প্রাথমিক এবং মাদ্রাসার পর এ বার হাই স্কুল—মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পুরনো চাকরিতে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু করল রাজ্য। ৫৪৬ জনকে পুরনো চাকরিতে ফেরানোর অনুমতি দিল শিক্ষা দফতর। এই নির্দেশ পাওয়ার পরই কাউন্সেলিং-এর বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)।
কমিশনার অফ স্কুল এডুকেশন-এর তরফে নির্দেশ আসার পরই ২৫ অক্টোবর কাউন্সেলিং-এর দিন ঘোষণা করেছে এসএসসি। বিভিন্ন সময়ে ডাকা হয়েছে বিভিন্ন জেলার প্রার্থীদের। জানানো হয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুর থেকে ১১৯, উত্তর ২৪ পরগনা, বাঁকুড়া, কোচবিহার ও কলকাতা মিলিয়ে ১৩০ জনকে কাউন্সেলিং-এ ডাকা হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুর, আলিপুরদুয়ার, পুরুলিয়া হাওড়া ও দক্ষিণ দিনাজপুর মিলিয়ে মোট ৭৮ জন, পশ্চিম বর্ধমান শিলিগুড়ি বাঁকুড়া উত্তর ২৪ পরগনা, মালদা, পূর্ব বর্ধমান থেকে ১১৪ জনকে ডাকা হয়েছে। মুর্শিদাবাদ, ঝাড়গ্রাম, জলপাইগুড়ি, বীরভূম ও উত্তর দিনাজপুর মিলে ১০৫ জনকে ডাকা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
কিন্তু ‘যোগ্য’ চাকরিহারাদের মধ্যে যাঁরা পুরনো চাকরিতে ফিরতে চাইছেন, তাঁদের অনেকেরই অভিযোগ, তাঁরা যে স্কুলের চাকরি ছে়ড়ে এসেছিলেন, সেখানে আর কোনও শূন্যপদ নেই। ফলে এ বার কোন স্কুলে তাঁদের পুনর্বহাল করা হবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। কাউন্সেলিং-এর পর তাঁরা আদৌ বাড়ির কাছে, নিজের জেলার স্কুলে পড়ানোর সুযোগ পাবেন কি না, তা নিয়ে সন্ধিহান ‘যোগ্য’ চাকরিহারারা। যদিও স্কুল সার্ভিস কমিশন সূত্রের খবর, তাঁরা চেষ্টা করছে সমস্ত চাকরিপ্রার্থীদের তাঁদের জেলায় নিযুক্ত করার।
কয়েক দিন আগে কমিশনার অফ স্কুল এডুকেশন-এর তরফে মাদ্রাসা বোর্ডকে জানানো হয়েছে, ১৯৭ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা, যাঁরা আগে মাদ্রাসা বোর্ডে কাজ করতেন, তাঁরা ফের সেই কাজে যোগ দিতে পারবেন। তবে প্রাথমিক ভাবে বোর্ড যে ২৬৪ জন চাকরিপ্রার্থীর নাম পাঠিয়েছিলেন, তাতে গরমিল রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। বোর্ডের তরফে পাঠানো চিঠিতে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, ৬৭ জন প্রার্থীর তথ্যে অসঙ্গতি রয়েছে। তা ফের যাচাই করে দফতরের কাছে পাঠাবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মাদ্রাসা বোর্ডকে।
ইতিমধ্যে প্রায় দু’হাজার চাকরিহারা শিক্ষককে প্রাথমিক শিক্ষকতার কাজ ফিরিয়ে দেওয়ার অনুমোদন দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পুরনো চাকরিতে ফিরতে চেয়ে ৪০০০-এরও বেশি ‘যোগ্য’ চাকরিহারা আবেদন করেছিলেন। শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, যাঁরা আবেদন করেছিলেন, তাঁদের সমস্ত নথি যাচাই করে সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। শিক্ষকতা ছাড়াও পুরনো চাকরিতে ফিরে গিয়েছেন বিদ্যুৎ দফতর, স্বাস্থ্য বিভাগ এবং রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতরের কর্মীরা।