিশিং-এর মতো টুলের ব্যবহারও।
কাজের সুযোগ:
প্রকাশনা সংস্থার সঙ্গে ইন্টার্নশিপের মাধ্যমে কাজ শেখা শুরু করা যেতে পারে। এ ছাড়াও বিশেষজ্ঞ হিসাবে শিক্ষকতার সুযোগও রয়েছে। নিজস্ব প্রকাশনা সংস্থা চালু করে ব্যবসায়ী হিসাবেও আত্মপ্রকাশ করতে পারেন। তবে, এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন লেখকের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা এবং বিজ্ঞাপন-মার্কেটিং নিয়ে সৃজনশীল হওয়া দরকার।