দেশের দুই নামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বিশ্ববিদ্যালয় তকমা দেওয়া হল। সম্প্রতি কেন্দ্রের শিক্ষা মন্ত্রকের তরফে এমনটাই জানানো হয়েছে। এই তালিকায় পুণের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট (এফটিআইআই)-এর পাশাপাশি স্থান দখল করে নিল কলকাতার সত্যজিৎ রায় ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট (এসআরএফটিআই)।
সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) আইনের ৩ নম্বর ধারা মেনে পুণের এফটিআইআই এবং কলকাতার এসআরএফটিআইকে বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে মর্যাদা করা হয়। ইউজিসি-র সুপারিশ মেনেই এর পর কেন্দ্রের তরফে এই বিষয়ে অনুমোদন দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন:
এতদিন পর্যন্ত উভয় প্রতিষ্ঠানে নানা বিষয়ের কোর্সে ভর্তির সুযোগ ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের এই নয়া তকমা উভয় প্রতিষ্ঠানকেই ডিপ্লোমা কোর্স ছাড়াও পিএইচডি এবং অন্যান্য ডিগ্রি প্রোগ্রাম চালু করার ক্ষমতা দেবে। পাশাপাশি, চলচ্চিত্র এবং মিডিয়া সংক্রান্ত গবেষণা এবং উদ্ভাবনী একাধিক ডক্টরাল বা অন্যান্য অ্যাকাডেমিক কোর্স চালু করারও সুযোগ পাবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি। একই সঙ্গে কেন্দ্রের এনআইআরএফ র্যাঙ্কিং-এ অংশগ্রহণ করতে পারবে। ২০২০-এর জাতীয় শিক্ষানীতি মেনে পড়ুয়াদের জন্য অ্যাকাডেমিক ব্যাঙ্ক অফ ক্রেডিট (এবিসি)-ও চালু করার সুযোগ পাবে তারা। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত প্রতিষ্ঠানগুলিকে যেমন স্বশাসনের সুযোগ বৃদ্ধি করবে, তেমনই দেশে চলচ্চিত্র এবং মিডিয়া শিক্ষার প্রসারে গবেষণার উৎকর্ষতা এবং শিক্ষার মানোয়ন্নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
প্রসঙ্গত, ১৯৬০ সালে পুণের প্রভাত স্টুডিয়োতে ফিল্ম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া গড়ে তোলা হয়। তখন কেন্দ্রের তথ্য এবং সম্প্রচার মন্ত্রকের অধীনস্থ ছিল প্রতিষ্ঠানটি। ১৯৭১ সালে প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করে ফিল্ম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া করা হয়। তখন সেখানে দূরদর্শনের ইন-সার্ভিস ট্রেনিং প্রোগ্রামগুলির ক্লাস হত।
কলকাতাতে বিশ্ববন্দিত চলচ্চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের সম্মানে গড়ে তোলা হয় দেশের দ্বিতীয় চলচ্চিত্র শিক্ষার প্রতিষ্ঠান এসআরএফটিআই। ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি কেন্দ্রের তথ্য এবং সম্প্রচার মন্ত্রক অধীনস্থ একটি স্বশাসিত প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে সেখানে চলচ্চিত্র নির্মাণ সংক্রান্ত ছ’টি স্পেশালাইজ়ড বিষয়ে তিন বছরের স্নাতকোত্তর কোর্স পড়ানো হয়। এ ছাড়া, ইলেক্ট্রনিক্স এবং ডিজিটাল মিডিয়া-র ছ’টি স্পেশালাইজ়ড বিষয়েও দু’বছরের স্নাতকোত্তর কোর্স করার সুযোগ পান আগ্রহীরা।