২০২৪-এ ডিএ ঘোষণা হয়েছিল। প্রাপ্য সেই ভাতা পেতে গড়িয়ে গেল এক বছর সাত মাস। অবশেষে ১০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা পেতে চলেছেন রাজ্যের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা। সমস্ত সরকারি ও সরকারপোষিত স্কুল এবং সংস্কৃত টোলের জন্য এই নিয়ম জারি করল স্কুল শিক্ষা দফতর।
২০২৪ এবং ২০২৫-এ ১০ শতাংশ করে মোট ২০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু কবে থেকে সেই মহার্ঘ ভাতা হাতে পাবেন, দিনক্ষণ জানা যায়নি। অবশেষে গত সোমবার স্কুল শিক্ষা দফতর বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই বিষয়টি স্পষ্ট করেছে।
শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, অর্থ দফতরের অনুমোদনের জন্য এই কাজ থমকে ছিল। অনুমোদন পেতেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রোপা-২০০৯ অনুযায়ী বেতনভুক্ত শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা ২০২৪-এর এপ্রিল থেকে বকেয়া-সহ ওই ভাতা পাবেন। মহার্ঘ ভাতা ১০ শতাংশ হারে বৃদ্ধির পর তা বেড়ে হয়েছে ১৬১ শতাংশ।
যদিও যে হারে মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধি হওয়ার কথা, তা কার্যকর করেনি স্কুল শিক্ষা দফতর। রাজ্যে ডিএ-প্রাপ্ত স্কুলের সংখ্যা ৪০-৪৫। এই সমস্ত স্কুলগুলি শুধুমাত্র রাজ্য সরকারের কাছ থেকে মহার্ঘ ভাতা পান আর মূল বেতন স্কুলের পরিচালন সমিতি দিয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে এই সমস্ত স্কুলের প্রাপ্য কবে মেটানো হবে, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, “বহু বার শিক্ষা দফতর ও নবান্নে দরবার ডিএ-প্রাপ্ত স্কুলগুলির প্রাপ্য নিয়ে দরবার করা হয়েছে। অথচ ঘোষণার পর দেখা যাচ্ছে এখনও ১০ শতাংশ বাকি থেকে গেল, যা ২০২৫-এর এপ্রিল থেকে প্রাপ্য। এতেই অনুমান করা যায়, ডিএ গেটিং স্কুলের শিক্ষকদের প্রতি সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি কেমন।”